মৃত্তিকা আমায় যতটুকু দিয়েছে,
কেড়ে নিয়েছে ততোধিক।
আগুন শুধু পুড়িয়েই বিনাশ!
জলের সান্বিধ্য শীতলতা দিলেও
ঘর বাঁধতে দেয়নি, আমায়।
অন্তর্ধানের পর আমার মরদেহ
সমাধিস্থ হয়ে মৃত্তিকা তলে অকারণ গলে যাক,
ভাবতেই মনে হয়, অথর্ব আমি জীবদ্দশায়
গলেই তো ছিলাম আমৃত্যু!
শ্মশানে পুড়ে ছাঁই হলেও বা তৃপ্তি কই?
যাপিত জীবনে ছাঁইয়ের চেয়ে খুব বেশি মুল্যবান ছিলাম কি কখনোই?
তাহলে, মরে গিয়েও আবার ছাঁই কেন?
তারচে বরং আমার শবের সৎকার হোক
অথৈ জল গভীর অবগাহনে..
অন্তত কিছু মাছেদের এক বেলা আহার হতে পেরেও সামান্য কাজে লাগবার বিহবলতায়
হতে পারবো সিক্ত।
বেঁচে থাকতে কত মাছই না, খেয়েছি!
মরণের পর তাঁদের কিছু ঋণই নাহয় শোধ হোক আমার শবদেহ ভক্ষনে।
আকালের অকর্মন্য এই আমি
কোন কাজেই তো লাগিনি কখনো।
মৃত্যু উত্তর এ অহমিকা শখ টুকু থাকনা, মাটির পরে।
অলংকরণ: আসমা সুলতানা মিতা
এইচ. এ ববি।
ক্যানবেরা, অস্ট্রেলিয়া।
১৪ ডিসেম্বর ২০২০।