চোখের চন্দ্রিমা মুছে অবশেষে ছেলেটি হয়ে গেলো পাথরের মমি,
শেষ হোল তার অনিমেষ ভালোলাগার গল্প।
মেয়েটি অবিমিশ্র অনুরাগে ভেসে গেলো ছেলেটির স্বপ্নালু আবেগে।
আর দীর্ঘশ্বাস চেপে দ্রবীভূত হলো কিছু অন্ধ প্রগলভতায়।
স্খলন করেনি তবু- না ছোঁয়ার প্রতিজ্ঞা, কোন অবচেতনায়।
তারপর ছেলেটি একদিন বলে,
কালো শাড়ীতে মেয়েদের আগুনের মতো লাগে”
মেয়েটির বুকের অলিন্দে কাঁপে আবারো তরতরে সুখের প্লাবন।
যেন এমন ভালোবাসার কথা এ জন্মে বলেনি কেউ।
কালো শাড়ি তো কয়লার মতো, আগুন কি করে হয়!
মেয়েটির নির্বোধ চপলতায়,
ছেলেটির ভেতরে ভেতরে জাগে সেই পুরানো পাথুরে প্রলয়।
পাগলী একটা, শাড়ি তো নয়- শাড়ীর মানুষ;
ছেলেটির সরল প্রত্যুত্তর; তারপর স্তব্ধতা, শূন্যতা-
চারপাশে শুধু জটিলতা, অলীক ভীতি।
সে দ্বিধায় অকথিত রয়ে যায়, না বলা সহস্র কথা।
এভাবেই মনে মনে, দুর্ভেদ্য দহনে-
একবুক নীরবতার কাব্য নিয়ে,
শোকে পোড়া কালো শাড়ীর কয়লা হয়ে-
একদিন মেয়েটি ডুবে গেলো, অভিমানের অতল জলে।
ছেলেটি জানলোনা, হয়তো আর জানবে না কোনদিন-
যে শুধু পুনর্জন্ম দিতে চেয়েছিল, একটি স্নিগ্ধ পুনর্জন্ম।
Subscribe
Login
0 Comments