ছড়াগুচ্ছ – নাজমুন নাহার লিপি
আজ যে খুশীর ঈদ
ঐ যে দেখো ঈদের চাঁদ
আকাশ করেছে আলো
ঈদের চাঁদ দেখলে সবার
মন হয়ে যায় ভালো।
সকাল যখন অলস ঘুমে
মা বলছেন ডেকে
এবার উঠো এবার উঠো
ঈদ যে এলো ঘরে।
স্বপ্নে আমি বিভোর তখন
নতুন জামার ঘ্রাণে
নতুন জামা নতুন জুতো
পড়ব আমি ঈদে,
আমারটাই যে বেশী ভালো
দেখেনিতো কেউ আগে।
পায়েস খাবো কোরমা খাবো
সবাই মিলে মিশে
সুরমা চোখে,আতর মেখে
সবার আগে কদমবুচি
করবো আমার মাকে।
উড়াল পাখি
পাখি তোর মত থাকত যদি
আমার দুটি ডানা
ঘুরে বেড়াতাম এদেশ ওদেশ
করত না কেউ মানা।
খড় কুটো কুড়িয়ে এনে
বাধিস তোর বাসা
নেচে নেচে এগাছ ওগাছ
করিস কত খেলা।
গঠন তোর বেজায় সুন্দর
যেন হাতের আল্পনা।
তোর ডাকে সকাল হবে
এটাই সবার জানা
পাখি তোর মত থাকতো যদি
আমার দুটো ডানা।
কন্ঠ তোর অতি মধুর
শুনতে ভালো লাগে
অবেলা ডাকলে কি তুই
বিপদ আসবে ঘরে ?
দুই পাখিকে দেখতে ভালো
কপালে সুখ আছে
একপাখি অলক্ষ্নী
গুরুজনেরা বলে।
বৈশাখের ঝড়ে তোর
ঘর নড়বড় করে
কত সুখের বাসা তোর
ভেঙে ভেঙে পড়ে।
নতুন বছর
সকালে তখন অলস ঘুম
ভেসে এলো গানের সুর,
গানের উৎস খুজতে দেখি!
কোকিল গাইছে গলা ছাড়ি!
“এলোরে এলোরে পহেলা বৈশাখ”
” আজ পহেলা বৈশাখ”
ভোরের পাখির সেই কনসার্টে
খুশীতে মন নাচিলোরে,
বৈশাখের এই রঙিন আলোয়
রঙ লেগেছে আজ সবার মনে,
খোঁপায় পড়েছি বেলি ফুল
হাতে রঙিন চুরি,
পান্তা খাওয়ার ধুম লেগেছে
সবার বাড়ি বাড়ি।
বৈশাখের এই উৎসবে
মনে কেবলই ভাবনা আসে
নতুন বছর কেমন যাবে!
দুঃখ কষ্টকে সরিয়ে দিয়ে
মাতিয়ে থাকব শুধু আনন্দে।
লাবন্যময়ী ( লাবণীর জন্য)
শ্যাম বরণ মেয়েটি
দেখতে ভারী মিষ্টি
ডাগর ডাগর আঁখি দুটি
দীঘল কালো কেশ রাজি।
মুখপত্রে রূপের প্রশংসা
আছে ভুরি ভুরি
কেউ বলে কিউটের ডিব্বা
আমি বলি লাবন্যময়ী।