প্রশান্তিকা ডেস্ক: যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গতকাল র্যাব অস্ত্রসহ আটক করেছে। তিনি ঢাকায় স্থাপিত ইয়ংম্যান্স ক্লাব ক্যাসিনো পরিচালনার সাথে জড়িত রয়েছেলে বলে জানা গেছে । ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে শেষ খবর পর্যন্ত ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদকে সন্ধ্যায় তাকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, খালেদের গুলশান-২ এর ৫৯ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় শুরু হয় অভিযান। দুপুর থেকেই বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাবের শতাধিক সদস্য। একই সময় ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব। এই ক্যাসিনোর সভাপতিও খালেদ। এ সময় ওই ক্যাসিনোর ভেতর থেকে তরুণীসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়। সেখানে নগদ ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ফকিরাপুলের অভিযান শেষে খালেদের বাসায় ঢোকে র্যাব।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ঢাকার মিডিয়াকে জানান, “অবৈধ এই ক্যাসিনোগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলবে। যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই অভিযান চলবে। জিরো টলারেন্স নীতিতে র্যাব এই অভিযান চালাচ্ছে।”

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ছত্রছায়ায় রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় শতাধিকের বেশি জুয়াচক্র বা ক্যাসিনো চলছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বৈঠকে যুবলীগের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ঢাকায় অবৈধভাবে ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে যুবলীগ নেতারা। আমার কাছে সবার আমলনামা আছে।”
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাসিনো সনাক্ত করতে অভিযান চালায়। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান ঘোষণার পর ছাত্রলীগের পর যুবলীগের কর্মীদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করেছেন। যুবলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।