গানে গানে জোছনা – দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ প্রোগ্রাম রিভিউ -শুভজিৎ ভৌমিক

  
    

সিডনির বাঙালি কমিউনিটিতে যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনার একটা সাধারণ দিক-নির্দেশনা হলোঃ “দর্শক কিন্তু কোনো রেসপন্স করবে না।” – মানে, আপনি দারুণ কিছু একটা করলেন – দর্শক মৃত, কোনো রেসপন্স নাই, জীবনেও কেউ হই-হই করে উঠবে না! আপনি খারাপ কিছু করলেন – তাও কেউ বলবে না যে, “হচ্ছে না বিষয়টা”। দর্শককে লিটারেলি বলে দিতে হবে যে, এখন তালি দিন, এখন হাত তুলে নাড়ান, এখন মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালান।


প্রাসাদ নগরীতে বিলাসের নিদারুণ রসিকতায় ডলারের সন্ধানে দৌড়ানো মাইগ্রেন্ট কমিউনিটির কাছে আশা করা যায়না যে, উইকেন্ডে এদের শরীরে কোনো এনার্জি অবশিষ্ট থাকবে। কেন মানুষ প্রাণ খুলে তালি বাজায় না, কেন প্রাণ খুলে নাচে না, কেন রেসপন্স করেনা – এটার একটা কারণ এই প্রাণশক্তি বিক্রি করার দৌড়। ফলে, আয়োজক হিসাবে আপনাকে ঘোষিত সময়ের এক-দেড় ঘন্টা পরে অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে, একটা মৃত্যুপুরীর মধ্যে অনুষ্ঠান করতে হবে এবং বিনিময়ে আপনি দক্ষিণাস্বরূপ কিচ্ছু পাবেন না – এটা একটা নির্মম বাস্তবতা। কার্যকারণ যাই হোক, সিডনিতে আমরা একটা মৃত, প্রাণশক্তিহীন দর্শকশ্রেণী পেয়েছি, যেটা প্রত্যেক শিল্পীর দুঃস্বপ্ন। এর মধ্যেও যারা যে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিশ্রমটা করার মানসিকতা দেখান, এই কমিউনিটির উচিত – রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার, আর সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে একবার তাদের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা।

অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আতিক হেলাল এবং মিতা আতিকের সংগীত সন্ধ্যা “গানে গানে জোছনা” যাত্রার দ্বিতীয় অধ্যায়। প্রথম অধ্যায়েও উপস্থিত ছিলাম, সে কারণেই দ্বিতীয় অধ্যায়ে উপস্থিত থাকার তাড়না অনুভব করা। প্রথমবার স্থানীয় মিউজিশিয়ানদের সাথে বাংলাদেশ থেকে আসা মিউজিশিয়ান ছিলেন একজনই, কী-বোর্ডিস্ট রাজিব। এবার স্থানীয় মিউজিশিয়ানই একজন, তবলাবাদক জিয়াউল ইসলাম তমাল, বাকী সবাই বাংলাদেশ থেকে আসা।

এই মিউজিক্যাল এরেঞ্জমেন্ট একটা পার্থক্য তৈরি করে দেয়। সিডনির বাঙালি মিউজিশিয়ানরা নিঃসন্দেহে এক্সপার্ট, তবে তারা প্রায় প্রত্যেকেই অন্যান্য পেশার সাথে জড়িত এবং তেমন কেউই ফুলটাইম প্রফেশনাল মিউজিশিয়ান নন। দেশি মিউজিশিয়ানরা প্রত্যেকে প্রফেশনাল, এবং মিউজিকটাই তারা করে থাকেন সাধারণত, আর কিছু নয়।

এক্সপার্টদের সাথে পরিচিত গানে কাজ করার একটা বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, পরিচিত গানে নতুন কিছু করতে পারার সুযোগ কম। এসব গান তারা লক্ষ-লক্ষবার একইভাবে বাজিয়েছেন সারা দেশে। তারা লাইন ধরে ধরে, ব্যাকরণ এবং মূল গানের সবকিছু মেনে আপনাকে পারফেক্ট বাজিয়ে দেবেন, তবে এর বাইরে তাদের কাছে নতুনত্ব বা আলাদা ক্রিয়েটিভিটি আশা করা মুশকিল। আর স্থানীয় মিউজিশিয়ানরা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে, অনেক পরিচিত গানই তাদের কাছে অপরিচিত এবং স্বল্প-চর্চিত। তাই বাজনার ব্যাকরণে কিছুটা হের-ফের হলেও সেখানে নতুন কাজ দেখানোর সুযোগ আছে। এই দুটোর মধ্যে আপনি যে কোনো একটা পাবেন। আতিক এবং মিতা – দুটি অনুষ্ঠানে দু’রকম ফ্লেভার দিলেন।

এই দু’রকম ফ্লেভারের বিষয়টা আরেকটু বিস্তৃত। কণ্ঠের কথা যদি বলি, তাহলে আতিক এবং মিতা – সম্পূর্ণ দু’রকম ফ্লেভারের দু’জন শিল্পী। আতিক হেলাল ব্যান্ড ব্যাকগ্রাউন্ডের, ভারী আওয়াজ এবং নিচের স্কেলে দখল রাখা শিল্পী। মিতা আতিক সম্পূর্ণ আলাদা, তার স্কেল অনেক ওপরে, আওয়াজ শীতল এবং তালিম প্রচলিত ঘরানার। এই অদ্ভুত বিপরীত কম্বিনেশনকে একটা লেভেলে আনা দুঃসাধ্য এবং সেই ঝুঁকিটা প্রচলিত সংগীত জগতে নেয়ার উদাহরণ খুব বেশি নয়। কম্বিনেশনটা অনেকটা বাপ্পী লাহিড়ীর সাথে সন্ধ্যা মুখার্জীর ডুয়েট বলতে পারেন।

কণ্ঠসংগীত শিল্পীদের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য, তারা অনেক কিছুর কাছে অসহায়। একজন যন্ত্রসংগীত শিল্পী অসুস্থ হলেও ঠিকঠাক বাজিয়ে দিতে পারবেন, কিন্তু গলা যদি একবার ভেঙে যায় – কণ্ঠশিল্পীর কিচ্ছু করার নেই। একটা বয়সের পরে গলাও বদলানো শুরু করে, সেদিক থেকে পুরুষ শিল্পীদের গলা সাধারণত লাগামছাড়া হওয়া শুরু করে বেশ আগে। লতা মুঙ্গেশকর পঁচাশিতেও দিব্যি গান গেয়েছেন, গোলাম আলী সত্তুরেই আর পারেননি।

“গানে গানে জোছনার” প্রথম সিজনে মিতা ছাপিয়ে গেছিলেন আতিককে। যে কোনো বিচারেই সেই শো’তে মিতা, আতিকের চেয়ে নিঃসন্দেহে অনেক ভালো গেয়েছিলেন। এইবার, আশ্চর্যজনকভাবে বেশ ভাঙা গলা নিয়েও আতিক হেলাল মিতাকে ছাপিয়ে গেলেন। গলা ভাঙা থাকলেও কিছু টেকনিক ফলো করে গান মোটামুটি উৎরে দেয়া যায়, কিন্তু আতিক হেলালের অনায়াস গায়কীতে গলার ইনজুরি প্রায় ধরাই পড়েনি। এই জায়গাটাতেই দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বিষয়টা মূর্ত হয়ে ওঠে। হাই নোটের কিছু জায়গায় ক্র্যাক বাদ দিলে তরতরিয়ে গেয়ে গেছেন শিল্পী। তার সাথে আছে আয়োজনের বিভিন্ন দিক সামলানোর ঝক্কি। ভদ্রলোকের প্রাণশক্তি অসামান্য, অনুষ্ঠানের শেষ গানটা পর্যন্ত সম্পূর্ণ এনার্জি দিয়ে গেয়ে গেছেন। হাঁটুর বয়সী শ্রোতার পক্ষ থেকে একটা অনুরোধঃ হিন্দি উচ্চারণটার পিছে একটু কাজ করুন, প্লিজ।

মিতা প্রথম শো’তে আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স দিয়েছিলেন, এবার ততোটা নয়। হাই নোটে তিনি যথেষ্ট সাবলীল, এতো ঊঁচুতে গাওয়া অনেকের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তবে তার দুর্বলতার জায়গা লোয়ার নোট। লোয়ার নোটে বহু জায়গায় সুর সরে গেছে, বিশেষ করে ফার্স্ট হাফের গানগুলোতে খুব ক্রিটিক্যাল কিছু জায়গায় সুর সরেছে। মিউজিশিয়ানদের সাথে আরও প্র্যাকটিস সেশন রাখা দরকার ছিলো। দুইদিনের প্র্যাকটিসে অপ্রস্তুতির একটা বড় উদাহরণ, প্রিলিউড-ইন্টারলিউডের পর ঠিক জায়গায় গানটা ধরতে না পারা, এবং এই ঘটনা কয়েকবার ঘটেছে। সমালোচনাটা কঠিন লাগতে পারে, তবে আমরা নিশ্চয়ই সেরকম সভ্যতাতেই বসবাস করি, যেখানে গঠনমূলক সমালোচনাকে সানন্দেই গ্রহণ করা হয়।

দ্বিতীয় সিজনের সবচেয়ে বড় সম্পদ – গানের দুর্দান্ত সিলেকশন। এতো চমৎকার সিলেকশন বহুদিন পাওয়া যায়নি সিডনির স্থানীয় শো’গুলোতে। নাইন্টি নাইন পার্সেন্ট গান মানুষের মুখে লেগে থাকা গান। এধরনের গান ঠিকঠাক করতে পারলে শো অসম্ভব দর্শকপ্রিয়তা পায়, আর বিপজ্জনক দিকটা হচ্ছেঃ গানগুলো এতোই জনপ্রিয় যে, এগুলোর সামান্যতম বিচ্যুতিও দর্শকের কান এড়াতে পারেনা। এইদিক থেকে সিলেকশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হাই-ডিস্টিংশন মার্ক পাবেন। সিলেকশন সেইসব গানেরই হয়েছে, যেসব গান মানুষ বারবার শুনতে চায়। প্রথম সিজনে এই বিষয়টা কিছুটা অনুপস্থিত ছিলো, এই সিজনে সেটা রিকাভার হয়েছে, প্রশংসনীয় ব্যাপার।

তবে চেয়ারে বসে গান গাওয়ার সিদ্ধান্তটা রীতিমত আত্মঘাতী, অন্তত ব্যান্ড ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা শিল্পীর জন্য তো অবশ্যই। গান আমরা প্র্যাকটিস করি হয় দাঁড়িয়ে, অথবা সমতলে বসে। চেয়ারে বসে গানের প্র্যাকটিস সাধারণত হয়না। চেষ্টা করে দেখতে পারেন, কমফোর্টেবল লাগবে না, শরীর সাপোর্ট দেবেনা এবং দমে সমস্যা হবে। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে দু-তিনটি গানে বিষয়টা ধরা পড়েছে ভালোভাবেই, খেয়াল রাখতে হবে আগামীতে।

স্টেজ পারফরমেন্সের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটা, সাউন্ড মিক্সিং, প্রথম সিজনে ভালো ছিলোনা একেবারেই। এই একটামাত্র ব্যাপার পুরো শো’য়ের সর্বনাশ করার জন্য যথেষ্ট। দ্বিতীয় সিজনে অতি চমৎকার সাউন্ড মিক্সিং হয়েছে। আতাবুর রহমান দুর্দান্ত সাউন্ড মিক্স করেছেন এবং বিশাল ধন্যবাদ প্রাপ্য ওনার। ব্রায়ান ব্রাউন থিয়েটারে এতো দারুণ সাউন্ড আর শুনেছি বলে মনে হয়না। ভদ্রলোককে বিভিন্ন প্রোগ্রামে আরও বেশি বেশি কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করি, সেই ক্যালিবার ওনার অবশ্যই আছে।

গানগুলোর যে ধরণ, তাতে কী-বোর্ডিস্টের ভূমিকাই অগ্রগণ্য হওয়া স্বাভাবিক। দীর্ঘ মিউজিক্যাল ক্যারিয়ারের প্রফেশনাল আর্টিস্ট রূপতনু সেই জায়গাটায় সুবিচার করেছেন নিঃসন্দেহে। দক্ষ মিউজিশিয়ানদের মাঝেমাঝে মূল শিল্পীদের ছাপিয়ে নিজের ব্যক্তিগত কারিশমা দেখানোর একটা প্রবণতা দেখা যায়। রূপতনু সেই কাজ একবারের জন্যও করেননি। “সংগত” বিষয়টা কী – সেটা এই ভদ্রলোকের কাছ থেকে শেখার আছে।

অবিকল ভারতীয় গায়ক হরিহরণের মতো দেখতে বেজ গিটারিস্ট রানা টপ টু বটম ফ্ল-লেস বাজিয়ে গেছেন। আইয়ুব বাচ্চুর “সেই তুমি” গানটি তিনি গেয়েও শোনালেন এবং তার ভয়েজ আশাতীতভাবে পরিষ্কার। তারই বড় ভাই জাহিদ ছিলেন গিটারে, এবং সম্ভবত এই একজনই পুরো শো’তে বেশ অব্যবহৃত রয়ে গেলেন। জাহিদকে আরেকটু স্পেস দেয়া লাগতো। কর্ডগুলো বাজিয়ে যাওয়া ছাড়া তার বিশেষ কিছুই আমরা পেলাম না।

তবে বাজনাতে সবকিছুকে ওভারট্রাম্প করে ছাপিয়ে গেছেন আমাদের ঘরের লোক জিয়াউল ইসলাম তমাল। বলিউডে এক সময় নিয়মিত বাজানো এই শিল্পীর গ্রাউন্ড ব্রেকিং পারফরমেন্স, অসামান্য ইম্প্রোভাইজেশন এবং পারফেক্টলি ক্লিয়ার হিট – অপূর্ব! ওনার বাজনা দেখাটাই একটা আলাদা আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। অক্টোপ্যাডের শিল্পী বুলবুলের সাথে মজা করে, এনজয় করতে করতে যে রিদম দুইজন মিলে ক্রিয়েট করলেন – দ্যাট ওয়াজ আউট অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড। সিডনির সৌভাগ্য যে এখানে জিয়াউল ইসলাম তমাল থাকেন। ওনার আসল জায়গা বলিউড। সিডনি ওনার জায়গা নয়।

এধরনের অনুষ্ঠান ফরমেটে উপস্থাপকের তেমন কোনো ভূমিকা থাকেনা। শুধু অনুষঙ্গের তাগিদে উপস্থাপক-উপস্থাপিকা দরকার ছিলোনা। উপস্থাপিকা তারপরেও নিজের জায়গাটুকুতে হয়তো উৎরে গিয়েছেন, কিন্তু প্রোগ্রাম যেহেতু ওপেন তারাই করেন, তাই কিছু অন্তত প্রস্তুতির দরকার ছিলো। একেবারেই অপ্রস্তুত উপস্থাপনা, বিশেষ করে উপস্থাপক ভদ্রলোকের আবৃত্তি চলনসই হলেও উপস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। বলতে খারাপ লাগছে, তাও বলিঃ এই অবস্থায় স্টেজে আসার চেয়ে না আসা ভালো।

প্রবাসী শিল্পী এবং আয়োজকদের, বা যে কোনো শিল্পী এবং যে কোনো আয়োজকের – একটা নির্মম দুর্ভাগ্য হলো, স্টেজে ফাইনালি তারা যে আউটপুট দেন, ওইটুকুর হিসাবেই তাদের মূল্যায়ন হয়। মঞ্চের পিছে যারা কাজ করেন তারা জানেন, কী পরিমাণ সময়, শ্রম এবং আত্মত্যাগের বিনিময়ে একেকটা প্রোডাকশন তৈরি হয়। তিন ঘন্টা আনন্দে গান শুনে কেটে গেলো, এই আনন্দটুকু আমাদের দেয়ার জন্য পেছনের মানুষগুলোর জীবনটা যে ফেটে গেলো – সেই খবরটা কেউ রাখেনা। ওপরের এই বিশাল আলোচনা যারা পড়লেন, দয়া করে মনে রাখবেনঃ সমালোচনা করা খুব সোজা, কাজটা করে দেখানো খুব কঠিন।

সেজন্য, এতো পরিশ্রম, এতো অর্থব্যয়, এতো ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টি করা আমাদের এই ছোট কমিউনিটির অনুষ্ঠানগুলোতে যেসব ভদ্রমহোদয় এবং ভদ্রমহিলাগণ টিকেট কেটেও আসেন না এবং সিট ফাঁকা রাখার মতো নির্মম কাজটা করেন, আপনাদের টাকাগুলো দয়া করে আগামীতে আর অপচয় করবেন না। অন্য কেউ আসুক, চাইলে কেউ না আসুক, কিন্তু আসার আশ্বাস দিয়ে না আসাটা শিল্পের সাথে প্রতারণা। কেউ কৈফিয়ত চাইবে না নিশ্চয়ই, তবে নিজের জন্য এক সেকেন্ডের হলেও ঘৃণা বরাদ্দ রাখবেন দয়া করে। কিছু মানুষ আপনাকে বিনোদন দেয়ার জন্য প্রাণপণে পরিশ্রম করলেন, তাদের এই প্রস্তরকঠিন যাত্রায় আপনি পাশে ছিলেন না – এর মতো অপরাধ একজন শিল্পীর প্রতি আর কিছুই হতে পারেনা।

শুভকামনা থাকবে আতিক হেলাল এবং মিতা আতিক সহ প্রত্যেক মিউজিশিয়ানের জন্য। গানে গানে জোছনার তৃতীয় অধ্যায়ের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। এই ছোট কমিউনিটিতে খুব বড় কিছু করাটা খুব দুঃসাধ্য, কিন্তু আপাতঃদৃষ্টিতে যেটা অসম্ভব বলে মনে হয়, সেটাই সুযোগ, কিছু করে দেখানোর।

সবকিছু বদলে দেবার প্রেরণায়
আজও যারা অদম্য উৎসাহে পথ হাঁটে
জানে না, কতোদূর যেতে হবে,
এ যাত্রায়,
পাশ দিও তাকে।

শুভজিৎ ভৌমিক
সংস্কৃতিকর্মী, সিডনি।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments