কেউ আসে,চলে যায়
দীপংকর গৌতম
কেউ কেউ চলে যেতে আসে-কেউ কেউ হেরে যেতে।কেউ কেউ চলে যায়, কখনও আসেনি এইভাবে।
রহস্যের কিছু জাল থাকে
স্বপ্নের জাল থাকে।জাল বলতেই পেছন থেকে আক্রমনের গন্ধ থাকে।অাটকে দেয়ার রাজনীতি থাকে।
হা অভিমন্যু জালে আটকে দিয়েছে তোমাকে
এর নাম ষড়যন্ত্র,রাজনীতি এর পিতা।
রাত বাড়লেই কষ্ট বাড়ে
আমার জানালায় ঝুলতে ঝুলতে রাতগুলো বয়সী হয়ে যায়। কপালে ভাঁজ নামে।গালে গর্ত হয়।ধীরে ধীরে ক্ষয় মৃত্য।
বাবা বলতেন মৃত্যুর আগে মানুষ তার নাসিকা রন্ধ্র দেখতে পায়, প্রিয় মানুষ,প্রিয় স্থানে যেতে ইচ্ছে করে।
আমার নাসিকা রন্ধ্র দেখা হয় না।বুলবুলি পাখির ডাকে ঘুমাতে জাগতে ইচ্ছা করে। বন্ধুদের সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করে।আমার গ্রামের রাস্তায় দল বেঁধে বসে থাকতে ইচ্ছে করে।মায়ের আঁচল থেকে একটা আধুলি চুরি করে ছুটতে ইচ্ছে করে।
মা নেই কতকাল।বন্ধুরা ব্যস্ত।সবাই ছুটছে—হন্যে হয়ে ছুটছে। কি লাভ এত ছুটে।তা কেউ জানি না।
আমার জানালা সোজা লাল অক্ষরের দোকানটা ওদিকে তাকালেই একটা বুলবুলির কথা মনে হয়।জানালা এখন খা খা করে।এখানে পাখিহীন-শীতল রাত্রি নামে।
আমি এখানে বসেই থাকা না থাকার গান গাই।
এগান যেখানে সত্য সেখানে পাখিরা ঠোট ধুয়ে যায় বেত্রবতীর জলে।
অলংকরণ: দীপংকর গৌতম।