প্রশান্তিকা ডেস্ক: প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নাট্যজন আলী যাকের আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ফুসফুসের ক্যান্সারে ভূগছিলেন। জানা গেছে, গত সোমবারে তাঁর দেহে কোভিড টেস্ট করা হয়, যার ফলাফল ছিলো কোভিড পজেটিভ। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গনমাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে আলী যাকেরের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। তিনি জানান, শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আলী যাকেরের মরদেহ বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে নেওয়া হবে। এরপর দাফন করা হবে। তবে কোথায় দাফন হবে, এখনো সেটা ঠিক হয়নি।
১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর আলী যাকের জন্ম গ্রহণ করেন। অভিনেতা, ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট এবং আলোকচিত্রী হিসেবে তিনি সমান জনপ্রিয় ছিলেন। টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের সাথে তিনি দেশীয় বিজ্ঞাপনশিল্পের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। আলী যাকের বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের কর্ণধার। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। তাঁর সহধর্মিনী সারা যাকের এবং ছেলে ইরেশ যাকেরও অভিনয় ও নির্দেশনার সঙ্গে জড়িত। শ্রেয়া সর্বজয়া নামে তাঁর একটি মেয়ে রয়েছে। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল প্রথম আলো আজীবন পুরস্কার লাভ করেছেন।