
প্রশান্তিকা ডেস্ক: বাংলাদেশে রাত পোহালেই কাল ঈদুল ফিতর। এক মাস সিয়াম সাধনার পরে খুশির ঈদ। করোনার এই ক্রান্তিকালে এই ঈদ কি সত্যিই খুশির বার্তা নিয়ে আসছে? ঈদের একদিন আগে আজ কোভিড-১৯ এ রেকর্ডসংখ্যক সর্বোচ্চ ২৮ জন মারা গেছেন। এর আগে একদিনে এতো বেশি মানুষ মারা যায়নি। এ নিয়ে দেশে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৮০ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬০০ জন মানুষ নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা রোববার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। গতকাল সারা দেশে মৃতের সংখ্যা ছিলো ২৪ জন। তিনি বলেন, গত এক দিনে দেশের ৪৭টি ল্যাবে ৮ হাজার ৯০৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে ২৫৩ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪ হাজার ৪৪৬ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩ হাজার ৬১০ জন।

সরকারের কঠোর নিয়মের মধ্যেও ঈদের আগে শপিং সেন্টার, ট্রেন, লঞ্চ এবং দূর পাল্লার বাস স্টেশনগুলোতে অনেক জনসমাগম দেখা গেছে। সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার কোন নজির দেখা যায়নি। এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ঈদ আসছে কাল। ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ, দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান, দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া সহ দেশের কোথাও বাইরে বা খোলা আকাশের নিচে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছেনা বলে জানা গেছে। করোনার কারণে এবছর মসজিদে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ জায়নামাজে সহ বিশেষ নিয়ম কানুন মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের দিন সকাল সাতটায় প্রথম জামাতে অংশ নিতে পারবেন মুসল্লিরা। এরপর পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং বেলা পৌনে ১১টায় আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে মাস্ক পরা সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।