চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ড. আব্দুর রাজ্জাক

  
    

ফাহাদ আসমার: শিক্ষক, সংগঠক, রাজনীতিবীদ ও সিডনি বাঙ্গালী কমিউনিটির প্রাণপুরুষ ড. আব্দুর রাজ্জাক চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সিডনির রিভারস্টোন সেমিট্রিতে। আজ বাদ জোহর লাকেম্বা বড় মসজিদে নামাযে জানাযা শেষে বিকেল সাড়ে তিনটায় রিভারস্টোন সেমিট্রির মুসলিম কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাযা ও দাফনে তাঁর শতাধিক ভক্ত, অনুরাগী, বন্ধু ও আত্নীয় সহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহণ করেন।

ড. আব্দুর রাজ্জাক

জানাযার আগে সকাল ১০টার দিকে কিছু সময়ের জন্য শ্রদ্ধেয় আব্দুর রাজ্জাকের মুখ খুলে রাখা হয়েছিলো।শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছিল লাকেম্বা মসজিদে। জানাযা শেষে সেখান থেকে অনেকেই চলে যান রিভারস্টোন কবরস্থানে। নিহতের পরিবার এবং অসংখ্য বন্ধুদের উপস্থিতিতে দাফন সম্পন্ন হয়। বাঙ্গালী কম্যুনিটির পক্ষ থেকে আজ উপস্থিত ছিলেন গামা আব্দুল কাদির, শেখ শামিমুল হক, অজয় দাশগুপ্ত, নেহাল নেয়ামুল বারী, এনায়েতুর রহিম বেলাল, মমতা চৌধুরী, আলাউদ্দিন আলোক, আনিসুর রহমান নান্টু, নোমান শামীম, সুরজিৎ রয়, ফয়সাল হোসাইন, ফাহাদ আসমার ছাড়াও অসংখ্য সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।

রিভারস্টোন সেমিট্রিতে ড. আব্দুর রাজ্জাকের দাফনে মানুষের ঢল, ছবি: ফাহাদ

উল্লেখ্য, সিডনি বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রাণপুরুষ এবং বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিক্ষাবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক গতকাল মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহে..রাজেউন)। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকবছর যাবৎ দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভূগছিলেন। গত তিন মাস আগে তাঁর লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। গতকাল ২২ ডিসেম্বর দুপুর দুইটার দিকে তিনি সিডনির নরওয়েস্ট প্রাইভেট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

ড. আব্দুর রাজ্জাক ১৯৪৬ সালে বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। অস্ট্রেলিয়া আসার আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন। পরে আমেরিকায় আইন বিষয়ে পিএইচডি করেছেন। এরপর তিনি সিডনির ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যা ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেলেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments