পণ্ডিত বারীণ মজুমদারের জন্মবার্ষিকীতে বাপ্পা ও নিরুপমার বিশেষ নিবেদন

  
    

প্রশান্তিকা ডেস্ক : সঙ্গীত সাধক, রাগসঙ্গীত বিশারদ ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত বারীণ মজুমদারের ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর পুত্র বাপ্পা মজুমদার ও কন্যাতুল্য শিষ্য নিরুপমা রহমান নিবেদন করলেন নজরুলের একটি গান।
নিরুপমা রহমান মেলবোর্নে বসে গাইছেন আর বাপ্পা মজুমদার ঢাকায় তাঁর পিয়ানোতে সুর তুলেছেন। সুর ও কন্ঠ যেনো একাকার। গানটি ছিলো নজরুলের কথা ও সুরে বহুল শ্রুত বিরহের একটি গান- পেয়ে কেনো নাহি পাই, হৃদয়ে মম, হে চির সুদূর প্রিয়তম। সংগীত আয়োজনে ছিলেন বাপ্পা মজুমদার। গানটির গাওয়া এতো মুগ্ধকর ছিলো যে দীর্ঘ ৮ মিনিটেও যেনো মনে হয়েছে আরেকটু যদি থাকতো ! গানটি সম্প্রতি ইউটিউবে এবং ফেসবুকে মুক্তি দেবার মাত্র দু’দিনে অসংখ্য দর্শক শ্রোতা শুনেছেন এবং দেখেছেন।

পণ্ডিত বারীণ মজুমদার

নিরুপমা রহমান বলেন, ‘ পণ্ডিত বারীণ মজুমদার – বাংলাদেশের সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। আজীবন সুরের যাদুতে ফুল ফোটাবেন বলেই হয়তো ফাল্গুন মাসে জন্মেছিলেন। ফাল্গুনের দুই তারিখ তাঁর জন্মদিনে তাই তাঁর সন্তান বাপ্পা মজুমদার আর আমি নিবেদন করলাম গানের এই তর্পণ।’ গানটি শুনে অসংখ্য দর্শক মন্তব্য করেছেন। সংগীত গুরু আজাদ রহমানের উত্তরসূরি শিল্পী রোমানা আজাদ বলেন, ‘ Absolutely amazing.’

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কবি ও আবৃত্তি শিল্পী গোপন সাহা বলেন, ‘ আমাদের অহংকার সংগীতগুরু বারীন মজুমদারের একজন সুপত্র শিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সাথে আরেক সন্তানতুল্য শিল্পী নীরা রহমানের এই নিবেদন সত্যি সন্তুষ্টি আমাদের, মুগ্ধতা।’ যুক্তরাজ্য প্রবাসী জনপ্রিয় শিল্পী গৌরি চৌধুরী বলেন, ‘ ভীষণ ভালো লাগলো।’ মেলবোর্ন প্রবাসী লেখক ফারিনা মাহমুদ বলেন, ‘ কি অপূর্ব!! ভীষণ ভালো লাগলো।’ অভিজিৎ সরকার বলেন, নীরার অসাধারন গায়কি আর বাপ্পা দা’র অনন্যসাধারণ সংগীতায়োজন নিয়ে গেল অন্য লোকে… নিরন্তর ভালবাসা আমার দু’টি প্রিয় মানুষের জন্য।’ কবি জিয়াউন নাহার বলেন, ‘ আপু, আপনার গানের সুর সবসময়ই মুগ্ধতা জাগায়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যা ভালো লাগে তা হলো আপনার নিবেদন।’
মেলবোর্ন থেকে মার্জিয়া ইয়াসমিন সোহানী বলেন, ‘ অসম্ভব ভালো লাগলো গানটা।’ শিল্পীর ছোট বোন সাংবাদিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব নবনীতা চৌধুরী বলেন, ‘ আহা! কী অপূর্ব গাইলে!’

https://youtu.be/l6cy44sol1s

পণ্ডিত বারীণ মজুমদার আগ্রা ও রঙ্গিলা ঘরানার যোগ্য উত্তরসাধক ছিলেন। সঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ১৯৮৩ সালে একুশে পদক এবং ২০০২ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments