কী যে চায় মন
বড় একা, ভেতরটাও ফাঁকা
শুণ্যতার বিচরণ,
অশান্ত অস্থির হৃদয়ে যেন
চলছে রক্তক্ষরণ।
আমার চারপাশে সবই আছে
আত্মীয়স্বজন, পরিবার,
তবু কেন এমন একাকীত্ব
পুড়ে পুড়ে করে ছারখার।
অসুস্থ হয়ে শুয়ে বসে থাকা
কী যে মর্মপীড়ন!
ফুরায় না অলস সময়
বাঁধন মানে না পাগল মন।
মন তুই কেন করিস এমন
যখন তখন জ্বালাতন,
ভেবে দেখ একবার
থাকিস না কেন নিয়ন্ত্রণ?
আমি থাকলে তুইও থাকিস
নয় ওড়াওড়ি চড়াই উৎরাই,
কেন করিস এত বাড়াবাড়ি
করিস কিসের বড়াই?
আমার আত্মায় তোর বসবাস
তাই তো ‘মন’ তোর নাম,
আমি ছাড়া কে আছে তোর
কী-ই-বা আছে দাম?
আমি নাই তুইও নাই
ভেবে দেখ একবার,
করিস না আর বাড়াবাড়ি
পূর্ণ কর জীবন আমার।
ওগো প্রভু দয়াময়
.
করোনার নির্মম প্রতিহিংসার যাতাকলে,
আইসোলেশনে ভয়ে জবুথবু পাঁজাকোলে।
এই আছি, এই নাই, শ্বাসরুদ্ধকর আঁধার,
স্বজন-বিচ্ছেদে জ্বলে-পুড়ে হচ্ছি ছারখার!
স্বামী-সন্তান, কে কেমন আছে জানি না খবর,
শ্বাসরোধী করোনা আমায় করছে যে নিথর।
করোনা এক প্রাণঘাতী ব্যাধি জানে তা সবে,
মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়ে ঘুরছে এখন ভবে।
করোনায় মরণ, কষ্ট আমরণ ওগো ভাই-বন্ধুগণ,
হয় না যেন কোনো শত্রুরও এমন নিষ্ঠুর মরণ।
বাঁচতে হলে মানতেই হবে করোনার সতর্কীকরণ
ব্যত্যয় ঘটলে করতে হবে করোনাকেই বরণ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই করুন করোনা প্রতিরোধ,
একই সাথে জাগ্রত করুন নিজ বিবেকবোধ।
তোমার কাছে শেষ আরজি, ওগো প্রভু দয়াময়,
করোনায় মৃত্যু দিও না আর,করো দ্রুত নিরাময়।
ডায়াবেটিস
মাষ্টার চাচা, মাষ্টার চাচা
বাঁচার আর নাই ভরসা,
চাচা বলেন, কী হয়েছে?
বল শুনি, করে খোলাসা।
হাসপাতালে গেলাম সেদিন
পরীক্ষা করে ডাক্তার বলেন,
রক্তে পেয়েছে ডায়াবেটিসের লক্ষন
বলুন তো চাচা, করি কি এখন?
ডায়াবেটিস আজীবনের রোগ
শুনতে লাগে যত ভয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে
ভয় ততোটা নয়।
শিক্ষা আর সঠিক খাদ্যাভ্যাস
হেলা করলে জীবন নাশ,
ব্যায়াম ওষুধেরও আছে প্রয়োজন
শৃঙ্খলাই আসলে জীবন।
শৃঙ্খলা রোগীর জীবন কাঠি
সম্পূর্ণ ছাড়ুন চিনি, গুঁড়, মিষ্টি
শৃঙ্খলিত জীবনে হোন অভ্যস্ত
স্বাভাবিক থাকবে শরীর স্বাস্থ্য।
ওয়ার্কিং ইজ দ্যা বেস্ট মেডিসিন
নিয়মিত হাঁটুন, সুস্থ থাকুন,
ডায়াবেটিস নিয়ে নয় আর ভাবনা
মেনে চলুন ডাক্তারের নির্দেশনা।
ধর্মবিশ্বাস আর নিরাময় প্রত্যাশা
দূর করবে মনের হতাশা,
ইতিবাচকতায় উজ্জীবিত হোন
স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।
পিয়ারা বেগম
কবি, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক
নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ।