তাড়াশের গর্ব কে এম আব্দুস সালাম

  
    
বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের নব নিযুক্ত সচিব কে এম আব্দুস সালাম

প্রশান্তিকা রিপোর্ট: সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের নাম তেঁতুলিয়া। সেই গ্রামেই জন্ম কে এম আব্দুস সালামের। অত্র এলাকার মানুষ গর্ব করে বলছেন, পুরো তাড়াশ উপজেলায় কে এম আব্দুস সালাম এই প্রথম একজন পূর্ণাঙ্গ সচিব হলেন। গতকাল ১৭ মে রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে কে এম আব্দুস সালামকে সরকারের শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আগামী ২০ মে তিনি সচিব হিসেবে কর্মস্থলে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

সচিব হিসেবে পদন্নতির পরে তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিব পদে পদোন্নতির জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।” বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল দেশে প্রশাসনের এতো উচ্চ পদে আসীন হওয়াও কম চ্যালেঞ্জের নয়। অনাগত দিনে কিরূপ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন- এই প্রশ্নের জবাবে জনাব সালাম প্রশান্তিকাকে বলেন, “ অনেক চ্যালেঞ্জই রয়েছে, তবে শ্রমিকদের উন্নয়ন এবং বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবি সহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আল্লাহ সহায় হলে আমি অবশ্যই চেষ্টা করব সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের সেবা করতে।”

প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে সিডনি সফর করেন কে এম আব্দুস সালাম। ছবিটি ‘লা পেরুজে‘ তোলা হয়েছিলো।

কে এম আব্দুস সালাম সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশের তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা স্কুল শিক্ষক কে এম আব্দুস সাত্তার এবং মা গৃহিনী আয়েশা আক্তার। ৬ বোন ও ৩ ভাইয়ের সংসারে তিনি সবার বড়। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক জনাব সালাম পড়াশুনা করেছেন রাজশাহী কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। কে এম আব্দুস সালাম ১৯৮৯ সালে আ্যডমিন ক্যাডার হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। এরপর পর্যায়ক্রমে সহকারী ভূমি কমিশনার, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনও, এডিসি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম সচিব), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানী এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব), বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সোনারগাঁও হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্তির আগ পর্যন্ত এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক হিসেবে ২ বছর ৫ মাস কাজ করেন।

কে এম আব্দুস সালাম প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে বাংলাদেশ সরকারের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। সেসময় তিনি সিডনির মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যে বিমোহিত হন। সাধারণ, পরিপাটি ও মৃদু হাস্যোজ্জ্বল মানুষটি খুব কম সময়ের মধ্যেই মানুষকে মুগ্ধ করেন। প্রশান্তিকার পক্ষ থেকে আমরা তাঁর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments