প্রশান্তিকা ডেস্ক: আমেরিকায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬৫ জন। ভয়াবহ করোনা মহামারীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০। যেখানে চীনে মারা গেছে ৩ হাজার ১৮৭ জন। বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন, ভয়াল এই মহামারীতে সমগ্র আমেরিকায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে। যদিও হোয়াইট হাউজের শঙ্কা আগামী আগস্ট মাস নাগাদ দেশটিতে ৮২ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে।

জানা গেছে, শুধু নিউ ইয়র্ক ও আশেপাশের নিউজার্সি ও মিশিগান অঙ্গরাজ্যে সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ২৪ জন বাংলাদেশী ঘাতক এই ব্যাধিতে প্রাণ হারিয়েছেন। নিউ ইয়র্কের কুইন্সের বাংলাদেশী পাড়া খ্যাত জ্যাকসন হাইটসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে বাস করা বাংলাদেশীরা উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন।
গত রোববার একদিনেই ৮ বাংলাদেশী মারা গেছেন। একইদিনে নিউ ইয়র্ক ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নিউজার্সি ও মিশিগান অঙ্গরাজ্যে আরও একজন করে মোট ১০ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৪ জন বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে ১৩ জন এবং ভার্জিনিয়ায় এক বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
করোনা মহামারির শিকার হয়ে রোববার ২৯ মার্চ নিউইয়র্কে প্রাণ হারানো বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মির্জা নুরুল হুদা (৪৬), জায়েদ আলম (৪৫), বিজিত কুমার সাহা (৪০), মোহাম্মদ আনিসুর রহমান (৭৬), মোতাব্বির চৌধুরী (৬৮), মোহাম্মদ শিপন মোহসেন (৫৬), শফিকুর রহমান (বয়স জানা যায়নি) এবং কাজী কায়কোবাদ (বয়স জানা যায়নি)।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৭ জনে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৭ হাজার ৬৮ জন।করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশটি প্রথমে। এবার মৃত্যুর দিক দিয়েও চীনকে টপকালো।

এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউট এর ডিরেক্টর এন্থনি ফাউসি জানান, দেশটিতে করোনা ভাইরাসে দুই লাখ মানুষ মারা যেতে পারেন। নিউ ইয়র্কে আক্রান্ত ও মৃতের হার সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলো রোগীদের ধারন ক্ষমতার বাইরে। চিকিৎসক ও স্বাস্হ্য কর্মীরা সকলেই প্রয়োজনীয় পিপিই পাচ্ছেন না। তবুও তারা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্কে নৌবাহিনীর বিশেষ জাহাজ হাসপাতাল ন্যাভাল হসপিটাল শিপ পাঠিয়েছে। এটি এখন হাডসন নদীতে মোতায়েন রয়েছে। শিপটিতে ১০০০ রোগীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন।