একটা সময় ছিল যখন এই সিডনিতে সাপ্তাহিক বাংলা রেডিও বা মাসিক কাগজের পত্রিকা শব্দের তরঙ্গ অথবা পথের দূরত্ব পাড়ি দিয়ে হাতে বা কানে যখন পৌঁছাত – ততক্ষনে খবরটি বাসি হয়ে যেত। তারপরও সবাই খুশী থাকতাম। কথায় বলে, যার পেটে খাবার নাই তার আবার তাজা আর বাসি খাবারের হিসাব মানায় না। হুট করে কোন খবর পাবার একমাত্র ভরসা ঐ ব্যক্তিগত পরিচয়ে – একে, ওকে ফোন করা আর কি। সেখানেও অনেক ঝামেলা। দাওয়াতের হিসাবে কেউ বাদ পড়লে – তাকে তো আর ফোন করে খবর জানা যাবে না। কত হিসাব মেনে চলতে হয় এই প্রবাসে।
কিন্তু এমন একটি অবস্থার পরিবর্তন হলো বাংলা-সিডনি ডট কম দিয়ে । একটি ওয়েব পোর্টাল যা প্রবাসী বাঙ্গালীদের চোখ এক জায়গায় নিয়ে এলো। যে কোন খবর, তা সে অনুষ্ঠানের হোক বা কবিতা-গল্পই হোক – ধীরে ধীরে জমা হতে লাগলো এই পোর্টালে। বাংলা-সিডনি ডট কম ধীরে ধীরে সবার ভার্চুয়াল মিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠলো।কেউ কেউ প্রশংসা করলো, কেউ নিন্দা করলো – কিন্তু এই ওয়েব পোর্টালটি বন্ধ হলো না। একজন মানুষ কানে তুলো দিয়ে এক মনে কাজ করে গেলেন। সেই পোর্টালে এখন শুধু অনুষ্ঠানের খবরই থাকে না – সেই অনুষ্ঠানের উপর ভিডিও রিপোর্টিংও থাকে। আজকাল তো পুরো নাটকও তুলে দিচ্ছে।
এই কাজে কি পরিশ্রম কম? সবাই অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি চলে যান। আর একজন মানুষ অনেক আগে থেকে সেই অনুষ্ঠানের খবর আমাদের জানিয়ে দেন। অনুষ্ঠানের দিনে আমরা যখন প্রিয়জনকে নিয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখি আর হাত তালি দেই – সেই মানুষটি তখনো ক্যামেরায় চোখ রেখে খেয়াল রাখেন যে ক্যামেরার ফ্রেমিং ঠিক আছে কিনা। বাড়িতে ফিরে আমরা যখন তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি – তখন রাত জেগে সেই মানুষ ভিডিওগুলো যত্ন করে জোড়া লাগিয়ে বাংলা- সিডনি তে আপলোড করেন। স্রেফ আমাদের জন্য।
সেই মানুষটির আজ জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন আনিসুর রহমান।
আপনারা শুরু করেছিলেন বলেই তো আমরা মিছিল ভারী করেছি।
-প্রশান্তিকা পরিবার।