প্রশান্তিকা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আটক ধর্ষক মজনুকে গতকাল আদালত ৭দিনের রিমান্ড দিয়েছেন। ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার মজনু আদালতে হাজির করে ১০ দিনের আবেদন করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন। আদালতে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়ায়নি।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ তাঁর নাম প্রকাশ করেনি। এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় এটাই প্রথম যে, ধর্ষণের শিকার নারীর নাম জানা যায়নি বা মিডিয়া প্রকাশ করেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা মেয়েটিকে বিশেষ সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে গনমাধ্যম জানিয়েছে। এর আগে সিরিয়াল রেপিস্ট এবং মাদকাশক্ত ধর্ষক মজনুকে ছবি দেখে মেয়েটি শনাক্ত করে।
দৈনিক ইত্তেফাক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি রোববার ওই শিক্ষার্থী ধর্ষিত হওয়ার পর ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে অপরাধীকে ধরতে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলার তদন্তের দায়িত্বে যায় ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে পাওয়া বর্ণনার ভিত্তিতে তার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোর পৌনে ৫টায় শেওড়া রেল ক্রসিং এলাকা থেকে মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ধর্ষণের পর ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি মজনু নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেছিল অরুণা নামে একজনের কাছে। অরুণার কাছ থেকে তা কিনেছিলেন রিকশাচালক খায়রুল।