পাশে চশমা, চশমার একটি কাচ ভেঙে গেছে। এতক্ষণে হাতের পাইপ সিঁড়িতে স্থান নিয়েছে। ….তাঁর ডান হাতের তর্জনীতে একটি বুলেট লেগেছে, আঙুলটা কোনমতে ঝুলে রয়েছে হাতের সঙে। এইবার শুরু হলো তাঁর পাঞ্জাবির রক্তে ভিজে ওঠা। প্রথমে ধীরে, তারপর বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো…( আগস্ট আবছায়া- মাসরুর আরেফিন)
যার ডাকে, যে তর্জনীর আহবানে সারা বাংলা ঝাপিয়ে পড়েছিলো, যার দরজা খোলা থাকতো সব শ্রেণীর মানুষের প্রবেশের জন্য। সেই দরজা দিয়ে আর একটু পরেই শয়তান রূপে প্রবেশ করবে নূর, মহিউদ্দিন, হুদা, মোসলেমরা। ওরা তছনছ করবে জনকের সেই তর্জনী। আর দূর মসনদে প্রহর গুনবে একালের মীরজাফর রূপী খন্দকার মোশতাকেরা।
কিন্তু ওরা কি সত্যিই তাঁর তর্জনী ভাঙতে পেরেছিলো ? না, পারেনি। যতোদিন বাঙলা, বাংলাদেশ আর বাঙালি থাকবে ততোদিন সেই তর্জনীর ডাক শুনবো আমরা।
আজ জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। জয় বাংলা।