প্রশান্তিকা রিপোর্ট: অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্ন বা যেকোন শহরে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ মিতা চৌধুরী। মেলবোর্নের যেকোন সাংস্কৃতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সংগঠকের ভূমিকায় মিতা চৌধুরীকে দেখা যায় সর্বাগ্রে। পড়াশুনা ও পেশাগত জীবনে তিনি চিত্রশিল্পী হলেও লেখালেখি ও উপাস্থাপনায় তাঁর জুড়ি নেই। আজ ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে মিতা চৌধুরী প্রশান্তিকার মেলবোর্ন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তিনি প্রশান্তিকায় লিখছেন প্রায় ৬ মাস হলো। করোনা মহামারী আসার পরে মেলবোর্ন তথা ভিক্টোরিয়া রাজ্যের অসংখ্য প্রতিবেদন লিখেছেন তিনি। সম্প্রতি ভিক্টোরিয়া রাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশগ্রহণ করছেন। নির্বাচনটিকে ঘিরে প্রার্থীদের বক্তব্য, কর্মপরিকল্পনা এবং ভোটারদের মতবাদ জানিয়ে তিনি প্রশান্তিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন লিখছেন।
সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত:
পুরো নাম হাসিনা চৌধুরী মিতা, শৈশব ও কৈশোর কেটেছে গাজীপুরে। এসএসসি ও এইচএসসি গাজীপুর থেকেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে অংকন ও চিত্রায়ন বিভাগে সন্মান শেষ করে ২০০৫ সালে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে। মেলবোর্ন বেশকিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত এবং একজন সংগঠক। বর্তমানে পেইন্টিংয়ের ওপর পোস্ট গ্রাজুয়েশন করছেন আরএমআইটি ইউনিভার্সিটিতে। প্রিয় শখ আঁকাআঁকি, রান্না, ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।
প্রশান্তিকায় যোগদান প্রসঙ্গে মিতা চৌধুরী বলেন, “আমি অনেকদিন ধরেই প্রশান্তিকা পড়ে আসছি। দেশে বিদেশের নামকরা লেখকেরা এখানে লিখছেন। তথ্য প্রকাশেও স্বচ্ছ এবং দিনশেষে কাগজটি প্রগতির কথাই বলে। এখন নিজেকে প্রশান্তিকার একজন সদস্য ভাবতে খুব ভালো লাগছে।”
আমরাও প্রশান্তিকার টিমে মিতা চৌধুরীর মতো গুণী একজনকে পেয়ে আনন্দিত। আমাদের প্রত্যাশা মেলবোর্ন তথা ভিক্টোরিয়া রাজ্যে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তিনি তুলে ধরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।