
গেলো বছর সবকিছু যখন অবরুদ্ধ আমরা আশ্রয় নিয়েছিলাম বায়বীয় মাধ্যমে। খুলে গিয়েছিল বিশ্ব বাতায়ন। সিডনি ভিত্তিক জনপ্রিয় বাংলা মিডিয়া প্রশান্তিকা’ র অনুরোধে একটি অন লাইন আলোচনা সমন্বয়, মূলত অতিথি নির্বাচনের ভার পড়েছিল আমার ওপর। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শততম জন্মদিন উপলক্ষে সে আলোচনায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম ইনবক্সে। সন্দেহ ছিলো তিনি সময় দিতে পারবেন কি না। তখন বাংলা একাডেমির বইমেলা হবে কি হবে না এ নিয়ে চলছে তর্ক। পরের দিন ভোরবেলা চোখ মেলেই পেয়েছিলাম তাঁর চমৎকার উত্তর।
এরপর ফোনে কথা হলো একাধিক বার। সজ্জন ও ভদ্রলোক হলে যা হয় সে অনুষ্ঠানে ঢুকতে ঢুকতেই দেখি তিনি আগেই হাজির হয়ে গেছেন। আমেরিকা থেকে অভিনেত্রী লুতফুন নাহার লতাও ছিলেন সে আয়োজনে। কি দারুণ আলোচনা আর কবিতা শুনিয়েছিলেন তিনি। সরলতা ও ঔদার্য ছিলো তাঁর শব্দ চয়ন এবং প্রশংসায়।
যেদিন খবরে দেখলাম বাংলা একাডেমি’র নতুন সভাপতি পদে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম যোগ দেবেন, মন বলছিল তবে কি সময় শেষ? আজ জানলাম সময় হয়েছে বিহঙ্গের।
মধ্যরাতে দুলে উঠবে না কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর গ্লাস। প্রণাম সিরাজী ভাই।ভালো থাকবেন অনন্তলোকে।
অজয় দাশগুপ্ত
ছড়াকার, কলামিস্ট
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।