প্রশান্তিকা ডেস্ক: করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফ চৌধুরীর স্ত্রী জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে । করোনায় পরীক্ষা না করে মনগড়া রিপোর্ট দিতো জেকিজি হেল্থ কেয়ার। আজ দুপুরে ঢাকায় ডিএমপির তেজগাঁও উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগামীকাল সোমবার সাবরিনাকে আদালতে নেওয়া হবে এবং সেখানেই তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফ চৌধুরীর প্রতারণার নেপথ্যেই ছিলেন তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। এমনকি জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে সব যোগাযোগ রক্ষা করতেন সাবরিনাই। এর আগে গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। মারধর করে পুলিশকে।
অভিযোগ পাওয়া যায়, বহুল আলোচিত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ সাহেদের মতোই বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী বা আমলাদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্নজনকে হুমকি দিতেন আরিফ। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
জানা যায়, জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।
অভিযোগের পরেও এতোদিন ডা. সাবরিনা গ্রেফতার না হওয়ায় সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন। করোনা নিয়ে জেকিজি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের নানাবিধ দূর্নীতির অভিযোগের কারণে দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়ে এসেছে। এমনকি সম্প্রতি ইতালীতে ল্যান্ড করা একটি ফ্লাইট থেকে বাংলাদেশীদের নামতে দেয়া হয়নি এবং সমস্ত যাত্রীদের ঢাকায় ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।