প্রশান্তিকা ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’ ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকুলে আঘাত হেনেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আর কিছুক্ষণের মধ্যে ঘূর্নিঝড়টি বাংলাদেশের উপকুল অতিক্রম করবে। সাতক্ষীরা, খুলনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা সহ উপকুল অঞ্চলে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে।
করোনা মহামারীর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’ বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় সরকার ২৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে আমপান উপকূলে আঘাত হানার আগেই ভোলার চরফ্যাশনে ঝড়ো বাতাসে গাছ ভেঙে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
সমুদ্র উপকুলে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড় আমপান দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন নিকটবর্তী উপকূল দিয়ে অতিক্রম করা শুরু করবে। এলাকা পেরিয়ে যেতে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকাকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার বেগে বয়ে চলতে পারে।
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসসহ অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা নৌযানগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।