কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলার পর পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন চরমে।
দুই সপ্তাহ আগে ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় দেশটির সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪০ জনের বেশি জওয়ান নিহত হওয়ার থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। হামলার পর পরই দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মাদ। সংগঠনটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হলেও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল নয়াদিল্লি। ভিত্তিহীন অভিযোগে হামলা হলে পাল্টা হামলার হুমকিও দেয় পাকিস্তান। মঙ্গলবার ভোররাতে ভারতের বিমান বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানের বালাকোটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করলে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। ইসলামাবাদ এই আক্রমণের জবাব দেওয়ার হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অন্তত ৫০টি স্থানে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দিকে মর্টার শেল ছোড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা। পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ প্রতিবেশী দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর শুধু কাশ্মির ইস্যুতেই দুটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে পাকিস্তান ও ভারত।
ভারতে সাধারণ নির্বাচনের আগে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সাধারণ মানুষের স্বার্থে রক্তপাত এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এক টুইটে তিনি বলেছেন, “মনে রাখতে হবে, সহিংসতা কেবল সহিংসতাই ডেকে আনে।” তেমনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ভাইয়ের মেয়ে লেখক ফাতিমা ভুট্টো টুইট করেছেন শান্তির আশায়। তিনি লিখেছেন, “মানুষ যুদ্ধের জন্য শোর তুলবে, এর চেয়ে অসুন্দর আর কিছু নেই। আমি ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি।” পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে আরেকটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ হলে কে বিজয়ী হবে সেটা বলা মুশকিল। তবে যুদ্ধের জন্য কোন দেশের সক্ষমতা কত তা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দুটি দেশের হাতেই রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, সামরিক দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই রয়েছে রাশিয়া, চীন ও ভারত।