অবশেষে বিশ্বকাপ হাতের মুঠোয় আমাদের। ক্রিকেটে হার জিত আছে এ কথা শুনতে শুনতে জয়ের কথা ভুলেই বসেছিলাম আমরা। আকবর দ্যা গ্রেট আমাদের এনে দিলেন অনূর্ধ ঊনিশের বিশ্বকাপ।
ক্রিকেট মোড়ল নামে পরিচিত ভারতের বিরুদ্ধে জেতা এতো সহজ কিছুনা। ওরা অভিজ্ঞতা পুষ্ট। ক্রিকেট ওদের ব্যবসা বানিজ্য, জীবন ও খোয়াবের অংশ। সেখানে ক্রিকেট তারকারা এক একটি দেবতা বা ড্যামি গড।
সে তুলনায় অপেক্ষাকৃত নবীন আমরা। তারপর কত রাজনীতি কত মত ! কিন্তু একটা বিষয় পরিস্কার আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের হাঁটু কাঁপা বাস্তবতা এখন নাই।
শরিফুল অভিষেক বা আকবরেরা কাউকে ভয় পায় না। মেরুদণ্ড সোজা করার শক্তি দিয়েছে দেশের অগ্রগতি ও উন্নতি। মানুষ যত আয় রোজগার ও সামাজিক স্থিতিতে থাকবে ততো তার শিরদাঁড়া সটান হবে।
তারই পরিচয় পেলাম গতকাল। তারুণ্যের বিশ্বাস ও মনোবল আগাগোড়া একই ছিলো। আমরাই ভয়ে মনোগত দূর্বলতায় হেরে যাবো, হেরে যাবো ভয়ে একবার টিভি খুলি আর একবার বন্ধ করি।

আশা করবো এই বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে এমন কিছু করা হবে না বা এমন সব উপঢৌকন দেয়া হবে না যাতে মাথা বিগড়ে যায়। আর গেলে কি হয়? আজ সকালেই ইনিংস ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে গুটিয়ে গেছে আমাদের বড় তারকারা।
এই জয় হোক ধারাবাহিক। এই তারুণ্য হোক আমাদের দীপ শিখা। এরাই সে ওরা এগার জন যারা নতুন ভাবে বাংলাদেশকে মুক্ত করে। এগিয়ে রাখে বিশ্ব দরবারে।
স্যালুট হে আকবর বাহিনী।
জয়তু বাংলাদেশ ক্রিকেট।
অজয় দাশগুপ্ত
কবি, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক
সিডনি,অস্ট্রেলিয়া।