[ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। দিনশেষে সেসব আবার হারিয়ে গিয়ে স্থান পাচ্ছে নতুন বিষয়। প্রশান্তিকার এই বিভাগে প্রতি সপ্তাহে থাকছে নির্বাচিত সেই স্ট্যাটাস।এই বিভাগে লেখা কোনরকম সম্পাদনা ছাড়াই হুবহু প্রকাশিত হচ্ছে।]
বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ভারতকে টপকে যাবে – এ পূর্বাভাস আইএমএফ এর আগে ভারতই বুঝতে পেরেছে এবং সেটা বহু আগেই।
সবদিক থেকে ভারত বাংলাদেশের সবচে ভাল বন্ধু রাষ্ট্রের দাবীদার হলেও রোহিঙ্গা ইসুতে প্রাথমিকভাবে মিয়ান্মারের পক্ষে ভারতের স্ট্যান্ড, গরু-পিঁয়াজ রপ্তানী বন্ধের মত হুটহাট ছেলেমি সিদ্ধান্তগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নাড়া দেয়ার ব্যার্থ চেষ্টামাত্র।
এ নিয়ে আমি তখনও লিখেছিলাম, রোহিঙ্গা ক্রাইসিসের শুরুতে মিস্টার মোদি যখন মিয়ান্মার সফর করে পূর্ণ সমর্থন দিলো তাদের। ভারত খুব করে চেয়েছিলো, মিয়ান্মারের সাথে আমরা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ি। আমাদের অর্থনীতি যাতে ছ্যারাব্যারা হয়ে যায়। হয়তো তাদের এই অতি উৎসাহর কারণেই বাংলাদেশ সতর্ক হয়ে সচেতনভাবে যুদ্ধ এভয়েড করে গেছে।
উপমহাদেশে ভারতকে ডিঙিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পরাশক্তি হোক, এটা ভারত আগেও চায়নি, কখনো চাইবেও না। এটা ভারতের দোষ না, বরং একধরনের রাষ্ট্রনীতি। গ্রামের সহজ ভাষায় এই রাষ্ট্রনীতিকে বলা হয়, “হিংসা, হিংসা, হিংসারে ভাই!”
মুহাম্মদ ইউসুফ
লেখক, বংশীবাদক।
ডিরেক্টর, বাংলাদেশ দূর্নীতি দমন কমিশন।
ঢাকা, বাংলাদেশ।