আজ প্রশান্তিকায় প্রকাশিত ফারিনা মাহমুদের লেখায় আমার কিছু বলার আছে। লেখাটি ছিলো অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের শাড়ি বিষয়ক নিবন্ধটি নিয়ে।
আমার মনে হয়েছে ফারিনার “শাড়ি নিয়ে লিখলেন কিন্তু লুঙ্গির গিঁটটা টাইট করলেন না” শিরোনামের লেখাটির প্ল্যাটফর্ম ঠিক নাই – কেন? এধরনের প্রবন্ধ বা প্রবন্ধ ঘরানার সাহিত্য সারা বিশ্বে রাইট এন্ড লেফট প্রত্যেকটা প্লাটফর্মেই প্রচলিত। এটা চটি সাহিত্য নয় যে বালিশের তলে বা মোবাইলের প্রাইভেট প্লাটফর্মে পড়তে হবে।
ওনার যেখানে দরকার ছিলো লেখাটার কনটেন্ট ঠিক কী কারণে গ্রহণযোগ্য নয় – এই বিষয়ে আলোকপাত করা, সেখানে উনি সে ব্যাপারে কোনো আলোচনাই করেননি।
বরং, আউট অফ কনটেক্সট আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের লুঙ্গির গিঁট নিয়ে যে কথা বললেন, ঠিক একইভাবে ওনার ব্লাউজের বোতাম বা পেটিকোটের গিঁট নিয়ে আলাপ করলে কি বিষয়টা সভ্যতার সীমার মধ্যে থাকবে? যদি না থাকে, তাহলে ওনার লেখাটা কীভাবে সভ্য হয়? জেনারালাইজেশন টার্গেটেড টু কমন অডিয়েন্স আর ব্যক্তিগত আক্রমণের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে নিঃসন্দেহে ওনার কোনোই ধারণা নাই।

লেখার নামকরণ ঠিক না – তথাস্তু। তাহলে আপনার লেখার শিরোনাম থেকে আশা করা যায় যে, কেন আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের লুঙ্গির গিঁট টাইট মনে হলোনা আপনার, সেই সংক্রান্ত একটা আভাস পাওয়া যাবে। সেরকম কোনোধরনের আলোচনাই লেখায় আসেনি, আউট অফ দ্য ব্লু আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে।
লেখার সবচেয়ে নাজুক দিক একটা বাক্যাংশ, এবং এই বাক্যাংশ পুরো লেখার সর্বনাশ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। সেটা হলোঃ “একটি শাড়ি একজন নারীর খুঁত ঢেকে তাকে আকর্ষনীয় করে তুলতে পারে অনায়াসে।”
নারীর শারীরিক কোনো বৈশিষ্ট্যকে যদি কেউ খুঁত বলে মনে করেন, তাহলে তার রুচিবোধকে উন্নত সমাজে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। লেখক যদি দয়া করে পরিস্কার করতেন, শারীরিক “খুঁত” বলতে তিনি কী বোঝেন? শরীরের কোন বৈশিষ্ট্যটা খুঁত?”
ধন্যবাদ।
শুভজিৎ ভৌমিক, সিডনি।