প্রশান্তিকা ডেস্ক: গত ২মে রবিবার সন্ধ্যায় সিডনির রকডেলে এক রেস্টুরেন্টে ভাবগম্ভীর ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস ও মিডিয়া ক্লাবের ইফতার ও দোআ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম।
ইফতার উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নাজমুল হুদা, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিকরা। ইফতারের পূর্বে কোরআন তেলোয়াত, দোআ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রেস ও মিডিয়া ক্লাবের কোষাধ্যাক্ষ আবুল কালাম আজাদ। মোনাজাতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশির সর্বাঙ্গীণ মঙ্গলের জন্য দোয়া করা হয়।
ইফতার পরবর্তী আলোচনা সভায় ক্লাবের সহ-সভাপতি কাজী সুলতানা শিমি’র প্রাণবন্ত সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ডঃ শাখাওয়াত নয়ন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ইউসুফ টুটুল। ডঃ নয়ন বলেন, আমরা এমন একটি দিনে এক হয়েছি যখন বাংলাদেশ পুড়ছে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে, সময় হয়েছে প্রতিবাদ করার। ইকবাল টুটুল সংগঠনের গত কয়েক বছরের ধারাবাহিক সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের এই গতিশীলতা ধরে রাখতে হবে এবং সাংবাদিক ও সম্পাদকদের স্বার্থ ও স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলমকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনের সভাপতি জনাব রহমত উল্লাহ। পরবর্তীতে আন্তজার্তিক ভাষা দিবস উপলক্ষে লাকেম্বাতে স্মৃতি সৌধ তৈরিতে অনবদ্য অবদান রাখায় সংগঠনের সদস্য নোমান আল শামীম ও সদস্য কাউন্সিলর নাজমুল হুদাকে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মানিত করেন কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম। সভাপতি জনাব রহমতুল্লাহ জয়যাত্রা টিভির পক্ষ্য থেকে প্রভাতফেরী পত্রিকার সম্পাদক শ্রাবন্তী কাজী আশরাফীর সম্মানী তু্লে দেন সুলাইমান দেওয়ানের হাতে।
অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম। তিনি বলেন, বিদেশে আপনাদের অনবদ্য কাজেই দেশ জানতে পারে আমাদের এই ভুবনের কথা, আপনারা আপনাদের ভাল কাজ কম্যুনিটির জন্য উৎসর্গ করুন। সংগঠনের উপদেষ্টা আবু রেজা আরেফিন বলেন, সিডনির একটি বিশেষ মুহূর্তে আমাদের সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের জন্য তৈরি হয়েছিলো এই সংগঠন, যা আমাদের জন্য গর্বের। ABBC অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে বলেন, বিভেদ নয় ঐক্যই আমাদের কাম্য।
কাউন্সিলর নাজমুল হুদা বলেন, আমাদের সৌধ কোনো ব্যক্তির নয়, জনগনের। দিন শেষে এটাই আমাদের প্রাপ্তি। সংগঠনের সিনিয়র সদস্য নোমান আল শামীম ফুলেল শুভেচ্ছার জন্য সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, আমাদের কাজটাই থেকে যাবে, আমাদের কথা কেউই মনে রাখবে না। কমিউনিটির প্রবীণ ব্যক্তিত্ব গামা আব্দুল কাদির তাঁর বক্তব্যে স্মৃতি সৌধের বিরুদ্ধে দাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, যাদের কোনো অবদান নেই তারাই এসব করে বেড়ায়, অথচ এই পরিশ্রম অন্য যায়গায় করলে এরকম আরো সৌধ গড়ে উঠতে পারতো। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস ও মিডিয়া কাউন্সিলের সেক্রেটারি আব্দুল মতিন তাকে এই মহিমান্বিত ইফতারে দাওয়াতের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সংগঠনের মধ্যকার সম্পর্কটা খুব দরকার। সাবেক বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ নিউ সাউথ ওয়েলস এর সভাপতি আ ক ম শফিক বলেন, এই ধরনের ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে উঠে, যা আমাদের জন্য সুখকর।
পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য প্রদান করেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস ও মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি রহমত উল্লাহ। অনুষ্ঠান শেষে সম্মানিত অতিথিবৃন্দের সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।