পরীমনি নামের কাউকে দেখিনি: মাসরুর আরেফিন

  
    

প্রশান্তিকা ডেস্ক: সম্প্রতি ইত্তেফাক এবং অন্য দু’একটি পত্রিকায় গ্রেফতারকৃত অভিনেত্রী পরীমণিকে সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়ি উপহারকারী হিসেবে কথাসাহিত্যিক ও ব্যাংকার মাসরুর আরেফিনের নাম উঠে এসেছে। সংবাদমাধ্যমে তার নাম ওঠে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাসরুরকে নিয়ে সমালোচনার ঝর উঠেছে। এবার মুখ খুললেন মাসরুর আরেফিন।

এই অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে মাসরুর আরেফিন তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, “ আমি আমার বাপের জীবনে, এই মর্ত্যের পৃথিবীতে, এই ধরাধামে পরীমনি নামের কাউকে দেখিনি। অতএব তার নম্বর আমার কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এমনকী ‘বোট ক্লাব‘ ঘটনার আগে পর্যন্ত পরীমনি নামটাও শুনিনি। আমার মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছিল যে, কে এই পরীমনি?”

পরীমণি ও তাঁর সাড়ে তিন কোটি টাকার মাসেরাতি গাড়ি।

যে মুহূর্তে এই অভিযোগ উঠেছে সেই মুহূর্তে মাসরুর যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তবে তিনি ঢাকায় ফেরার পথে এই লেখাটি লিখেন। এটিকে তিনি ইত্তেফাকের প্রবলতম মিথ্যাচারের সামিল বলে বলেছেন। মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘ইত্তেফাক লিখে দিল: “একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিনের সঙ্গে পরীমনির অডিও রেকর্ডে একটি গাড়ি উপহার দেওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত রুবেলের সঙ্গে পরীমনির গভীর সখ্যের বিষয়টি কথোপকথনে উঠে এসেছে।”

তিনি বলেন, “আমার বলার কোনো ভাষা নেই, কোনোকিছু বলারই কোনো ভাষা নেই। আমার কাজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যাংকিং আর তারপর সাহিত্য নিয়ে পড়ে থাকা। প্রতিদিন। একই। ঢাকার একটা মানুষও (হাই সোসাইটির একজনও) বলতে পারবেন না তারা কেউ আমাকে কোনোদিন কোনো ক্লাব বা পার্টিতে দেখেছেন (এখানে আমি ক্লাব বা পার্টিতে যাওয়ার নিন্দা করছি না, সেটা যারা যাবার তারা যেতেই পারেন; আমি শুধু বোঝাচ্ছি যে মানুষ হিসাবে আমার টাইপটা কী?)। এতটাই ঘর ও অফিস / অফিস ও ঘরমুখী এক মানুষ আমি। অতএব বলছি, তাকে গাড়ি দেওয়ার কথাটা আমার কানে লাগছে মঙ্গল গ্রহের ভাষায় বলা কোনো কথার মতো।”

তিনি আরও বলেন, “ কোনো অভিযোগের মধ্যে মিনিমাম মিনিমাম মিনিমাম এক সুতো সত্য থাকতে হয়। কিন্তু এ এক ভয়ঙ্কর বিষয় যে, আমি যাকে চিনি না, জীবনে যার বা যাদের সঙ্গে হ্যালো বলা দূরে থাক, যাদের নামটা পর্যন্ত আমি প্রথম জানলাম এই কদিন আগে (পিয়াসা নামটা মাত্র দুদিন আগে), সেই নায়িকা বা মডেলকে আমি গাড়ি দিয়ে ফেললাম?”

তিনি দাবী করে বলেন, “ কোথায় যোগাযোগ হল আমাদের? ফোন কল? তার নাম্বার কী? কল রেকর্ড আনা হোক। তাহলে ঘটনা কী? আমি সত্যি জানি না, ঘটনা কী। বুঝি যে, আমাকে নিয়ে (অর্থাৎ এক অর্থে সিটি ব্যাংক নিয়ে) একটা সস্তা ষড়যন্ত্র চলছে।”

উল্লেখ্য, মাসরুর আরেফিন সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি দেশের একজন স্বনামধন্য লেখক, অনুবাদক এবং সমালোচক। আগস্ট আবছায়া, আন্ডারগ্রাউন্ড, আলথুসার, ইলিয়াড, ফ্রানৎস কাফকা তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্হ।

বিজ্ঞাপন।
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments