নামিদ ফারহান: মুখ্য ব্যক্তিটির পরিচয় হচ্ছে জনাব আরিফুর রহমান। তার থেকেও বড় পরিচয় হচ্ছে লেখক, সাহিত্যিক, কবিতা প্রেমী আরিফুর রহমান। আরেকটু ভাবাবেগের উদয় ঘটিলে হবে প্রেমিক পুরুষ আরিফুর রহমান। আবার আমাদের প্রশান্তিকার বার্তা সম্পাদক। কিন্তু আমার কাছে ভালো লাগে পরিচয়টা শুধু আমাদের পাশাভাই। হাল্কা পাতলা গড়ণ, প্রাণোজ্জ্বল। কিছু কইলেই হুদা খ্যাক খ্যাক কইরা হাসে। যদি জিজ্ঞাসা করি হাসেন ক্যান? কয় ভাল্লাগে খুশিতে খ্যাক খ্যাক খ্যাক। বাকীডা আর শেষ করতে পারেনা কোনদিন।
উপন্যাসিক আরিফুর রহমান। ছবি: আ্যডোয়ার্ড অধিকারী
দ্বিতীয় খন্ড: পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। উনার দেবতাতুল্য বড় ভাইয়ের ভাষায়, পাশা নাকি তার আইডেন্টিটি খুঁজে পেয়েছে লেখালেখির মাঝে, গল্পকে কাগজ বন্দীর মাঝে, সাহিত্য চর্চার মাঝে। কথা কিন্তু মিথ্যা না। বিগত তিন বছর ধরে, প্রতি মহান একুশে বইমেলায় তিনি বই আকারে জন্ম দিচ্ছেন জীবন, বুনে যাচ্ছেন “স্বপ্নজাল”(প্রকাশকাল ২০১৭), যা তার প্রথম উপন্যাসের নাম। সেই বুননে থাকে কবিতা, যুদ্ধ, থাকে গল্প, থাকে সুর। সেই সুরের ধারাবাহিকতায়ই বুঝি তার পরবর্তী উপন্যাসের নাম “সন্ধ্যারাগ”(প্রকাশকাল ২০১৮)। আর এবছর বেরুলো “নি:শব্দ প্রহর”। জিজ্ঞাসা করা হয় নাই পাশা ভাইকে ঐ স্পেসিফিক প্রহরটা দিবসের কোন সময়? আন্ধা কানুনের মতো চিন্তা করলে মনে হবে প্রহরটা হবে হয়তো সন্ধ্যা গড়িয়ে নিশি রাতের ক্ষণ, হতেই পারে। কিন্তু হাজারো কোলাহলের মাঝে, বাংলা মোটরের মতো ব্যস্ততম রাস্তায় একজন স্বপ্নভঙ্গ কিংবা মচকে চমকে যাওয়া কোন মানুষ যদি চোখ বুজে দাঁড়ায়, ভাবুন নি:শব্দ প্রহরটা ঘড়ির কোন কাটায়। যাইগ্গা, বইটা হাতে পেলেই হয়তো লেখকের উত্তর পাওয়া যাবে।
ঢাকা একুশে বইমেলায় অন্যধারা প্রকাশনীতে পাঠকের হাতে নি:শব্দ প্রহরে
তৃতীয় খন্ড: লাকেম্বার গ্রামীন রেষ্টুরেন্ট চত্বর। এক সন্ধ্যায় পাশা ভাই আইসা বললো, ভাই উপন্যাসের নায়কের নামটা লইয়া বিড়ম্বনায় আছি। তয় সকল জল্পনা শেষ কইরা নায়কের নাম দিছি নামিদ। আপত্তি আছে? মনে মনে ভাবলাম ছোট বেলায় ডিস্কো ড্যান্সার দেইখা মিঠুনের মতো নায়ক হওয়ার সাধ জাগছিলো, ঐডা যহন হইতে পারিনাই, আপ্নের গল্পের নায়কে নিজের নাম বসাইতে দোষ কি? বরং চার্মই লাগবো, দেন বসাইয়া। এরপর থিকা প্রায় ভোরবেলা আমার কাজ ফিরতি পথে পাশা ভাইয়ের ফোন, কোন আলাপচারিতা না, শুধু লেখক বলতো উপন্যাসের বিভিন্ন মোড় । নামিদ এইডা করছে, নামিদ প্রেসে কাজ নিছে, নামিদরে থানায় ডাকা হইছে, এই এই কারণ, এই ঘটনা। সব তো এখন ভাইংগা বলা যাবেনা। এবার একুশের বইমেলার প্রথম প্রহর থেকে নি:শব্দ প্রহর বিচরণ করছে মেলা প্রাঙ্গনে অন্যধারা প্রকাশনীর ১৯৭ এবং ১৯৮ নাম্বার স্টলে এবং পাশাপাশি বইটি পাওয়া যাবে আসছে ১৭ই ফেব্রুয়ারী সিডনির এ্যাশফিল্ডে একুশে একাডেমির বইমেলায় প্রশাম্তিকা বইঘরে।
পূ্র্বে প্রকাশিত, লেখকের আরও দুটি উপন্যাস।
কষ্ট করে মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে যদি বইটি সংগ্রহে করার নাও সময় হয়, অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন রকমারি ডট কম এ। পুস্তক চলে যাবে আপনার টেবিলে। বেশী বেশী বাংলার বই পড়ুন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক বাংলা, বাংলাদেশ এবং বাংলা সাহিত্য।
নি:শব্দ প্রহরের প্রচ্ছদ ও প্রচারপত্র।