কারাগারে মুশতাক আহমেদ সাহেবের মৃত্যুতে যে প্রশ্ন সবার আগে সামনে চলে আসবে, সেটি হচ্ছে এই মৃত্যুর জন্য ‘আসলে’ দায়ী কে? এই প্রশ্নের উত্তর যে খুব একটা কঠিন তা নয়।
একটি শিশু যখন তাঁর অভিভাবকের জিম্মায় অপঃমৃত্যুতে পতিত হয় (৩য় কোনো ব্যক্তি হত্যা না করে থাকলে), তখন সেই মৃত্যুতে অভিভাবকদের দোষ থাকুক কিংবা না থাকুক, একটি সভ্য রাষ্ট্র খতিয়ে দেখে এই অপঃমৃত্যুতে সেই অভিভাবকের-
(ক) কোনো গাফিলতি ছিলো কিনা
(খ) সেই শিশুর প্রতি সেই অভিভাবক যে দায়িত্ব পালন করবার কথা ছিলো, সেটি করেছে কিনা
(গ) অভিভাবক-ই সরাসরি হত্যা করেছে কিনা
মুশতাক আহমেদকে যদি আমি এই সূত্রে বিবেচনা করি তাহলে রাষ্ট্রের কাছে তিনি একজন আমানত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে সেটি ট্রায়ালে যায়নি, বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি ফলে তিনি ছিলেন একজন নির্দোষ ব্যক্তি।
শুধু যে নির্দোষ ব্যক্তি ছিলেন, তা-ই কেবল নয় বরং তিনি ২০২০ সালের ৫-ই মে তারিখ থেকে এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কারাগারে বন্দী ছিলেন কিংবা তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের জিম্মায়।
রাষ্ট্রের জিম্মায় থাকা একজন নির্দোষ ব্যক্তি যদি কারাগারে সাধারণ অসুস্থতাতেও মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে একটি সভ্য রাষ্ট্রকেও সেই মৃত্যুর জন্য জবাবদিহিতা করতে হয়। যেমন কি অসুখ তাঁর হয়েছিলো, কেন হয়েছিলো, রাষ্ট্র সঠিক চিকিৎসা দিয়েছিলো কিনা, যদি দেয় সেটি যথাযথ ছিলো কিনা ইত্যাদি।
কিন্তু, আমরা যদি পুরো ঘটনাটির দিকে একটা বড় ফ্রেমে তাকাই এবং খুবই নির্মোহ বিবেচনা করি তাহলে আমরা দেখবো মুশতাকের মৃত্যু নিছক সামান্য অসুখে মৃত্যু বলে অভিহিত করাটা হবে অনায্য দাবী কিংবা কথন।
মুশতাক ২০২০ সালের ৫-ই মে তে গ্রেফতার হলে আজকে ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে গিয়ে দাঁড়ায় ৯ মাস ২১ দিন। মানে দাঁড়াচ্ছে মুশতাক সাহেব আজকে প্রায় ৩ মাস কম এক বছর, এমন একটা সময় ধরে কারাগারে বন্দী হয়ে ছেন সম্পূর্ণ নির্দোষ অবস্থায়।
এই সময়টাতে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন এক্টিভিস্ট, মুশতাক সাহেবের পরিবার কিংবা আইনজীবি কিংবা সংবাদপত্রের নানাবিধ সূত্রে জানতে পেরেছি তাঁর শরীর খারাপ করেছে, তিনি ভালো নেই। এমনকি আমরা এও জেনেছি, স্বামীর এই অবস্থায় তাঁর স্ত্রী মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছ, মুশতাক সাহেব ছিলেন তাঁর বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। ৫৩ বছর বয়সী এই ভদ্রলোক বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখাশোনা করতেন।

এই যে উপরের তিনটি ঘটনা আমি আলাদা আলাদা ভাবে বর্ণনা করলাম, এটির সাথে যুক্ত হবে আরো কয়েকটি ইস্যু:
(১) দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতার রয়েছেন
(২) অভিযোগপত্র প্রদানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি
(৩) ট্রায়াল শুরু-ই হয়নি
এবার আমি যদি এসব সব কিছুকে একটি সূত্রে এনে বিবেচনা করি তাহলে মুশতাক সাহেব তাঁর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের শুরুতেই কি পরিমাণ মানসিক নির্যাতনের মুখে পড়েছেন সেটি বলাটাই বাহুল্য মাত্র।
কারাগারে কি তিনি শারিরীক নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছিলেন? তাঁকে কি নির্যাতন করা হয়েছিলো? আমি এই উত্তর জানিনা কারন এই বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
আমি যদি এই শারিরীক নির্যাতন বলতে তাঁকে শরীরে আঘাত করা, পেটানো ইত্যাদিকে আমার অজানা রয়েছে বলে দূরে সরিয়েও রাখি, তাহলে কি আমি বলতে পারিনা ৯ মাস ২১ দিন ধরে একজন লোককে কারাগারের মত একটা স্থানে বিচারহীন ফেলে খাও ইনফ্যাক্ট এক ধরনের শারিরীক নির্যাতন?
সংশ্লিষ্ঠ আদালত/ ট্রাইব্যুনালের না হয় বুঝলাম ক্ষমতা নেই, যেহেতু মুশতাক সাহেবের বিরুদ্ধে আসা অনেক অভিযোগ অ-জামিনযোগ্য। কিন্তু বাংলাদেশ সূপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের কি এই ডিস্ক্রেশোনারী ক্ষমতা ছিলোনা এই আইনকে ছাপিয়ে তাঁর স্থায়ী না হোক অন্তত অন্তঃবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা? আমি যতদূর জানি কারাগারে বন্দী কিশোর ও মুশতাক সাহেব, এই দুইজনের জামিনের জন্যই সূপ্রীম কোর্টে তাঁদের আইনজীবিরা গেছেন, কিন্তু জামিন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
আমার খুব দেখার ইচ্ছে এই জামিন আবেদন প্রতাখ্যান করবার সময় বিচারপতি/হাকিম।ম্যাজিস্ট্রেট-রা আসলে কি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তাঁদের আইনী ব্যখ্যা জানবার আমার বড় ইচ্ছে।
একজন ৫৩ বছর বয়সী ব্যক্তি, যিনি তাঁর বৃদ্ধ বাবা ও মা’কে দেখাশোনা করেন, যিনি সংসার চালান, যার স্ত্রী রয়েছে, যার নানাবিধ শারিরীক অসুস্থতা রয়েছে তেমন একটি ব্যাক্তিকে ৯ মাস ২১ দিন ধরে টানা কারাগারে আটকে রাখার মধ্যে রাষ্ট্রের ঠিক কি ধরনের উপকার সাধিত হোলো, আমি জানিনা।
একজন ব্যক্তি জামিনে থাকা মা মুক্ত নন। তাঁকে নির্দিষ্ট দিনে আদালতে হাজিরা দিতে হয়, তাঁকে আইন-শ্ররঙ্খলা বাহিনী নজরে রাখে, জামিনের নানাবিধ শর্ত থাকে, তারপরেও মুশতাক সাহেবকে কেন জামিন দেয়া হয়নি, এই লেখার আগ পর্যন্ত আমার মাথায় ঢোকেনি।
কিশোর, মুশতাক, দিদারুল সাহেব্দের বিরুদ্ধে মামলা হবার পর থেকে আমি আজ পর্যন্ত প্রায় ৯ থেকে ১০টি লেখা লিখেছিলাম। বার বার এই মামলার অসাড়তা উল্লেখ করেছিলাম। বার বার বলেছি খুবই অন্যায়ভাবে রাষ্ট্র আটকে রেখেছে অভিযুক্তদের। কিন্তু কে কার কথায় পাত্তা দেয়?
দেখুন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪০, ৫২ ও ৫৩ ধারায় এই মামলার তদন্ত, বিচার কতদিনের মধ্যে শেষ হতে হবে এবং জামিন পাবেন কি পাবেন না এই ব্যাপারে বিস্তারিত লিপিবদ্ধ রয়েছে।
আমি যদি এই আইনের ৪০ নাম্বার ধারার ৪০(১) এর ক, খ, এবং গ উপধারার দিকে তাকাই তাহলে সব মিলিয়ে ১০৫ দিনের ভেতর একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে এই মামলার ব্যাপারে চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট দিতে হবে।
যদি ১০৫ দিনের ভেতর তিনি এই রিপোর্ট না দিতে পারেন তাহলে তদন্ত কর্মকর্তাকে ৪০ এর ২ উপধারা মোতাবেক সংশ্লিষ্ঠ ট্রাইব্যুনাল যুক্তিসঙ্গত সময় পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবে।
লক্ষ্য করুন, আইনে কোথাও বলা নেই এই সময় বৃদ্ধি করবার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে আবেদন করতে হবে কি হবে না। মানে দাঁড়াচ্ছে, তদন্ত কর্মকর্তা যদি সঠিক সময়ে তদন্ত করতে না পারেন তাহলে এটির জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে না করতে হয় জবাবদিহি, না করতে হয় ক্ষমা প্রার্থনা, না করতে হয় আবেদন। অন্তত আইনের ধারা তো স্পস্ট সেটিই বলে।
মানে এক ফ্রি স্টাইল আইন। তদন্ত করতেই থাকবো, করতেই থাকবো, করতেই থাকবো। ১০৫ দিন পেরিয়ে গেলে আবার ট্রাইব্যুনাল সময় বাড়িয়ে দেবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য। ট্র্যাইবুনাল যদি বলে ৫ বছর লাগবে, তাহলে ৫ বছর তদন্ত চলতে পারবে। আবার এর মধ্যে যদি জামিন না হয় তাহলে অভিযুক্ত বিনা বিচারে তদন্ত চলাকালীন কারাগারেই থেকে যাবেন ৫ বছর। এর পরেতো রয়েছে বিচারের হ্যাপা। সেটা কত বছর লাগবে কেউ-ই জানেনা।
উপরের পুরো লেখাটা পড়ে সহজেই অনুমেয় যে বিচারের নামে, রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করেছে, এমন অভিযোগের নামে একজন ব্যক্তিকে রীতিমত রাষ্ট্র তার আইনী প্রভিশন দিয়ে ক্রমাগত নির্যাতন করে গেছে। ক্রমাগত তাকে মারতে মারতে মারতে মারতে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর দিকে ঠেলেই দিয়েছে।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩’ নামের একটি আইন করে।
যেহেতু বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে জাতিসঙ্ঘের এই বিষয়ক সনদের একটি সাক্ষরকারী দেশ (নিষ্ঠুর, অমানবিক,লাঞ্ছনাকর দন্ডবিরোধী অবস্থান), ফলে সেই অনুযায়ী সেই সনদকে মূল উদাহরণ রেখে বাংলাদেশ নিজের দেশে একটি আইন প্রনয়ন করে।
আইনের মোদ্দা কথা হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যদি কোনো ব্যাক্তি নির্যাতনের শিকার হয়, মৃত্যুবরণ করে তাহলে রাষ্ট্র কঠোর হাতে সেটি দমন করবে।
বাংলাদেশের অন্য অনেক আইনের মতোই, এই আইনেও নানাবিধ ভুল-ভালে ভরা।
এই আইনে হেফাজতে মৃত্যু, বলতে যেই সঙ্গা দেয়া হয়েছে সেখানে ‘কারাগার’ শব্দটি নেই। রয়েছে ‘সরকারি কোনো কর্মকর্তার হেফাজতে ব্যাক্তির মৃত্যু’
এখন কারাগারের প্রধানকে যদি আমরা একজন একজন সরকারি কোনো ব্যক্তির অধীনে একটি স্থান ধরি এবং এটিকে ‘সেই ব্যাক্তি হেফাজতে রয়েছেন’ বলে অভিহিত করি, তাহলে বৃহৎ অর্থে মুশতাকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে তদন্ত, অভিযোগ গঠন, বিচার খুব সম্ভবত এই আইনেই সম্ভভ, যদি, তিনি কোনো ধরনের শারিরীক নির্যাতনে মৃত্যবরণ করে থাকেন। যদিও ২ ধারার ৬ উপধারাতে মানসিক নির্যাতনের কথা এসেছে কিংবা এই আইনের প্রস্তাবনা অংশে নিষ্ঠূর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর ব্যবহারের প্রসঙ্গ এসেছে কিন্তু আইনের মূল গর্বে বারবার শারিরীক নির্যাতনের কথাই বর্ণিত হয়েছে।
ইনফ্যাক্ট, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ এর ৫ উপ অনুচ্ছেদে নিষ্ঠূর দন্ড, নির্যাতন, প্রভৃতি এসব নিয়ে স্পস্ট প্রভিশন রয়েছে।
এই আইনের একটা অভূতপূর্ব ব্যাপার হচ্ছে, সাধারণত অভিযোগকারী ব্যাক্তিকেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ প্রমাণ করতে হয়। কিন্তু আইনের ১৯ ধারাতে যদি সরকারী কর্মকর্তার গাফিলতি কিংবা অসতর্কতার অভিযোগ আসে তাহলে অভিযুক্তকারীকেই প্রমাণ করতে হবে যে সে অসতর্ক ছিলোনা এবং গাফিলতি করেনি।
এই আইনের ১২ ধারাও উল্লেখযোগ্য যেখানে নানাবিধ ছুতো দেবার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
এই আইনের যে ধারা-ই থাকুকনা কেন, এখানে শারিরীক নির্যাতনের পাশাপাশি ২ ধারার ৬ উপ ধারায় মানসিক নির্যাতনের কথা রয়েছে স্পস্টভাবে।
এই আইনে যদি বিচার সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে এই আইনের ৭ ধারার ১ উপধারা অনুযায়ী নির্যাতিত ব্যাক্তি ছাড়া তৃতীয় ব্যাক্তি সেই নির্যাতিত ব্যাক্তির পক্ষে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। যেহেতু আমাদের আলোচ্য মামলায় মুশতাক সাহেব মৃত্যুবরণ-ই করেছেন, ফলে অন্য যে কোনো ব্যাক্তি তাঁর পক্ষে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
উপরের এই আইনী কিংবা সংশ্লিষ্ঠ অন্য আলোচনার প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত যে কথাটি এই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র আসলে এই এতবড় অন্যায়ের বিচার করবেন কিনা অথবা করতে আগ্রহী কিনা?
যদি এই মৃত্যু প্রশ্নে রাষ্ট্র পেঁচিয়ে-পুঁচিয়ে, আনে-বানে দায় সারবার জন্য বাঙালীকে হাইকোর্ট দেখাবার চেষ্টা করে, তাহলে বুঝে নেবেন এই মৃত্যু কিংবা এই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে এমন করুন মৃত্যুর ব্যাপারে সেই ‘ডিনায়াল’ সূত্র-ই শেষ পর্যন্ত প্রয়োগ হবে এবং আমরা যাকে বলি, ‘কালচার অফ ইম্পিউনিটি’ অর্থ্যাৎ বিচারহীনতার সংষ্কৃতি, সেখানে কেবল আরেকটি পালক যুক্ত হবে মাত্র।
ফলে রাষ্ট্র, তথা সরকার তথা আওয়ামীলীগ সরকার যদি মনে করে জনতার কাছে তাঁদের একটা জবাবদিহিতার দায় আছে, জনতার কাছে দাঁড়াবার জন্য ভূমিকা রাখার দরকার কিংবা এই বিচারহীনতার কালচারকে উপড়ে ফেলবার দরকার তাহলে রাষ্ট্র যেন এই ভয়াবহ-করুন মৃত্যুকে এখনই এড্রেস করে এবং মোশতাক সাহেবের মৃত্যুর পূর্ণ তদন্ত করে এর সাথে জড়িত সকলকে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসে।
আর একই সাথে, এখনো পর্যন্ত আটক কার্টুনিস্ট, লেখক, এক্টিভিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে যেন মুক্তি দিয়ে তাঁকে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে তাঁর মুক্তমত, তাঁর ফ্রডম অফ স্পীচকে রক্ষা করেন।
আর এইসব করলেই, এই আওয়ামীলীগ সরকার, এই রাষ্ট্র- জনতার সামনে আরেকবার গ্রহনযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। আর যদি রাষ্ট্র এই ধাপগুলো না মানেন বা না করেন, তাহলে আমি বলে রাখছি বিপদ আসন্ন। ইনফ্যাক্ট, মহাবিপদ আসন্ন।
নিঝুম মজুমদার: লেখক, কলামিস্ট ও আইনবিদ। ব্যারিস্টার এন্ড সলিসিটর, সুপ্রিম কোর্ট অব নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া; এনরোল্ড ব্যারিস্টার এন্ড সলিসিটর, হাইকোর্ট অব নিউজিল্যান্ড। বসবাস: লন্ডন, যুক্তরাজ্য।