রোববার রাত ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সেতু ভেঙে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৬ জনের নিহত এবং অন্তত ২৫০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। সাতটি বগির মধ্যে দুটো ব্রিজের নিচে পড়েছে, লাইন থেকে ছিটকে পড়েছে দুটি। আর তিনটি লাইনচ্যুত হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি সাতটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ভোরে ৭টি সচল বগি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে দুর্ঘটনাকবলিত উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এছাড়া সেতু ভেঙে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রাত পৌনে ৪টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১৫-২০ জন আহত রয়েছেন।’
দমকল বাহিনীর সিলেট অঞ্চলের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন সকালের দিকে লাইনচ্যুত হওয়া বগি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। উপড়ে যাওয়া রেললাইন ঠিক করে রেল যোগাযোগ চালু হতে ৪৮ ঘণ্টার মতো সময় লেগে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা।