করোনায় বার্ধক্য ভাবনা । পিয়ারা বেগম

  
    

পিয়ারা বেগম। জন্ম ১৯৫৬ সালের ৬ অক্টোবর, কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা গ্রামে। কবি, কথাসাহিত্যিক এবং প্রাবন্ধিক পিয়ারা বেগম আজীবন শিক্ষকতা করেছেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা নয়টি। মাদকদ্রব্যের বিস্তার, কুপ্রভাব এবং নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক অসংখ্য নিবন্ধ লিখেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন এবং প্রিন্ট পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন। প্রশান্তিকায় এটিই তাঁর প্রথম কলাম।

ভাবনা-১
জীবনের সুখ-দুঃখের কতই-না বিচিত্র মুহূর্তগুলো কখনো পিছে ঠেলে, কখনোবা মুছে ফেলে এসেছি। আর এগিয়ে চলেছি বাধ্যবাধকতার বৃত্তবন্দী হয়ে। কখন যে জীবন প্রবাহমানতার গণ্ডি পেরিয়ে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি যেন বুঝতেই পারিনি। পরিবেশ এমনি একটু একটু করে বদল হতে হতে সম্পূর্ণ পালা বদল ঘটেছে। কখন, কীভাবে তাও যেন টের পাইনি, বুঝিনিও। আজ করোনাভাইরাস আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছে হাড়ে-হাড়ে, শিরায়-শিরায় প্রাণকোষের প্রতিটি স্পন্দনে-স্পন্দনে। আর এর প্রতিক্রিয়ার বিরূপতাও পাচ্ছি ক্ষণেক্ষণে। এমনিতেই বার্ধক্যে যৌবন ক্ষয়ের রিক্ততা অন্যদিকে শারীরিক অবক্ষয়ের অসহায়ত্বতা। এ কারণে স্বাভাবিকভাবে এ বয়সে মানুষ অস্থিরতায় ভোগে। কখনো বিদ্রোহী হয়ে ওঠে বিষাদিত  মন। আর কান্না-হাসির দোল দোলানো জীবন হারিয়ে অপ্রকৃতস্থের মতো হা-পিত্যিস করে । তবে মৃত্যু অবধারিত জেনেও বার্ধক্যে কখনো এতটা অসহায়বোধ করিনি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুকে কাছ থেকে অনুভব করেছি। অনুভব করেছি অসহায়ত্ব আর একাকীত্বের মর্মবেদনা। উপলব্ধি করেছি একজন জবুথবু বৃদ্ধেরও বাঁচার কত আকুলতা?

করোনাভাইরাসের ছোবলে সংক্রমণের ঝুঁকিটা মূলত বয়স্ক লোকেরই বেশি। তাই এখন টিভি চ্যানেল খুললেই বার্ধক্যদের প্রতি বিশেষ সতর্কতা পালনে নির্দেশনা থাকে।আত্মীয়স্বজনরা খোঁজখবর রাখতে গিয়েও সাবধান থাকার পরামর্শ দেন। মূলত করোনায় বার্ধক্যের জন্যে একটা নৈরাশ্যের সুর, উৎকণ্ঠার সংকেত সবার কন্ঠে। একটা অশুভ দুর্ভাবনা  সবসময় মনটা বিমর্ষ থাকে। সবাই সবার ওপর যেন একটা আস্থাহীনতা,একটু সন্দেহের বাতিকতা কাজ করছে। কারণ,কে যে করোনার বাহক কেউ জানি না। কখন, কে যে সংক্রমিত হচ্ছে অজ্ঞাতসারে এটাও কেউ জানি না। এতে যেন সচেতন মানুষদের বিশেষ করে বয়স্কদের আত্মবিশ্বাসে ধস নেমেছে। সত্যি সত্যি একটা নৈরাশ্য মনের কোনে বাসা বেঁধেছে। মৃত্যু-ভয় অহর্নিশি তাড়া করে ফিরছে। করোনার কষ্টের মরণের ভয়াবহতা আর নিষ্ঠুরতা মূলত মর্মন্তুদ! আর এতটাই লোমহর্ষক যা শুনে মরার আগেই যেন জীবন্মৃত হয়ে আছি। ফলে একটা ছকবাঁধা জীবনাচরণে অভ্যস্ত হতে বাধ্য হচ্ছি। কোন পরিবারে আবার বার্ধক্যরা অবাঞ্ছিত মানুষ হিসাবে দুর্বিষহ দিন পার করছে। তাদের কষ্টের কোন শেষ নেই। সে কষ্টের কাছে করোনায় মৃত্যুর কষ্টও যেন ম্লান।
ওঠতে-বসতে করোনার ভয়াবহতার নেতিবাচক কথাবার্তা শুনে প্রভাবিত হচ্ছি আমরা। নিজের নেতিবাচক ধারণা, কথা বা চিন্তাও আমাদের মন ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। এতে আমাদের মন-মানসিকতা এমন কী ব্রেনও সেভাবে কম্পিউটারের মতো প্রোগ্রামড হয়ে যায়। একটু কাশি, হাঁচি এলেই ভাবছি, করোনাভাইরাস শরীরে প্রবেশ করেনি তো? এমনি একটা ভয়ের অদৃশ্য ভূত তাড়া করছে  ছায়ার মতো। এতে আমরা কেন, সচেতন যে কোন ব্যক্তিই এখন এমনি ভয়ের শিকার। আবার কেউ কেউ মাস্ক ছাড়া দিব্যি চায়ের স্টলে আড্ডা দিচ্ছে। আর ঘুরে বেড়াচ্ছে দেদারছে। তাদের একটুও চিন্তা নেই। আসলে,বোকা আর বেয়াকুবদের কোন বোধ শক্তি নেই। তাই তাদের কোন ভয় নেই, চিন্তাও নেই। তাই তো তারা ভোগে কম। যত জ্বালা আমাদের মতো একটু সচেতন মানুষদের। আমরা জানি, অল্প ভয় আনন্দের কিন্তু বেশি ভয় ভয়াবহ। এতে বুকের ভেতরটা সারাক্ষণ অতিকায়ভাবে ধুকধুক করে। ভয়ের ভয়াবহতা সীমা অতিক্রম করে গেলে ভয় সত্যিই ভয়ংকর। এতে আমাদের জীবনী শক্তিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। আমাদের আত্মবিশ্বাসকে গুঁড়িয়ে দেয়। তবে এভাবে কিন্তু আমরা নেতিবাচকতায় আসক্ত হয়ে পড়ছি। হেরে যাচ্ছি করোনার কাছে, করোনায় আক্রান্ত না হয়েও। এটা কী আমরা কেউ চাচ্ছি? না চাচ্ছি না। সবাই স্বাভাবিক চিন্তা, স্বাভাবিক জীবনোচ্ছ্বাসে বেঁচে থাকতে চাই। তাহলে করোনায় বার্ধক্যদের ভাবনা দূরীকরণ সম্পর্কে জেনে নিই।

এতক্ষণ ভয়ের নেতিবাচক প্রভাবে প্রভাবিত দিকটাই দেখেছি। কিন্তু এর উল্টো পিঠেও কিন্তু  ইতিবাচক দিক আছে। উদাহরণ হিসাবে বলছি, যেমন আগুন লাগার ভয়। যদি আগুনের ব্যাপারে আমাদের কোন ভয় না থাকে তবে আমরা সাবধান বা সতর্ক হতাম না। আগুনের ভয় আছে বলেই আমরা সাবধান থাকছি। যাতে ভবিষ্যৎ অসাবধানতায় আগুন দ্বারা আমরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই। রাস্তার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ভয়। আর ভয় আছে বলেই গাড়ি চালাচ্ছি সতর্ক হয়ে। নতুবা আজ হোক বা কাল হোক  দুর্ঘটনা ঘটতই। উভয়ক্ষেত্রেই মূলত ভয়ই আমাদের সতর্ক ও সজাগ রাখে। আমাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে।
শুধু তাই নয়, ভয় অনেকে সময় সৃজনশীল শক্তিতে পরিণত হতে পারে। যেমন অজ্ঞানতার ভয়। আর এ ভয় আছে বলেই জ্ঞান বিকাশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালয়ের জন্ম হয়েছে। পচা-বাসী খাবারে ভয়- ই মানুষদেরকে পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতার জন্ম দিয়েছে। আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আমাদের জীবনের ঝুঁকি আছে বলেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আমাদের সতর্ক করছেন। ফলে আমরাও এর সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে নিজেকে সুরক্ষায় সতর্ক হচ্ছি। আর করোনা প্রতিরোধে বিধিনিষেধ কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করতে সক্রিয় থাকছি। যেমন লকডাউন, সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি পালন করছি।
আমার মতে, জীবনটা আমার আর  সুতরাং আমার জীবন সুরক্ষায় বিধিনিষেধ মেনে চলার দায়িত্বটা আমারই। প্রশাসন এসে আমাকে হাত ধুইয়ে দিলেও কাজ হবে না। তবুও ঘটা করে নিয়মিতভাবে করোনা সতর্কীকরণ সম্পর্কিত  প্রচার-প্রচারণায় আমাদের সতর্ক করছেন। এতেও কিন্তু আমাদেরকে নিবৃত্ত করতে পারছে না প্রশাসন। এটা খুবই পরিতাপের বিষয়। তাই আমাদের নিজেদেরই উচিৎ করোনার ছোবল থেকে সুরক্ষায় সচেতনতার প্রতি সচেতন হওয়া। এ বিষয়ে আমাদের করণীয় বিষয়গুলো একটু ঝালিয়ে নিই।

ভাবনা – ২
প্রকৃতিগত কারণে, বয়স্কদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। আর এতে আমরা সর্বদা আতঙ্কিত থাকি কখন জানি করোনায় ধরে। বার্ধক্যজনিত কারণে এমনিতেই আমরা শারীরিক এবং মানসিকভাবেও অসুস্থ। তবে এটা তো সত্য, জীবনের সব সত্যের উর্ধে একটি মহাসত্য তা হচ্ছে মৃত্যু। যা অবধারিত। তাহলে একে এড়িয়ে যাবার কোন উপায় নেই। করোনাভাইরাস কেন,  অন্য কারণেও কিন্তু মানুষ মরছে। আমাদেরও মৃত্যু হতে পারে। তাহলে কেবলমাত্র করোনাভাইরাসকে ভয় করছি কেন? এতে কেন- ই-বা প্রতিটি মুহূর্তকে মৃত্যুমুহূর্ত বানিয়ে আতঙ্কিত থাকছি। মরার আগেই বার বার মরছি। আর প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করছি। আর মৃত্যুক ভয় না পেলে মূলত আমরা জীবনে একবারই মারা যাব। প্রবাদ আছে, ভীরু ‘মরে হাজার বার আর বীরের মৃত্যু একবার’।

‘বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায়’। এটার কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। একটা নেতিবাচক কথা বা ভাবনা যদি বার বার উচ্চারিত হয় তবে তা বাস্তবে রূপ লাভ করতে পারে। কারণ, ভাবনা ও শব্দ এক প্রচন্ড শক্তি। ভাবনা ও শব্দ শুধু বাস্তবতার বিবরণই দেয় না বাস্তবতার সৃষ্টিও করতে পারে। এতে করে নিজের অজান্তেই অবচেতন মন কথার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। অবচেতন মন তখন এটাকেই বাস্তবতা বলে ভেবে নেয়। কারণ, অবচেতন মন বাস্তবতা ও স্রেফ ভাবনার মধ্যে কোন পার্থক্য করতে পারে না। ফলে নেতিবাচক ভাবনাটা শেষমেশ বাস্তবে ফলতে শুরু করে।

তাছাড়া, আমরা অহরহ ভাবছি, আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। আমাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। হায় হায়! এই বুঝি ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছি। এই যে নেতিবাচক ভয়-ভাবনা আমরা প্রতিক্ষণ ভাবছি, এটা আরো খারাপ। মানুষ নিজেকে নিয়ে যা ভাবে আসলে সে তা-ই। কারণ, ঐ যে একই কথা, মানুষের নার্ভাস সিস্টেম কখনো ভালো-মন্দ বিচার করে না। মনের নির্দেশ বা ইচ্ছা অনুসারে দেহকে কাজ করার নির্দেশ দেয়। মানুষ যা ভাবে মস্তিষ্ক মনে করছে সে তা-ই চাচ্ছে। আর সে চাওয়া অনুসারে প্রয়োজনীয় দৈহিক অবস্থা সৃষ্টি করছে।

তবে এটাও ঠিক, সব নেতিবাচক চিন্তার সাথে সাথে যে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে তা কিন্তু  নয়। কারণ, মানুষের দেহের নিজস্ব একটা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। তা সব সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে সুস্থ রাখতে চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা যদি বার বার ভাইরাসের আক্রমণের আশঙ্কায় তটস্থ থাকি। তবে এমন অশুভ নেতিবাচক চিন্তা, শব্দ তরঙ্গ দ্বারা আমাদের দেহের শক্তিশালী  প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে যাবে। তাহলে কেন আমরা নিজেরা নিজের সর্বনাশ করছি?

এতে আমাদের শারীরিক অবস্থা বা জীবন সমস্যা জটিল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। যে অসুখের কথা ভেবে আমরা ভয়ে জবুথবু সে রোগেই যেন আমরা আক্রান্ত হচ্ছি এমনটি মনে হবে। হয় তো বা দেখা যাবে সে রোগের লক্ষণই আমাদের শরীরে প্রকাশ পেতে থাকবে। (কারণ,বনের বাঘে না খেলেও মনের বাঘে ছাড়ে না।) তবে এটা নির্ভর করে আমাদের চিন্তার ওপর আবেগের সার যত বেশি প্রয়োগ করব সমস্যা ততোটাই তীব্র হবে। আর এর ফলাফলও ততোটাই ভয়াবহ হবে। তাহলে আমাদের উচিত আমাদের কথাবার্তা ও ভাবনা থেকে নেতিবাচক শব্দ ও বাক্য বাদ দেওয়া। আর নেতিবাচক কথা হঠাৎ উচ্চারিত হলে তক্ষুণি ইতিবাচক কথা দিয়ে বক্তব্য শেষ করা।

তাই এখন থেকে করোনাভাইরাসের মত অদৃশ্য একটা অনুজীবীর কারণে মৃত্যুভয়ে সর্বক্ষণ কণ্টকিত থাকবনা। এখন তাকে থোরাই কেয়ার করব এবং করোনার নেতিবাচকতার ভয়-বিভ্রম থেকে নিজেকে মুক্ত রাখব। তবে মূলত এ ভয় থেকে বের হবার আরো একটি উপায় হচ্ছে কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করা। ব্যস্ত থাকা। আর নিজেকে সুরক্ষায় ক্ষান্তিহীন ভাবে করোনা সতর্কীকরণে ঝাঁপিয়ে পড়া। তবেই ভয়ের ঐ অশুভ ভূতটা দেবে ভোঁ দৌড়। আর আমরাও মাথা তুলে বলতে পারব আমরা পারি, আমরা পারব এবং  করোনাভাইরাসকে জয় করব। আর প্রমাণ করে দেখাব বাঙালীরা বীরের জাতী। তবে এর জন্য প্রয়োজন আমাদের দুর্জয় আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস যে কোন লড়াইয়ের জন্য একটা শানিত অস্ত্র। এভাবেই আমরা দুর্দম আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হবো। নিজেকে বাঁচাতে সুস্থ ও করোনামুক্ত থাকার বিধিনিষেধগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করব। আর অন্যদেরকেও পালনে উদ্বুদ্ধ করব। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাবার, সুশৃঙ্খল জীবনচর্চায় নিয়মিত হবো। এতে আমাদের স্বাস্থ্যগত সক্ষমতা আরো সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে।

জীবনের শেষ অধ্যায়ে এমনিতেই মানুষ ধর্মে-কর্মে মনোযোগী হয়। আর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এখন অনেকেরই  ধর্মের প্রতি আরো ঝোঁক বেড়ে গেছে। এটা সত্য, নিয়মিত পাঁচওয়াক্ত নামাজ, কোরআন তিলওয়াত করলে অভাবনীয়ভাবে মনের শক্তি বেড়ে যায়। মূলত এগুলো আমাদের মানসিক প্রশান্তির একটা নিখাদ উৎস। তাছাড়া পাঁচ বার ওযু করা কিন্তু করোনাভাইরাস প্রতিরোধে একটা উত্তম প্রতিষেধক। আর নামাজও কিন্তু একটা পার্শপ্রতিক্রিয়াবিহীন উৎকৃষ্ট ব্যায়াম। আর নামাজ শেষে প্রার্থনা আরো ফলপ্রসূ ও কার্যকরী। প্রার্থনা হচ্ছে সকল ইবাদতের নির্যাস। সুতরাং দেশের করোনা ক্রান্তিলগ্নে একাগ্রচিত্তে প্রার্থনা করুন। নিজের, পরিবারের সর্বোপরি দেশেকে করোনামুক্ত হওয়ার জন্য। হৃদয়ের সকল আকুতি অবলীলায় প্রকাশ করুন। দেখবেন মুহূর্তের মধ্যে গভীর একাত্মতায় লীন হয়ে যাবেন।  ভুলে যাবেন পার্থিব সবকিছু। কেবলি অনুভব করবেন মহামহিম স্রষ্টার দয়াকে এবং আমাদের প্রার্থিত চাওয়াকে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments