প্রদীপ আচার্য’র তিনটি কবিতা
উন্মাদ
কোল ঘেসে একটু দাঁড়ালে
কি এমন ক্ষতি হতো তোমার,
না হয় বেমানান হতাম
লোকে হয়তো ভ্রু কুচকে বলতো
তাই হয় নাকি!
তবুও তো একবার ভেবে নিতাম
যত সব অনিয়ম ভেঙেছি,
পেয়েছি তোমার যৌবনের স্বাদ।
অনিচ্ছা সত্তেও না হয়
হাতছানি দিতে একবার
কি এমন দোষ হতো।
না হয় মিথ্যাই ভেবে নিত সবাই।
তবুওতো ভেবে নিতাম
এই বুঝি সব পেলাম।
কৃপনতার করজোড়ে
শুধু দূরে ঠেলেছো আমায়
কি এমন ক্ষতি হতো
এক চিলতে স্বপ্নে ছুঁয়ে দিতে আমায়।
আমি না হয়
তোমাতেই বেঁচে থাকবো সুখে
আত্মহারা এক উন্মাদ ।
একফালি সুখ
আমার কাছে তুমি যেন
শীতের কুয়াশায় এক চিলতে
রোদ ওঠা,
নতুন ধানের মাতাল গন্ধে
নবান্ন উৎসবে চাষীদের সব মেতে ওঠা ।
আমার কাছে তুমি যেন
পহেলা বৈশােখের আনন্দ মিছিল
নতুন প্রত্যয়, একফালি সুখ ।
আমার কাছে তুমি যেন
অলস দুপুরে নব দম্পতির
দুষ্টুমিতে ভরে ওঠা,
নতুন স্বপ্নের জাল বুনতে
মুখোমুখি বসে
নিরন্তর কোন গল্প বলা।
আমার কাছে তুমি যেন
যতসব না বলা কথা
যেখানে ফুরিয়ে যায় সবকিছু
ঠিক সেখান থেকে
নতুন করে সব শুরু করা।
স্কেচ: আসমা সুলতানা মিতা
হাতছানি
একবার হাতছানি দিয়েই দেখো
নিমিষেই পৌঁছে যাবো ।
অলসতা করেই জীবনের
এ পর্যন্ত পাড়ি দিলাম ।
ডাঙ্গা বলতে
সেই তুমি সেও বুঝেছি
তোমাকে হারিয়ে।
একবার হাতছানি দিয়েই দেখো
নিমিষেই বুঝে নেবো
তোমার না বলা কথা
এতকাল ভাষার দোহাই তুলে
তোমাকে করেছি উপেক্ষীত ।
শুধু একবার
হাতছানি দিয়েই দেখো ,
ফিরিয়ে দেবো
তোমার না দেখা পৃথিবী,
আমার কঙ্কালসার স্বপ্ন ,
এ পর্যন্ত বেড়ে ওঠা সব ,সবকিছু।
সিডনি
১৯/০৭/২০১৯।