প্রশান্তিকা ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ার এশিয়া-প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডে (অ্যাপসা) এবছরের সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। সেই ২০১৩ সালের পরে অস্ট্রেলিয়ার আ্যপসা আ্যওয়ার্ডে আবারও বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হলো। সেসময়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘টেলিভিশন’ ছবিটি ফার্স্ট জুরি গ্র্যান্ড পুরস্কার অর্জন করে। কথাসাহিত্যিক ও ছবিটির চিত্রনাট্যকার আনিসুল হক ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা পুরস্কার গ্রহণে ব্রিসবেনে এসেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া- নিউজিল্যান্ড অঞ্চলে ছবিটির পরিবেশনা স্বত্বাধিকারী পথ প্রডাকশন্স ও দেশী ইভেন্টস প্রশান্তিকাকে বাঁধনের মনোনয়নের খবরটি জানায়।
গতকাল বুধবার অ্যাপসা কর্তৃপক্ষ সেরা অভিনেত্রী মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করে। সেই অনুযায়ী বাঁধন লড়বেন ইসরায়েলের আলেনা ইভ, রাশিয়ার ভ্যালেন্টিনা রোমানোভা-চেস্কিরে, অস্ট্রেলিয়ার লি পার্সেল ও নিউজিল্যান্ডের অ্যাসি ডেভিসের সঙ্গে।
খবরটি প্রকাশ করার পর উচ্ছ্বসিত বাঁধনও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ যেকোনো অভিনেত্রীর জীবনে এটা অনেক বড় সম্মান। বাংলাদেশ থেকে এই উৎসবে এর আগে কোনো অভিনয়শিল্পী মনোনয়ন পায়নি। এই প্রতিযোগিতায় যাঁদের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছি, যেসব দেশের অভিনেত্রীর সঙ্গে আমার নামটা এসেছে, এটা আমি কল্পনাও করতে পারি না। নিঃসন্দেহে মন ভালো, অনেক বেশি আনন্দ লাগছে। গর্ববোধও করছি। তবে আমি মনে করি, এই মনোনয়ন ছবির পরিচালক (আবদুল্লাহ মোহাম্মদ) সাদই পেয়েছে।’

অ্যাপসার ১৪তম আসরে এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৫ দেশের ৩৮টি চলচ্চিত্র বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এ বছরের নভেম্বরে অ্যাপসা বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান করা হবে। তবে অনুষ্ঠানে বাঁধন যোগদান করতে পারবেন না বলে জানান। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একই সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে এবং সে সময়ে তিনি দেশেই থাকতে চান।
উল্লেখ্য, বাঁধন অভিনীত রেহানা মরিয়ম নূর ছবিটি সদ্য সমাপ্ত কান ফিল্ম ফেস্টিভালের অফিসিয়াল সিলেকশনে দেখানো হয়। এটি ছিলো বাংলাদেশী সিনেমা হিসেবে একটি রেকর্ড। ছবিটি গত রোববারে ব্রিসবেনে সিনেমায় প্রথম মুক্তি পেয়েছে। এটি এবছরের সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভালের অফিসিয়াল সিলেকশনেও দেখানো হবে বলে জানা গেছে।
