
সিডনি প্রবাসী ঔপন্যাসিক আরিফুর রহমানের নতুন বই ‘দহন দিনের গান’। তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘স্বপ্নজাল’। এরপর বের হয়েছে ‘সন্ধ্যারাগ’, ‘নি:শব্দ প্রহরে’। প্রতি বছরের মতো এবারও তাঁর উপন্যাস ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় পাঠকপ্রিয় হয়েছে। বই এবং লেখক সম্পর্কে কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা সাদাত হোসাইন বলেন, “আরিফুর রহমানের অনুভব তাঁর লেখার শক্তি। প্রগাঢ় বোধ তাকে স্পর্শ করতে থাকে প্রতিমুহূর্ত। সেই বোধই তাকে অগোচরে, অবচেতনে গল্প লিখিয়ে নেয়। সেই গল্প হয়ে ওঠে মন ও মানুষের আখ্যান।”
আরিফুর রহমানের দহন দিনের গান পড়ে রিভ্যু লিখেছেন আরেক ঔপন্যাসিক ইসমত আরা প্রিয়া। পড়ুন তার কলমে।
ইসমত আরা প্রিয়া: যে শহরে উঁচু দালানের ভীড়ে ঢেকে যাচ্ছে আকাশ, সেই ব্যস্ত শহরে সময় ধরতে পারাটা সবচেয়ে কঠিন। অদ্ভুত এশহরে একদিন পথ চলতে চলতে কেউ একজন আমাকে বলেছিল, এই শহর মানুষকে গিলে ফেলে, একদিন তোমাকেও ফেলবে। আচ্ছা থাক সে গল্প, এই ভূতের শহরে যতই ব্যস্ততা থাকুক, থাকুক যতো সংকট বা সংকোচ তাই বলে তো আর বই পড়া থেমে থাকতে পারে না। এই জন্যই অফিস যাবার পথে অথবা আটকে থাকা কোনো জ্যামে বই পড়ি। গতকাল শুরু করেছিলাম ‘দহন দিনের গান’, আজ শেষ করলাম। দুই ঘন্টার পথ টা ঠিক যে কখন শেষ করলাম তার কিছুই বুঝিনি।
লেখক এই বইয়ের মাঝে এক ঘোর সৃষ্টি করে রেখেছেন যা পাঠককে বারবার কল্পনার জগতে নিয়ে যাবে, বারবার বলবে দিপার আর মিনহাজের জীবনের সেই দ্বিধাদ্বন্দের গল্প। বারবার মনে প্রশ্ন তুলবে সেই শিশুর চিৎকার।
কিন্তু আফরা আর তুহিনের জীবন লেখক এমন করে থামিয়ে কেন দিলেন তা নিয়ে প্রশ্নটা রয়েই গেলো।
আফরার সেই দহনে ঠিক কতবার যে কেঁদেছি তার ঠিক নেই। এ শহরে আফরার মতোন এমন অনেক আফরাই এই দহনে পোড়ে। যার খবর কেউ রাখে না কেউ। তাই এই দহনের গান জানতে হলে পড়তে হবে “দহন দিনের গান”। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
