তত্ত্বানুসন্ধান । রাজীব কুমার হাওলাদার

  
    
রেখার আজ খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে ছিল। হাতের কাজগুলো গুছিয়ে এক মগ চা আর খবরের কাগজ হাতে বারান্দায় এসে বসল। চায়ের মগে একটা চুমুক দিয়ে খবর কাগজটা খুলতেই কপাল কুঁচকে চোখ দুটো ছোট হয়ে গেলো। কাগজের প্রধান শিরোনাম – রিভার ড্রিম সিটিতে আবারো খুন, এবারে নিহত বিশিষ্ট শিল্পপতি আফতাব শিকদার। শিরোনামের উপরে বড় করে আফতাব শিকদার এর মৃতদেহের ছবি। কাগজটা রেখে ঘরের ভেতর গেলো সিগারেট আর লাইটার খুঁজতে। রেখা ইদানিং খুব একটা সিগারেট খায়না, তবে টেনশন হলেই সিগারেট এর টান অনুভব করে। সিগারেট ধরিয়ে চায়ের মগে আর একটা চুমুক দিয়ে বিস্তারিত সংবাদ পড়তে শুরু করে।

আনুমানিক আজ রাত ১২:৩০ মিনিট নাগাদ শিল্পপতি আফতাব শিকদার (৪৮) তার রিভার ভিউ সিটির বাড়ির রুফটপের সুইমিং পুলের পাশে খুন হন। এ সময় তার সঙ্গে দুজন বিদেশী অবস্থান করছিলো, তারা দুজনেই গুরুতর আহত হন ।

রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশ এলে বাড়ির দারোয়ান ও আফতাব শিকদার এর দেহরক্ষীকে আহত এবং বন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়। আফতাব শিকদারের পরিবারের সদস্যরা সবাই ঢাকাতে বসবাস করায় তারা নিরাপদে আছেন। পুলিশের সূত্রমতে রাত ১:১৫ নাগাদ তাদের কাছে আনট্রেসাবেল নাম্বার থেকে একটা ফোনের মাধ্যমে জানতে পারে, আফতাব শিকদার খুন হয়েছেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন, এবং তদন্তের খাতিরে বাড়িটিকে সিল করে দেয়। আহতদের হেলিকপ্টার যোগে পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এই নিয়ে গত এক মাসে রিভার ড্রিম সিটিতে পঞ্চম খুন। অথচ রিভার ড্রিম সিটিকে দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর হিসেবে ধরা হয়। প্রায় তিন কিলোমিটার বিস্তৃত মেঘনার নদীর চরে গড়ে উঠেছে অভিজাতদের এই শহর। শহরের সর্বত্র সিকিউরিটি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। স্পিড বোট কিংবা হেলিকপ্টার বিনা শহরে প্রবেশ কিংবা বের হবার কোনো ব্যবস্থা নেই। সাধারণ জেলেদের নৌকা কিংবা ট্রলার নোঙ্গর করার কোনো অনুমতি নেই। একটা সুউচ্চ লাইট হাউজ আছে, সেখানেও রয়েছে সিকিউরিটি ক্যামেরা যাতে পুরো দ্বীপের বহিরাঞ্চলকে পর্যবেক্ষন করা যায়। এতো নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকা সত্ত্বেও এই শহরে ঘটছে একের পর এক হত্যাকান্ড।

এসব বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বর্তমান হত্যাকাণ্ডের আলামত বলছে এটি পূর্ববর্তী হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটি ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক শত্রুতা বলে ধারণা করছি। পূর্ববর্তী হত্যাকান্ড গুলোর তদন্ত প্রায় শেষের দিকে, আশা করছি খুব শীঘ্রই পুরো চক্রটিকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

রেখা আরো একটা সিগারেট ধরায়। সে পুলিশের ক্রিমিনাল নেটওয়ার্ক বেজ ডাটাবেজের চিফ এডমিনিস্ট্রেটর। রেখা নিশ্চিত বর্তমান খুনটিও আগের চক্র দ্বারা ঘটেছে। যথারীতি কোনো আলামত রেখে যায়নি, সিকিউরিটি ক্যামেরায় ও কোনো আলামত পাওয়া যাবে না। পুলিশ সুপারের শেষ বক্তব্যটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে – “হত্যাকান্ড গুলোর তদন্ত প্রায় শেষের দিকে”। একা একাই বিড়বিড় করে, হ তোরে কইছে, তদন্ত শেষের দিকে? হঠাৎ মোবাইল এর কথা খেয়াল আসে, মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে ২০ টি মিসড কল।
একটা মেসেজ: Another murder in River Dream City, come as soon as you can.

রেখা একটা রিপ্লাই মেসেজ দেয়: Sorry phone was in silent mode, coming as soon as possible.

রেখা দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকাল, প্রায় আটটা বেজে চলছে। দ্রুত তৈরী হয়ে অফিসের পথে পা বাড়ায়। ড্রাইভার আসেনি, ড্রাইভার আসবে সাড়ে আটটার পরে। এতো দেরি করা যাবে না, নিজেই ড্রাইভ করবে। আজকাল ঢাকা শহরে সকাল সকাল জ্যাম লেগে যায়। তবে আজ কোথাও তেমন দেরি হয়নি আটটা চল্লিশের ভেতর অফিসে পৌঁছায়।

অফিসে ঢুকতেই একটু অবাক হয়, এত সকালে পুলিশের আইজি নুরুল হোসেন সাহেব এসে বসে আছেন। নুরুল হোসেন সাহেবের যথেষ্ট বয়েস হয়েছে, বছর খানেক পরেই রিটায়ার্ড করবেন। বয়স হলেও চেহারায় বয়সের ছাপ খুব একটা পড়েনি। আজ অবশ্য চোখ মুখে একটা অন্য রকম বিমর্ষতা। রেখা ঢুঁকেই নুরুল হোসেন সাহেবকে সালাম দিল। নুরুল হোসেন সালামের উত্তর দিয়ে বললো চলো তোমার রুমে।
রুমে ঢুকতে চেয়ারে বসতে বসতে নুরুল হোসেন বললেন – রেখা কি হচ্ছে এসব!! এত সব টেকনোলজি কি কাজে আসছে!! এই নিয়ে পাঁচটা খুন, অথচ আমরা কিছুই বের করতে পারছি না। তুমি জানো নিহত ব্যক্তিরা সবাই দেশের পাওয়ারফুল মানুষ। এর মধ্যে সরকারি দলের যে এমপি মারা গেছেন, তার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ভাঙচুর চলছে প্রতিদিন। কি জানি কি হবে! শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে না বিদায় নিতে হয়!!
শেষ কথাগুলোতে হতাশা খুব স্পষ্ট।

রেখা একটু সময় নিয়ে বলে – স্যার আপনার মত সাহসী এবং আশাবাদী একজন মানুষ এতো সহজে ভেঙ্গে পরলে চলবে? এই আপনার অনুপ্রেরণায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে এই বিভাগে জয়েন করেছি। টেকনোলজির কথা বলছেন, এটা সত্যি যে, টেকনোলজির অনেক অবদান আছে। তবে তার চেয়েও বড়ো সত্যি টেকনোলজির কারণে আমরা পঙ্গু হয়ে যাচ্ছি। বিজ্ঞানের সুবিধা নিতে নিতে আমাদের মস্তিস্ক অকেজো হয়ে গেছে। ভেবে দেখুন তো একবার, যখন টেকনোলজি ছিলোনা তখন কি পুলিশ এর চেয়েও বড় বড় রহস্যের উদ্ঘাটন করেনি। তাহলে হতাশা কেন! দরকার হলে আমরা রিটায়ার্ড গোয়েন্দাদের ব্যবহার করবো, সেনাবাহিনী কিংবা এনএসআই এর সহায়তা নেব। হতাশার কিছু নেই তো স্যার।

নুরুল হোসেন সাহেব এবার একটু হেসে বললেন: তুমি তো বেশ মোটিভেশনাল বক্তৃতা দিতে পারো! আমার হতাশা কেটে গেছে, তোমার এখানে কি ব্ল্যাক কফির ব্যবস্থা আছে?

রেখাও নুরুল হোসেন সাহেবের কথায় হেসে ওঠে :একটু বসুন আমি কফির কথা বলে আসি। কফি খেতে খেতেই পরবর্তী কাজের কথা সেরে ফেলে – আগামী ঘন্টা দুয়েক এর টেকনিক্যাল রিপোর্ট গুলো এনালাইসিস করে আপনাকে রিপোর্ট পাঠাবো এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো আপনাকে জানাবো। আমাদের হয়তো এনএসআই এর কিছু সহায়তা লাগতে পারে, অনুমতি জনিত সমস্যা হলে আপনাকে জানাবো।
রেখা একটু থেমে আবার বলে: তবে আমার ধারণা এই কেসটা ও আগের কেসগুলোর মত, আমরা হয়তো তেমন কিছু খুঁজে না ও পেতে পারি। আপনি অনুমতি দিলে আমি নিজে একবার রিভার ড্রিম সিটিতে যেতে চাই, পর্যবেক্ষণের জন্য।

-আচ্ছা কখন যেতে চাও জানিও আমি হেলিকপ্টার এবং হোটেলের ব্যবস্থা করে দেব। স্থানীয় পুলিশকে ও জানিয়ে রাখবো। কবে যেতে চাও?

-এদিকে সব কিছু গোছাতে পারলে আজকেই যেতে চাই, নয়তো আগামীকাল।

-একটু আগে ভাগেই জানিও,আমি সব ব্যবস্থা নেবো বলে নুরুল হোসেন সাহেব উঠল।

নুরুল হোসেন সাহেব চলে যেতেই রেখা তার সহকারীকে ডাকে। রেখার সহকারী আসিফ এসে ভয়ে ভয়ে রুমে প্রবেশ করে। যদি ও ভয়ের কোনো কারণ নেই, ফোন পেয়ে সে রেখার আগেই অফিসে এসে পৌঁছেছে। কারণ ছাড়াই সে ম্যাডামকে কেন যেন ভয় পায়, তবে রেখাকে বেশ সমীহ করে। আসিফ একটু স্বস্তি বোধ করে ম্যাডাম এর ভ্রু কোঁচকানো নেই। ভ্রু কোঁচকানো থাকলে ভয়টা আরো বেড়ে যায়।

রেখা নিজের ল্যাপটপ ওপেন করতে করতে জিজ্ঞেস করে: সায়মন, রাকিব, ফুয়াদ, কাইয়ুম সাহেব সবাই কি এসেছেন?

-জি ম্যাডাম।

-এদের সবাইকে ২০ মিনিট পরে কনফারেন্স রুমে আসতে বলবে। সবাই যেন সবার বর্তমান রিপোর্ট সঙ্গে নিয়ে আসে।

-জি ম্যাডাম, বলে বেরিয়ে যায়।

পনের মিনিটের ভিতর চার জন কনফারেন্স রুমে উপস্থিত হয়। সায়মন এবং রাকিব দুজনেই খুব ব্রিলিয়ান্ট প্রোগ্রামার, ট্র্যাকিং এবং হ্যাকিং এ খুব পারদর্শী। রেখা নিজে এ দুজনের নিয়োগ দিয়েছে। দুজনেই এই মুহূর্তে হতাশ গত একমাস ধরে দুজনেই খুব একটা ঘুমায়নি। অফিসিয়াল ট্র্যাকিং সিস্টেম থেকে শুরু করে নিজেদের পদ্ধতি সব ব্যবহার করেছে খুনি চক্রের ফোন সিস্টেম ট্রাক করার। খুনি চক্র প্রত্যেকটা খুন খুব সংগোপনে সেরেছে, প্রত্যেকটা খুনের পর নিজেরাই পুলিশকে ইনফর্ম করেছে। ফোন নাম্বার গুলো ভার্চুয়াল নাম্বার, ফোনের আইপি গুলো ট্রাক করলেও কোনো লোকেশন ট্রাক করতে পারেনি। প্রত্যেক ৫ সেকেন্ড এ লোকেশন পরিবর্তন হয়েছে। এক মুহূর্তে নিউজল্যান্ড হলে,পরের মুহূর্তে ব্রাজিল। সিকিউরিটি ক্যামেরার সিকিউরিটি সিস্টেম এ কোনো খুঁত খুঁজে পায়নি।

আফতাব সাহেবের খুনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
ফুয়াদ সিকিউরিটি ক্যামেরার ভিডিও এনালাইজার, ভিডিও ফুটেজে কোনো অসংলঘ্নতা নেই। খুনের দুই ঘন্টা আগে থেকে পুলিশের ঘটনাস্থলে আসা যাওয়া পর্যন্ত সব খুব স্বাভাবিক, যেন সেখানে কোনো ঘটনাই ঘটে নাই। বাড়ির ভেতরের সিকিউরিটি ক্যামেরা গুলো ওদের আওতার বাইরে। সেগুলো সব বন্ধ থাকায় সেখান থেকে কোনো ভিডিও আলামত পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি।

কাইয়ুম সাহেব গোয়েন্দা বিভাগের লোক, তার কাছেও কোনো অসংলঘ্ন রিপোর্ট নেই।

বিশ মিনিটের মাথায় রেখা এবং তার সহকারী কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করে। দাঁড়িয়ে থেকেই জিজ্ঞেস করে-
-কি খবর আপনাদের? কোনো আশাবাদী রিপোর্ট কি আছে আপনাদের হাতে?

সবাই নীরব দেখে রেখা বলতে শুরু করলো:

-আপনাদের নীরবতা বলছে তেমন কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। যাই হোক আমাদের থেমে থাকলে তো চলবে না, আপনাদের পরের পদক্ষেপ গুলো কি হবে সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কাইয়ুম সাহেব আপনি একটু নোট লিখুন, আফতাব সাহেবের বিগত তিন মাসের কল রেকর্ড মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে নেবেন। সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবেন। এনএসআই এর সাথে যোগাযোগ করবেন তাদের কাছে কোন তথ্য থাকলে সংগ্রহ করবেন। এক্ষেত্রে আইনগত ঝামেলা থাকলে আইজি স্যারের সাথে যোগাযোগ করবেন। আর আফতাব সাহেবের ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ কয়েক ঘন্টার জন্য জব্দ করে সায়মন এবং রাকিব কে দেবেন। ডিভাইস গুলোর ফিঙ্গার প্রিন্ট গোয়েন্দা বিভাগের প্রয়োজন হতে পারে। সেসব কাজ শেষ করে ওদের কাছে দেবেন।
সায়মন এবং রাকিব তোমরা ডিভাইস গুলোর সিকিউরিটি ব্রেক করে ডিভাইসের সব তথ্য ট্রান্সফার করবে। মোবাইলে জমে থাকা এসএমএস, ইমেইল, মেসেঞ্জার, হোয়াটস্যাপ, ইমো কিংবা অন্য কোন মাধ্যম থাকলে সব। যত দ্রুত সম্ভব কাজ গুলো করবে, কেননা ডিভাইস গুলো আমরা দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারবো না। আর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ডিভাইস ব্যবহারের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করবে। কোনো মতেই যেন তোমাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট না থাকে।
কাইয়ুম সাহেব, এই ডাটা গুলো আপনার নেতৃত্বে চেক করবেন, ফুয়াদকে সঙ্গে নিয়ে তিন থেকে চার জনের একটা টিম গঠন করবেন। কোথাও কোনো হুমকি বিরোধ বা অন্য অসংলঘ্ন কিছু চোখে পড়লে শর্টলিস্ট করবেন। আমি অফিসে না থাকলেও আমাকে আপডেট জানাবেন। মিটিং এখানেই শেষ আপনারা যেতে পারেন, আসিফ বাদে।

সবাই চলে যাবার পর রেখা চেয়ারে বসল:

-আসিফ হাতে কাগজ কলম আছে?
-জি, আছে।

-শুনুন আজ আমি ঢাকার বাইরে যাবো কাউকে বলার প্রয়োজন নেই। আমার কিছু জিনিস প্রয়োজন, তুমি বিকেল তিনটার ভেতর জোগাড় করবে। ৯ এমএম পিস্তল, দুই বক্স হ্যান্ড গ্লাভস আর ছোট সাইজের একটা বাইনোকুলার। পিস্তল আমার নামে ইসু করবে।

-জি, ম্যাডাম। আমি কি আপনার সঙ্গে যাবো?

রেখা ভ্রু কুচঁকে আসিফের দিকে তাকিয়ে বললো,

-না তুমি সঙ্গে যাবে না।

রেখা দেখলো আসিফের মুখটা অন্ধকার হয়ে গেছে।

আসিফ চলে যেতে রেখা নুরুল হোসেন সাহেবকে ফোন দেয়:

-হ্যালো স্যার।
-হ্যালো, রেখা বলো।

-স্যার, আমি আজই রিভার ড্রিম সিটিতে যেতে চাই। বিকেল সাড়ে চারটা পাঁচটা নাগাদ।

-আচ্ছা, সাড়ে চারটা নাগাদ অফিসেই রেডি থেকো। আমার গাড়ি তোমাকে পিক করে নেবে।

চলবে-

অলংকরণ: আসমা সুলতানা 

রাজিব কুমার হাওলাদার, গল্পকার, বাংলাদেশ।
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Shamim Ara Chowdhury
Shamim Ara Chowdhury
2 years ago

দারুন উত্তেজনা নিয়ে এক নিশ্বাসে পড়ে নিলাম, চমৎকার লিখনী আর খুবই সাবলীল লেখা…এক কথায় অসাধারণ।। পরের টা এখুনি পড়তে হবে আমার, অপেক্ষার ধৈর্য্য নাই…