প্রশান্তিকা ডেস্ক: সিডনিতে চীনের ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সন্দেহজনক চতুর্থ আরেক জন সহ আক্রান্ত তিনজনই সিডনি হাসপাতালে বিশেষ তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে নিউ সাউথ ওয়েলস্ হেলথ ডিপার্টমেন্টের বরাদ দিয়ে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে। আক্রান্ত চারজনই সম্প্রতি চীন ঘুরে এসেছেন।

জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়স্ক প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি গত ৬ জানুয়ারী চীন থেকে এলেও তার শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে ১৫ জানুয়ারী। দ্বিতীয় ব্যক্তি ১৮ জানুয়ারীতে চীন থেকে সিডনি পৌঁছায় এবং উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসেন ২৪ জানুয়ারী। তৃতীয় ব্যক্তি ২০ জানুয়ারীতে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সে সিডনি আসেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের দু’জন ভাইরাস আক্রান্ত চীনের উহান থেকে সরাসরি সিডনি আসেন, বাকী দু’জন অন্য আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ করা হয়েছে। গত শনিবার মেলবোর্নে প্রথম অস্ট্রেলীয় নাগরিকের ভাইরাস আক্রান্তের খবরের সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে এয়ারপোর্টে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিডনি ও চীনের উহানের মধ্যে সপ্তাহে তিনদিন ফ্লাইট ছিলো যা ২৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চীনে ভাইরাসের ফলে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল চাইনিজ লুনার নিউ ইয়ার সেকারনে দেশব্যাপি উদযাপন করা হয়নি। ভাইরাসের উৎসস্থল উহানে এক কোটির বেশি জনসংখ্যার সবাই শহর থেকে বের হতে পারছেনা। চীনে গতকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া পুরো চীনে ১২৮৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। চীনের বাইরে সারা বিশ্বে ১৩০০ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গুলোতেও বিশেষ স্কিনিং ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে চীনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ শ্বাসকস্ট ও জ্বর। এরকম উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের উৎস এখনো বের করা যায়নি। তবে অননুমোদিত পশু যেমন সাপ বা বাঁদুরের স্যুপ খাওয়া থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। মাংস পুরোপুরি জ্বাল না দিয়ে খাওয়ার কারনও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন জানায়, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে ফার্মে বা বন্য প্রাণীর কাছাকাছি না যাওয়া শ্রেয়। এছাড়া মাংস, ডিম বা অন্যান্য মাংসাসী খাবার পুরোটা সেদ্ধ করে রান্না করতে হবে। জ্বর বা শ্বাসকস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।