প্রশান্তিকা রিপোর্ট: টাইম জোনে অস্ট্রেলিয়ার আগে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেদেশ করোনামুক্তির ঘোষণা দিয়েছে প্রায় দু’সপ্তাহ হলো। এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি মহামারী। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নেই সেখানে। সপ্তাহ খানেক আগে অস্ট্রেলিয়াতেও সংক্রমণের হার শূন্যে নেমে এসেছিলো। তারপরেই কর্মচাঞ্চল্যে ভরে উঠছে সিডনি, ক্যানবেরা, মেলবোর্ন, ব্রিসবেন, এডিলেইড, পার্থসহ অন্যান্য শহর। গতকাল সিডনি মর্নিং হেরাল্ড অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিকটিসের বরাদ দিয়ে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনের পরে ৮৬ শতাংশ মানুষ কাজে ফিরে আসতে চায় এবং তাদের অনেকেই ফিরে আসছেন। অন্যদিকে ৫৯ ভাগ মনে করছেন কাজে ফিরলেও বাস, ট্রেন বা অন্যান্য পাবলিক সার্ভিস সুবিধা ব্যবহার এখনও নিরাপদ নয়। অনেক অফিসে এখন প্রবেশ পথেই কর্মজীবীদের গায়ের তাপমাত্রা চেক করা হচ্ছে।

গতকাল পর্যন্ত সারা অস্ট্রেলিয়ায় ১৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে, তার বেশির ভাগই ভিক্টোরিয়ায়। হঠাৎ সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ভিক্টোরিয়া রাজ্য বর্ডারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দীর্ঘ দুই মাসেরও উপরে ঘরে বসেই কাজ করছিলেন অনেকে। প্রধান শহরগুলোতে কর্মচাঞ্চল্যে ভরে উঠছে। পিক আওয়ারে ট্রাফিকের লম্বা সারি এখন, অবস্থা প্রায়ই আগের মতো। এমতাবস্থায় প্রশান্তিকার পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়াবাসী বিভিন্ন পেশাজীবী বাংলাদেশীদের মতামত নেয়া হয়েছে। নীচে তাদের পরিচয়, অবস্থান এবং মতামত তুলে ধরা হলো।
স্প্যানিশ ফ্লু’র পরেও মানুষ বেঁচেছিলো : ফারিনা মাহমুদ, মেলবোর্ন ( আইটি বিশেষজ্ঞ, লোকাল গভর্মেন্ট)
বাসা থেকে আমার অফিস ৩০ কিলোমিটার দূরে। অফিসে যেতে মূলত ট্রেন ব্যবহার করি। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে বাসা থেকেই কাজ করছি। কবে থেকে অফিস করতে পারবো জানিনা। আমার তো মনে হয় পুরোপুরি ঠিক হতে ২০২১ সাল এসে পড়বে। এর আগ পর্যন্ত জীবন যাত্রা ও কাজকর্ম স্বাভাবিক হওয়ার চান্স নেই। করোনা নিয়ন্ত্রনে আমরা ক্যানো কেউই পারবো না। মাধ্যম যখন মানুষ আর মানুষের চলাচল তখন এর নির্মূল নিয়ে চিন্তা করা অবান্তর। একমাত্র চিকিৎসা বিদ্যা যদি টিকা আনতে পারে তবেই সম্ভব।
পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে, মানুষ যতদিন টিকে থাকবে ততদিন ক্ষতি আসবে আর যাবে। এটা কাটিয়ে উঠেই রাষ্ট্র কাঠামো টিকে থাকবে। তা যত দুর্বল বা সবল রাষ্ট্রই হোক। স্প্যানিশ ফ্লু বা ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের পরেও মানুষ বা রাষ্ট্র টিকে ছিলো। এবারও থাকবে।

মানুষের জীবনের চেয়ে বড় ক্ষতি কিছু নেই। সেই দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা অনেক ভালো। অফিসের কাজের সময়টুকু ছাড়া বাসায় রান্না, বাগান, আর টুকটাক সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বা বই পড়ে সময় কাটাচ্ছি।
সেপ্টম্বরের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবেনা: আহমেদ শরীফ শুভ, মেলবোর্ন (জেনারেল প্রাকটিশনার, চিকিৎসক)
করোনা প্রাদুর্ভাব এবং এর পরেও যারা বসে নেই তারা চিকিৎসক বা স্বাস্থকর্মী। আমি একজন জেনারেল প্রাকটিশনার। বাসা থেকে আমার চ্যাম্বার ২০/২৫ মিনিটের ড্রাইভ। নিয়ম মতোই কাজ করে যাচ্ছি। কোভিড-১৯ এর জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হইনি ইনশাল্লাহ।
২২ শে জুন সোমবার থেকে অনেকগুলো রেস্ট্রিকশন তুলে দেবার কথা ছিলো। কিন্তু হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাড়িতে নতুন করে ৫ জনের বেশি গ্যাদারিং নিষেধ করা হয়েছে। রাজ্যের বর্ডারেও কঠোরতা আনা হয়েছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন যাপনের সম্ভাবনা নেই। তবে আশার কথা হলো, এপিডোমলজি, স্বাস্থ্যখাত বা অর্থনীতিতে সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা খুবই সন্তোষজনক।
চিকিৎসক হিসেবে বলতে পারি- ভ্যাকসিন আসার আগপর্যন্ত আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং করোনা পরবর্তী জীবন যাত্রায়ও পরিবর্তন আনতে হবে।
অফিসে যেয়েই কাজ করছি: শ্রাবন্তী কাজী, সিডনি ( প্রধান সম্পাদক, প্রভাতফেরী; সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা, অস্ট্রেলেশীয় ইন্টারন্যাশনাল একাডেমী)
করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে বাসা থেকেই কাজ করেছি। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসার পরে অফিসে এসেই কাজ করছি। স্টাফরা না এলেও আমাদের আসতে হচ্ছে। হ্যা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশকেও বিশাল নাড়া দিয়েছে এই কোভিড-১৯। এখানে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের জন্য সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে ছিলো। আশা করি আগামী তিন চার মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসতে পারবো আমরা। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, রাজ্যগুলোর বর্ডারে করারোপ বজায় রাখতে হবে। ‘করোনা আর আসবে না’ এই ভেবে সব খুলে দিলে আবার আসতে পারে এই সংক্রমণ। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, ঘনঘন হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করতে হবে।
জুলাইয়ে অফিসে ফিরতে পারবো বলে মনে হচ্ছে: পলাশ বসাক, সিডনি (জিআইএস সুপারভাইজার, উইন্জক্যারিবি শায়ার কাউন্সিল)
এখনো বাসা থেকে কাজ করছি। করোনা ছাড়াও আমাদের অফিস রিনোভেশনের কাজ চলছে বলেই অফিসে এখনো যাচ্ছিনা। তবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি বা শেষ দিকে অফিসে ফিরবো বলে মনে হচ্ছে। আমাদের অফিসে এখন অনেকেই অফিসে যাচ্ছেন। আমার মতে করোনা কন্ট্রোলের মধ্যেই থকবে, তবে একবারে নির্মূল হতে সময় লাগবে। আর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হলে ভিন্ন অবস্থা তৈরী হতে পারে…
সপ্তাহে ৩/৪ দিন কাজ করছি: একেএম হক শফিক ( সোল ট্রেডার, অভিনেতা)
সপ্তাহে ৩/৪ দিন কাজ করছি। আমার কাজের যে ধরণ সেটা মানুষকে নিয়েই। তাই প্রতিদিন মানুষের মাঝেই কাজ করতে হয়। প্রয়োজনীয় প্রটেকশান নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে কোভিড টেস্ট করিয়েছি। ছেলের ঠান্ডা লাগায় টেস্ট করতে হয়েছে। আল্লাহর রহমতে নেগেটিভ এসেছে। পরীক্ষা করতে গিয়ে আমার উপলব্ধি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া হয়তো সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে না কিন্তু করোনা মহামারীর মতো ছড়াবে না। যে সেক্টরে যতটুকু দরকার তাই করছে এদেশের সরকার। যেমন ভিক্টোরিয়া রাজ্য তাদের বর্ডার খুলে দিয়েছিলো। হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ায় আবার বন্ধ করে দিয়েছে। গ্যাদারিং ২০ জনের কাছে ৫ জনে নেমে এনেছে।
দেশের অর্থনীতি এবং বেকারত্বের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। তবুও আমরা মনে করছি এটা সাময়িক। করোনা প্রাদুর্ভাব চলে গেলে বা এর প্রকৃত ভ্যাকসিন বাজারে আসলে আমাদের কাজের চাকা আবার ঘুরবে। সরকারের দেয়া জবকিপারের সহযোগিতা শেষ হতে আরও তিন মাস আছে(ছয় মাসের প্রকল্প এটি)। এর মধ্যে নিশ্চয়ই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
অস্ট্রেলিয়াও দীর্ঘমেয়াদী মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে: আবুল হোসেন জিয়া,(পার্থ এয়ারপোর্ট এপিও)
আমি এয়ারপোর্টে ডিউটি করি। আমার বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ নেই। তবে কর্ম ঘন্টা স্বাভাবিক হয়নি কারণ ফ্লাইট তেমন চালু হয়নি বললেই চলে।
অস্ট্রেলিয়া কবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলা যাবে না। কারন কোন কোন রাজ্যে পূনরায ভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে। আইসোলেশন বা সোস্যাল ডিসট্যান্স না মানলে যেকোন সময় আবার ব্রেকআউট হয়ে যেতে পারে। পার্থে বর্তমানে দু’একটা অ্যাকটিভ কেস আছে। সুতরাং ভালো অবস্থানে আছে এখনো। আমাদের রাজ্যের প্রিমিয়ার খুব কঠোর। বর্ডার খুলতে এখনও দেরি করছেন। তবে আগামী শনিবার থেকে রাজ্যের অভ্যন্তরে সবকিছুই খুলে দিচ্ছে। যেকোন সংখ্যক লোক এক জায়গায় হতে পারে শুধু একজন থেকে আরেকজনকে দুই মিটার দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
সরকারের রুলসগুলো খুবই কার্যকরী ও ফলপ্রসূ। সরকার অনেক দায়িত্বশীল ও এব্যাপারে অনেক আন্তরিক। অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান ভালো কাজে দিয়েছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া নিজেই মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে নিশ্চিতভাবেই এবং সেটা হবে দীর্ঘমেয়াদী। কারন প্রচুর মানুষ বেকার ও তারা অনেক লম্বা সময়ের জন্যে সরকারের অর্থ সহায়তা পেতে যাচ্ছে। যদিও আগামীতে পুরো বিশ্বই মন্দার কবলে পড়বে। সেই বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান ভালো থাকবে। স্বাস্থ্যখাত অনেক ভালো এবং প্রশংসনীয়।
করোনার কারনে ডমেস্টিক ভায়োলেন্সে অনেকগুণ বেড়েছে। পার্থে আমার জানামতে কিছু বিচ্ছেদের খবরও আছে।
বাসায় আমি সব সময়ই কাজ করি। আমি মনে করি এখানে কাজের লোক নেই – এত কাজ এককভাবে স্ত্রীর পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। হ্যাসবান্ডের সব সময় সহযোগিতা করা উচিৎ বলে মনে করি।
তানজিনা তাইসিন, এডেলেইড(রেডিও হোস্ট এবং চাকুরীজীবী)
সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের রেস্ট্রিকশান তুলে দিয়েছে। এখন অফিসেই যাচ্ছি। এখানে লাস্ট দুই মাস মোটামোটি করোনা ফ্রি। কোন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নেই। যে একটা দুইটা ধরা পড়ছে সেগুলো এয়ারপোর্টে মেলবোর্ণ থেকে আসার পথে।
অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে কারণ এই ক্রাইসিসটা একই সাথে গ্লোবালও কিন্তু পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভালো। অস্ট্রেলিয়া সরকারের পদক্ষেপ আশাব্যঞ্জক। জব কিপার্স এলাউন্স থেকে শুরু করে আরও যা যা করেছে অর্থনৈতিক সহায়তায় সেটা আশাব্যঞ্জক। প্রথম দিকে টেস্ট কম করা হচ্ছিল, বিরোধীদল সমালোচনা করায় সেটাও বাড়িয়ে দিয়েছে। কভিড সিচুয়েশনের শুরুর দিকেই দুইটা পুরোনো হসপিটাল রি ওপেন করেছে অ্যাডিলেইডে। সরকার যথেষ্ঠ প্রস্তুতি নিয়েছে।
তবে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বেড়েছে। ভয়ংকর মাত্রায় বেড়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতাও বেড়েছে।
জুলাই থেকে অনেক ট্যাক্সি ড্রাইভার কাজে নামবে: সিডনিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশী ড্রাইভার
করোনার সংক্রমণে দুই মাস বসে থাকার পরে গত ১লা জুনে ট্যাক্সি নিয়ে নেমেছি। এখনও ব্যবসা জমে উঠেনি। অন্তত ডমেস্টিক ফ্লাইটগুলো চালু হতে হবে। মেলবোর্ন বর্ডার খুলে দিয়েও আবার কঠোর করেছে। এ অবস্থায় জুলাই মাসের আগে স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে পারবে না। তবে ২০২১ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো চালু হলে আমরা পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবো। এ মুহূর্তে সিডনির পাব এবং ক্লাবগুলো সীমিত আকারে খুলে দিয়েছে। বাসা বাড়িতে মানুষের গ্যাদারিং বেড়েছে। সেই হিসেবে উইকেন্ডে আমরা ব্যস্ত রয়েছি। তবে ট্যাক্সির সাথে উবার বা অন্য রাইড শেয়ারগুলোর সাথে থাকলে সপ্তাহে নেট এক হাজার ডলার উপার্জন করা সম্ভব।

বাসায় কাজের পাশাপাশি ছবি আঁকছি: ফারাহ কান্তা, সিডনি( ব্যারিস্টার ও সলিসিটর)
আমি বাসা থেকেই কাজ করছি। অফিসে ফিরবো কিনা নির্ভর করছে সেকেন্ড ওয়েভ আসছে কি না তার উপর। তবে অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত খুব ভাল অবস্থায় আছে।
অস্ট্রেলিয়ান সরকার চমৎকার ভাবে এই অবস্থা কে মোকাবেলা করেছে। তারা বলছে স্বাস্থ্যখাত এখন এমনভাবে প্রস্তুত যে যদি ইটালির মতও সংক্রমণ হয় সেটা মোকাবেলা করার জন্য স্বাস্থ্য খাত তৈরি। আর অর্থনৈতিক নানান প্যাকেজ মানুষের জীবনকে এখনো সচল রেখেছে।
করোনাকালীন লকডাউনের সময় ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বাড়ার কথা বিশেষজ্ঞরা বলছেন। আমার বেশিরভাগ যোগাযোগ রয়েছে বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে। সেখানে এখনও আমি কোন পরিবর্তন দেখছি না।
বাসায় কাজের পাশাপাশি ছবি আকছি যা অনেকদিন ধরে সময় পাচ্ছিলাম না বাইরের কাজের কারনে।
আমাদের লিভিং এক্সপেন্স বেড়ে যাবে: তন্ময় আহমেদ জামিল, সিডনি( উৎসব ফুড ট্রাকের কর্ণধার)
আমাদের ব্যবসাটা একটু অন্যরকম। আমার রয়েছে ফুডট্রাক ব্যবসা। গাড়ি ভর্তি খাবারের উপকরণ নিয়ে একেক সময় একেক স্থানে ব্যবসা করি। যে কোন উৎসব বা মেলা আমাদের কর্মকান্ডে ব্যস্ততা আনে। করোনার কারণে বিভিন্ন সংগঠন ও কাউন্সিলের আয়োজিত উৎসবগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। আমরা নিদেনপক্ষে শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবসা হারিয়েছি।
তবে মানুষকে বেঁচে থাকতে অবশ্যই খেতে হবে তাই আমরা হয়তো এই সঙ্কট পাড়ি দিতে পারবো।
অস্ট্রেলিয়া খুব তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। সময় লাগবে কতদিন জানিনা। আমরা সরকার থেকে জবকিপার বা জবসিকার যেভাবেই সহায়তা পাইনা কেনো, সরকার একসময় ঠিকই আদায় করে নেবে। তারমানে আমাদের লিভিং এক্সপেন্স বেড়ে যাবে।