আমিই তো একজন সফল মানুষ: সফলতার সারমর্ম । দীন মোহাম্মদ মনির

  
    

বৈষয়িক জগতে আমার অন্তর্ভূক্তি প্রলুব্ধ করণের প্রাথমিক প্ররোচনাটি ছিল এরূপ – “ লেখাপড়া করে যে, গাড়ী-ঘোড়া চড়ে সে।” জীবনকে অর্থবহ করতে হলে বিষয়ভিত্তিক বিবেচনাটি সর্বাগ্রে স্থান পেলে এতে আমার কি দোষ ! আমি তো কখনোই আমার আমি হতে পারলাম না। আমার আমিটি ধীরে ধীরে অনাদরে, অবহেলায় আর বৈষয়িক ধারনার যাঁতাকলে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হতে হতে তোমাদের আমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তোমাদের আমিটি তোমাদের ধারনায় লালিত ও বিকশিত, তোমাদের ধারনায় সংজ্ঞায়িত সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত আচরনে বাধ্যগত, তোমাদের সফলতার সংজ্ঞায় উৎকৃষ্ট।

উদ্দেশ্যটি চরিতার্থ হলেইতো সফল বা ফলপ্রসূ ! প্রসূত ফলটি মাকাল নাকি সুস্বাদু এটিই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দেশ্যটির গুণগত বা আদর্শগত দিকটির উপর সফলতার মানটি নির্ভরশীল। চুরি যখন উদ্দেশ্য, চুরির দক্ষতা অর্জনটি এক্ষেত্রে সফলতা। একজন খেলোয়াড়ের কাছে কৌশলগুলি রপ্ত করাটি তার সফলতা। একজন কৃষকের নিকট অক্লান্ত প্ররিশ্রম প্রসূত ফসল প্রাপ্তিটি তার সফলতা।সুতরাং উদ্দেশ্যগুলির ভিন্নতায় সফলতার ক্ষেত্রটি ভিন্ন হয়। আবার সম্পর্কের ভিন্নতায়ও সফলতার রূপে পার্থক্য হয়। উদাহরণ স্বরূপ- একজন সফল মা, একজন সফল বাবা, একজন সফল ভাই, সফল বোন ইত্যাদি সম্পর্কের সংজ্ঞায় সফলতার পরিপূর্নতাটি নিশ্চিত করে না; অর্থাৎ একজন সফল মা সন্তানদের সাপেক্ষে সফল হলেও অন্যান্য ক্ষেত্র ও পাত্র সাপেক্ষে যে সফল, তা নিশ্চিত করে না যুক্তিসঙ্গত ভাবেই। অতএব, সফলতার আংশিক সনদপত্রটি যুক্তিযুক্ত কারনেই আংশিক সত্যের মত মিথ্যায় পর্যবসিত হয়; যেমন আংশিক সফলতা রূপ আগরবাতির সুগন্ধ ভাগাড়ের দূর্গন্ধ থেকে মুক্তি দেয় না। এই সফল মা-ই হয়তো একজন ব্যর্থ বোন, ব্যর্থ সন্তান, ব্যর্থ স্ত্রী, ব্যর্থ শ্বাশুড়ী অথবা একজন ব্যর্থ মানুষ। তাহলে মানুষ বিবেচনায় সফলতাটিই উপযুক্ত। কিন্তু একজন সফল মানুষের সংজ্ঞায় প্রচলিত কতিপয় ধারনা বিতর্কিত।

মানুষ প্রাণীটির অনেকগুলি উদ্দেশ্য তার ক্রমবিকাশ ধারায় চালিকাশক্তি রূপে কাজ করে।উদ্দেশ্যগুলি প্রাথমিক ধাপে পারিবারিক আকাংখা, মূল্যবোধ এবং সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক মর্যাদা ও প্রশংসার প্রচলিত মানদন্ডের উপর ভিত্তি করেই মানুষটির উপর তার কর্তৃত্ব স্থাপন করে। প্রচলিত মানদন্ডের গুণগত মানটি আদর্শ অবস্থা থেকে কতটা বিচ্যুত তা বেশিরভাগ মানুষই যাচাই করার ফুসরত পায়না কিংবা প্রচলিত কাংখিত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার মহোৎসবে এতটাই নিমগ্ন থাকে যে যাচাইয়ের জন্য দায়ী ইন্দ্রিয়টি মৃতপ্রায় থাকে।যে সমাজে শুধুই যোগ্যতার স্বীকৃতি মেলে সেখানে যোগ্যতা অর্জনটিই একমাত্র উদ্দেশ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অন্যান্য মানবসংশ্লিষ্ট কর্তব্যসংক্রান্ত অবশ্য করনীয় কর্মসম্পাদনের উদ্দেশ্যগুলি অজানাই রয়ে যায়।একটি বিশেষ কর্ম সম্পাদনের ক্ষমতা অর্জনটি সাধারণত যোগ্যতা হিসাবে পরিচিত। বিশেষ কর্মসম্পাদনটি কতটুকু বৈষয়িক সুবিধা বা বাহাবা অর্থাৎ প্রশংসা বহন করে তার উপরই সাধারণত যোগ্যতাটি অর্জনের চেষ্টা চলতে থাকে নিরন্তর। মানবকল্যাণমূলক কর্মক্ষমতা যার মাধ্যমে সুবিধা বা প্রশংসা প্রাপ্তির সম্ভাবনা কম সেটি অর্জনের প্রয়াশ তাই থাকে না বললেই চলে। কেউ কেউ অবশ্য সমাজসেবক উপাধিতে ভূষিত হওয়ার জন্য জনকল্যাণমূলক কিছু কাজ করে থাকে।

মানুষ হিসাবে যখন জন্ম, মানুষ হয়ে পারিপার্শ্বিক মানুষগুলির সাথে সুখে ও শান্তিতে জীবন যাপন করা এবং চিরন্তনকে স্পর্শ করা বোধ করি মানুষের একমাত্র ধর্ম হওয়া উচিৎ। এ ধর্মটি বহন করার এবং কার্যকর করার ক্ষমতা অর্জনের যোগ্যতাটিই মানুষকে সফলতার দিকে নিয়ে যায় এবং মানুষটিকে সফল মানুষ বলে স্বীকৃতি দেয়। আত্মতৃপ্তির জন্য, প্রজন্মের জন্য এবং চিরন্তনকে লাভ করার জন্য এ স্বীকৃতি লাভের চেষ্টাটি নিষ্কলঙ্ক। এখানে “সুখে ও শান্তিতে জীবন যাপন” ব্যাপারটি সহজ মনে হলেও বিষয়টির ব্যাখ্যা প্রয়োজন। সুখ ব্যাপারটি তৃপ্তি হতে প্রসূত, আর তৃপ্তি উপলব্ধিটি কর্মফল হতে লব্ধ যেখানে কর্মটি সেবা দান-সেবা গ্রহণের সাম্যাবস্থার সংজ্ঞায় সম্পূর্ণ। সেবা দানের ক্ষমতাটি অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে কর্মক্ষম করার যোগ্যতাটি সফল মানুষ হিসাবে পরিণত হওয়ার একটিমাত্র অধ্যায়। অপরদিকে অন্য সকল সফল মানুষের পর্যাপ্ত কর্মতৎপরতার উপর সেবা গ্রহণের সুযোগটি নির্ভরশীল। সুতরাং দান করার ক্ষমতাটি সকলে অর্জন করলে গ্রহণের সুযোগটি স্বয়ংক্রিয় ভাবেই লাভ করা যায়। তৃপ্তি লাভের দ্বিতীয় অধ্যায়টিও মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকে ত্যাগের মহিমায়ই পূর্ণ। এ ত্যাগটি হলো সম্পূর্ণ কলংকমুক্ত ; অর্থাৎ এ ত্যাগের মধ্যে নি:স্বার্থ সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ব্যতিত অন্য সর্বপ্রকার প্রাপ্তির আকাংখা অনুপস্থিত থাকবে।আর অন্য একটি মানুষের পরিতৃপ্তির হাসি ও খুশির মধ্যেই আত্মতৃপ্তির ফসল নির্মল শান্তিটি উপস্থিত। তাহলে মানবের আদর্শ রূপটিতে নিজেকে উন্নীত করার চলমান প্রক্রিয়ার সর্বশেষ অবস্থাটিই হলো সফলতার শীর্ষবিন্দু। এই শীর্ষবিন্দুটি ব্যক্তি ভেদে কেউ অল্প সময়ে, কেউ দীর্ঘকাল ব্যাপী, আবার কেউ কখনোই অর্জন করে না। আর এই আদর্শ রূপটিতে নিহিত থাকবে মানবকল্যাণ, মনুষ্যত্ব বোধ, সেবা করার ক্ষমতা, আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের সহায়ক নিয়ামকের ভূমিকায় নিজের অর্ন্তভূক্তি, মমত্ববোধ এবং আত্মার প্রশান্তির জন্য চিরন্তন অবগাহনে নিজেকে সামিল করার মানসিকতা। চিরন্তন অস্তিত্বটি একটি মূল অস্তিত্ব যা চিরকাল ব্যাপী একই রূপে পার্থিব সীমানা বহির্ভূত ক্ষেত্রে অবস্থান করে। এ অস্তিত্বটিতে আছে মানবিক সহজাত প্রবৃত্তি যা কখনোই পার্থিব ভোগে তৃপ্ত নয়। এ অস্তিত্বটিতে অবগাহন এজন্যই জরুরী যে, এতে স্বীয় বর্তমান অবস্থাটি মূল অবস্থাটি থেকে কতটুকু বিচ্যুত তা অনুধাবন করে প্রতিনিয়তই নিজেকে আদর্শ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। সফল মানুষ এ আদর্শ অবস্থায় সর্বদাই অধিষ্ঠিত থাকে।

কালের প্রবাহে, আপাত প্রয়োজনীয় প্রয়োজনের তাগিদে, সামাজিক মোহের ভ্রমে, সন্মিলিত সামাজিক অসুস্থ সংস্কৃতির প্রভাবে এবং সর্বক্ষেত্রে আদর্শ নির্ণয়ে যুক্তিহীন ভাবে অনুপযুক্ত মানদন্ড ব্যবহারের কারনে সফলতা সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। উপযুক্ত ভাবে সফলতাকে সংজ্ঞায়িত করা, তার মাধ্যমে সফল মানুষকে স্বীকৃতি দেয়া এবং তাদের যথাযথ সম্মান দেয়া ও প্রশংসিত করা একটি স্বচ্ছ ও নির্মল সমাজের প্রাথমিক কর্তব্য। সত্যিকারের সফল মানুষটি কখনোই এই প্রশংসা ও স্বীকৃতির পরোয়া করে না কিন্তু এ উপাদানগুলি মানুষটিকে এমনই একটি মর্যাদার আসনে আসীন করে যা তাকে প্রতিনিয়তই কর্তব্যটি পালনে উৎসাহরূপী চালিকাশক্তি যোগান দেয়। কৃতিত্বের বদৌলতে সম্মান ও মর্যাদা প্রাপ্তির বাসনাটি সর্বদাই নিষ্কলঙ্ক। বাসনাটি প্রতিযোগিতাহীন, সাম্যবাদী ও চিরন্তন আদর্শ অবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলির একটি। সাম্যবাদী এ অর্থে যে, এ কৃতিত্বটি সকলে অর্জন করলেও একক ব্যক্তির কৃতিত্বকে কখনোই খাটো করে না কিংবা একক সফল ব্যক্তিটি তার কর্মের গুনগত মানটি নিয়ে সংশয়ে থাকে না বরং এটা ভেবে আত্মতৃপ্ত থাকে যে, সকলেই যোগ্যতাটি অর্জন করতে পেরেছে যার মাধ্যমে নিষ্কলঙ্ক ও সুন্দর বসবাস উপযোগী একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। এতে করে, যে কিনা ঐ মানদন্ডে নিজেকে উন্নীত করতে পারলো না, তার চেষ্টা থাকবে কিভাবে উপযুক্ত কর্মের মাধ্যমে সৈই মর্যাদা লাভ করে নিজেকে কলঙ্কমুক্ত করা যায়। সম্পূরক একটি প্রচলিত ধারনা- “ আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে” এতে সবাইকে রাজা অর্থাৎ সফল হতে বলা হয়েছে; প্রজা শ্রেনীটি নিজেদেরকে রাজার গুনাবলী ও ক্ষমতায় উন্নীত করে রাজা শ্রেনীতে নিজেদেরকে অর্ন্তভূক্ত করবে। রাজাদেরও দায়িত্ব থাকবে অবশিষ্ট প্রজাদের যথাযথ মানসিক, আত্মিক ও অন্যান্য সহায়ক উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের সফল করে তোলা।

সফলতার বর্তমান মানদন্ড, স্বীকৃতি দানের ক্ষেত্রসমূহ এবং এর প্রভাবে মানুষের বর্তমান উদ্দেশ্য ও প্রবনতা সমাজ-সংসারে যে ঋণাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করছে তা উদাহরণ স্বরূপ আলোচনা করা যেতে পারে; যেমন, এভারেস্ট জয়ের বা এর চূড়ায় পদক্ষেপের সম্পাদিত কর্মটিকে সফলতা আখ্যা দিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার নির্বোধ প্রয়াশটি তন্মধ্যে একটি।এ কর্মটিতে মানবকল্যাণ মূলক কোন উৎপাদক নেই বরং জয়ের নেশায় ব্যক্তিটি শুধুই নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। জীবনঝুঁকিপূর্ণ কর্মফলটি যদি এমন কিছু বহন করে আনে যা অন্তত: একটি মানুষ বা একাধিক মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ তা স্বীকৃতিযোগ্য; স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবন ঝুঁকি, মানুষের বা পরিবারের খাবার নিশ্চিত করার জন্য ঝুঁকি, কল্যাণকর বা মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঝুঁকি প্রসংশনীয় ও স্বীকৃতিযোগ্য।
তবে এমন কিছু কর্মকান্ড যা একটি জাতির তথা দেশের পরিচিতি ও সুনাম বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বা মানুষেকে সুস্থ মনোরঞ্জন দান করে, সে সমস্ত কর্মকান্ডের সফলতার স্বীকৃতি গ্রহনযোগ্য । তাই বলে নিজেকে রক্তাক্ত করে বা নিজেকে আগুনে ঝলসে আনন্দ দানে দাতা ও গ্রহিতা উভয়েরই মানসিকতার অসুস্থ রূপটি স্বীকৃতিযোগ্য নয়। সহজ কথায়, যে সমস্ত কর্মকান্ড যেমন, খেলাধুলা, গান-বাজনা, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি কর্মকান্ড যেগুলির মধ্যে সৃজনশীলতার যোগ্যতাটি উপস্থিত তা স্বীকৃতিযোগ্য। সুতরাং, সফলতার স্বীকৃতি দানের জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র নির্নয়ে যথাযথ না হলে, অনুপযুক্ত কর্মযজ্ঞের মহোৎসবের খরস্রোতে মানুষ নামের প্রতিষ্ঠানটি শুধুই কলুষিত হবে; এতে করে ক্যান্সার স্বরূপ রোগের মত একক কোষ সমতুল্য মানুষটির দূষণে দেহতূল্য সমগ্র জাতি দ্রুতই দূষিত হয়ে মৃত্যুর বিস্বাদ নেবে।

যুগে যুগে মানবের সার্বিক কল্যানের ধারাটি চিরস্থায়ী ও প্রজন্মান্তরে বহমান করার জন্য মানুষের চেষ্টা যে ছিল না, তা নয়; তবে ধারাটি অব্যাহত ভাবে চলমান নেই, এটিই সত্য। একজন সফল মানুষের রূপ, তার কর্মকান্ড ও কর্মকান্ড সম্পাদন করার যোগ্যতা তেমনই হওয়া যথার্থ, যেমনটি হলে মানবজন্মের সার্থকতার চিরন্তন ও নির্মল রূপটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ আদর্শ গুনটি অর্জনের সাধনা ও চর্চার কাজটি জীবনব্যাপী। এটি ভিত্তি এবং এটি বাধ্যতামূলক। অন্যান্য বিশেষ ক্ষেত্রের যোগ্যতাটি রাজার রাজমুকুটে খঁচিত মুক্তার মত, যেখানে আদর্শ মানুষটি রাজমুকুট পরিহিত রাজা আর মুক্তাটি বিশেষ যোগ্যতার একটি স্বীকৃতি। অতএব, রাজা হওয়ার প্রাথমিক সফলতাটি অর্জন ব্যাতীত শুধুই মুক্তা অর্জন অর্থহীন। এমনই একটি সংস্কৃতি দরকার, যেখানে রাজার সম্মান লাভে সবাই রাজার মত হবে। সমাজ এ ধরনের সফল মানুষকে স্বীকৃতি দেবে, তাকে যথাযথ মর্যাদা দান করবে এবং এ স্বীকৃতি ও মর্যাদা দানের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এরূপ বদ্ধমূল ধারনায় উন্নীত করবে যেন তারা মনে করে সফলতার এ ধারাটিতেই মানবের সার্থকতা, মর্যাদা ও প্রশান্তি।

দীন মোহাম্মদ মনির
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Md Monir Uddin
2 years ago

খুব সুন্দর করে বর্ণনা করলেন তার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। মানুষ প্রতিনিয়ত ডিসিশন নিতে অনেক দেরি করে নেই একটা ডিসিশন মানুষকে অনেক পরিবর্তন করে দেয়।