চট্টগ্রামে রোববার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার পথে ময়ূরপঙ্খী নামের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি বিমানের উড়োজাহাজ ছিনতাইকারীকে আটক করার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন বলে জানান চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান। আহত অবস্থায় আটক করার পরে যুবক মারা যায়।
সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত কমান্ডো অভিযানে চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর উড়োজাহাজের ভেতরে থাকা ‘ছিনতাইকারীকে’ আটক করা হয়। অভিযান শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, “ছিনতাইকারীর একটিই দাবি ছিলো। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। এর বেশি আমরা কিছু জানতে পারিনি। তার আগেই তাকে আটক করা হয়।”
মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যেই অভিযান সফলভাবে শেষ হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকারীর হাতে পিস্তল ছিলো এবং তিনি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক আচরণ করেছিল ফলে নিজেকে মাহাদী নামে পরিচয় দেয়া এই যুবককে গুলি করে আহত অবস্থা আটক করে কমান্ডো বাহিনী। তার প্রকৃত পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
ছিনতাইকারী শুধুমাত্র কেবিন ক্রুদের জিম্মি করার চেষ্টা করেছিলো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।