প্রশান্তিকা ডেস্ক: ড. রেজাউল চৌধুরী রবিন পরিবার নিয়ে বাস করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের টুউম্বায়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র এবং শিক্ষক রবিন পেশায় ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। গতকাল শনিবার তিনি স্থানীয় একটি পার্কে বার্বিকিউ করার সময় বন্ধু, পরিবার এবং সন্তানদের সামনেই হঠাৎ মারা যান ( ইন্না লিল্লাহি….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং দুই ছেলে রেখে গেছেন। ছেলেরা যথাক্রমে ইয়ার নাইন এবং ইয়ার ফোরের ছাত্র। তাঁর মৃত্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

বার্বিকিউয়ে অংশগ্রহণ করা তাঁর এক বন্ধু জানান, “BBQ এর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রবিন। আমরা BBQ শেষ করলাম, হাশি-খুশি দুস্টামিতে মত্ত ছিলেন। বাচ্চাদের প্রাইজ বন্টনের পর চেয়ারে বসলেন, এক মিনিট পরে উনার ওয়াইফকে বললেন আমার খারাপ লাগছে, পানি দাও। ভাবি কথাটা শোনার সাথে সাথে ভাই পড়ে গেলেন, ভাবির চিৎকার এর সাথে সাথে গিয়ে উনাকে ধরলাম, সিপিআর দিচ্ছিলাম, প্যারামেডিক আসল, টানা ৩৫ মিনিট যুদ্ধ করলেন, ৩৫ মিনিট পরে তারা ঘোষনা করলেন, রবিন ভাই আর নাই।”

সিডনি প্রবাসী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাইয়ের (সাস্টিয়ান) ভাইসপ্রেসিডেন্ট তাঁর বন্ধু সাজ্জাদ সিদ্দিক প্রশান্তিকাকে জানান, “গতকাল সর্বশেষ বেলা ১১টার দিকে রবিন আমার সাথে বার্বিকিউ থেকেই ফোনে কথা বলেন। রবিনও আমাদের সাস্টিয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। টুউম্বায় সাস্টিয়ানের ১৮টি পরিবার থাকে, সবাই মিলেই কাল বার্বিকিউ করছিলেন। রবিন ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তিনি সাউথ অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি লাভ করেন। তারপর তিনি ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডে অধ্যাপনা শুরু করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইউনিভার্সিটি অব আল এইনে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি সেখান থেকে তিন বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। এরপর আবারও সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডে অধ্যাপনা শুরু করেন এবং CSIRO এ গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে তিনি ছিলেন গোল্ড মেডালিস্ট। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।”
বার্বিকিউয়ে উপস্থিত বন্ধুরা জানিয়েছেন, তাঁর কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়েছিলো। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তাকে কোথায় দাফন করা হবে সে ব্যাপারে এখনও জানা যায়নি।