প্রশান্তিকা ডেস্ক: আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত ‘রেহানা মরিয়ম নুর’ চলচ্চিত্রটি এই প্রথম ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রদর্শনীতে আমন্ত্রিত ও প্রদর্শিত হলো। গত ৭ জুলাই ছবিটির প্রিমিয়ার শেষে মুহূর্মুহ করতালি এবং হলভর্তি দর্শকের স্ট্যান্ডিং ওভেশনে সিক্ত হলেন ছবির পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলী এবং অভিনেতা- অভিনেত্রীরা।
প্রয়াত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ ছবিটির পরে এই প্রথম আরও একটি বাংলা ছবির জয়জয়কার সৃষ্টি হয়েছে । যদিও তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে সিলেকশন পেয়েছিল, কানের মেইনস্ট্রিমে নয়। কান উৎসবে প্যারালাল বিভাগ হিসেবে ১৯৬২ সালে সিমেন দ্যু লা ক্রিতিক (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস উইক) আর ১৯৬৯ সালে যুক্ত হয় ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট। ‘রেহানা মরিয়ম নুর’ -ই প্রথম বাংলাদেশি ফিল্ম যা কান মেইনস্ট্রিমের অফিসিয়াল সিলেকশন পেয়েছে।

ছবিটির পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদ এবং প্রধান চরিত্রে অভিনয়শিল্পী আজমেরী হক বাঁধনসহ পুরো টিম এসময়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে উঠেন। দর্শকেরা এসময় বাঁধনকে সামনে আসতে বলেন। সেসময়ে বাঁধন আনন্দে হু হু করে কাঁদছিলেন। নিজের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ, একমাত্র সন্তানের অভিভাবকত্বের লড়াই শেষে জীবনে ফিরে এসেছিলেন বাঁধন। ছবিটিতে তাঁর এই স্বীকৃতিও খুব ঘটা করে ফিরে আসা। প্রিয় জামদানি শাড়ি পরে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকেই ধারণ করেছেন বাঁধন। তিনি বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম বাংলাদেশকে উপস্থাপন করবে এমন কোনো পোশাক পরব। সেভাবেই সেজেছি আজ। জামদানি যেহেতু আমাদের, তাই এটি বেছে নিয়েছি।’
বাঁধন ২০০৬ সাল থেকে তার কর্ম জীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি তীরন্দাজ, ডিবি, মেঘের পরে মেঘ, সহযাত্রী, এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি, নীল নির্বাসন, ও রূপকথার মা ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি আরএফএল ফার্নিচার ও কোকোলা নুডুলসের টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেন।