প্রশান্তিকা ডেস্ক: বাংলাদেশী হিসেবে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের গোলকিপারস্ গ্লোবাল গোলস্ চেঞ্জমেকার পুরস্কার পেয়েছে ফাইরুজ ফায়জা বিথার। ফাইরুজ মনের স্কুল নামে একটি অনলাইন প্লাটফর্মের সহ প্রতিষ্ঠাতা। গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর এ বছরের জন্য পুরস্কার প্রাপ্ত চারজনের একজন হলেন বাংলাদেশী মেয়ে ফাইরুজ। তাঁর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের খুলনা শহরে । বাবা ছিলেন খুলনা চেম্বারস অফ কমার্স এর ডাইরেক্টর এবং জনপ্রিয় সমাজ সেবক শহিদ ইকবাল বিথার এবং মা অধ্যাপিকা এবং সমাজসেবক রুনু রেজা। ফাইরুজ বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ফাইনাল ইয়ারে পড়ছেন।

ফাইরুজ আজ থেকে ১০ বছর আগে ১৫ বছর বয়সে তার বাবাকে হারান। তিনি সিডনি প্রবাসি স্বনামধন্য ডেন্টিস্ট চিকিৎসক ডা. নাহিদ সায়মার একমাত্র ভাতিজি। তাঁর ইচ্ছেয় ফাইরুজ সিডনির ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটিতে মনোবিজ্ঞানে পড়তে এসেছিলেন। পরবর্তীতে মায়ের একাকীত্ব্রের কারণে বাংলাদেশে চলে যান। ডা. নাহিদ সায়মা প্রশান্তিকাকে জানান,
“ ফাইরুজ ২০১৮ সাল থেকে ব্র্যাক এর আমরা নতুন নেটওয়ার্ক এর সহায়তায় মনের স্কুল নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম শুরু করেন। এই প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে তিনি গত কয়েক বছর যাবৎ শত শত বাংলাদেশীকে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির এবং চিকিৎস্যার জন্য সহযোগিতা করে আসছেন।” ডা. সায়মা নিজেও অনুপ্রানিত হয়ে ‘অজ বাংলা ডেন্টাল কেয়ার’ নামে একটি চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন এবং প্রতি বছর হাজার হাজার রোগীকে বিনে পয়সায় সেবা দিয়ে আসছেন।

বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাসটেইনবল উন্নয়নে ব্যক্তি বা স্বাতন্ত্র নেতৃত্বের ওপর এই পুরস্কারটি দেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সুস্বাস্থ্য বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় ফাইরুজের নেতৃত্বের অবদানেই তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। ফাউন্ডেশনের সিইও মার্ক সুজম্যান বলেন, “ এ বছরের পুরস্কারজয়ীরা একটি সমাজের বৈষম্য দূর করে সমতা সৃষ্টি করে উন্নয়নশীল জাতি, দেশ বা বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।” পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যান্য তিনজনের মধ্যে আরেকজন হলেন সাবেক জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল Phumzile Mlambo-Ngcuka।