ফিরে দেখা ২১শে আগস্ট – এক রাষ্ট্রদ্রোহী চক্রান্তের রূপরেখা
মোল্লা মো: রাশিদুল হক
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তৎকালীন সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তান-আমেরিকা পন্থী সেনাদের হাতে যেমন করে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তেমনি করে সেই জেনারেল জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক রহমানের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তান পন্থি জঙ্গিদের হাতে এক ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে সংগঠিত হয় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা। রচিত হয় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে খুন করার নীল নকশা। তৎকালীন সরকারের রাষ্ট্রীয় মদদে বিএনপি-জামাতের অনেক নেতার সরাসরি ইন্ধনে জঙ্গিদের দিয়ে ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারার চেষ্টা করা হয় যাতে বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া পরিবার (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) কে খুন করা সহ তৎকালীন বিরোধীদলকে নেতৃত্বশূন্য করে ফেলা যায়। বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের খুনের মাধ্যমে ৭১ এর পরাজিত শক্তি আরেকবার গর্জে উঠতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল দেশটাকে পাকিস্তানের একটা কলোনিতে পরিনত করতে।
জঙ্গিরা তখন এমনিতেই সারাদেশে রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে বেড়াচ্ছিল, তাদের দমন করার পরিবর্তে উল্টো রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে, জঙ্গিদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে, দেশকে একটা অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছিল তৎকালীন বিএনপি-জামাত সরকার। বার বার আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করার উনাদের এই প্রবণতা আওয়ামী লীগের মধ্যে কখনোই দেখা যায়নি। তাদের পরিকল্পনা সফল হলে এ দেশ বিরোধীদল বিহীন এক স্বেচ্ছাচারী স্বৈরশাসকের হাতের পুতুলে পর্যবসিত হতো। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ৩ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া গনতন্ত্র বিদায় নিত বাংলাদেশ থেকে।
বাংলাদেশ (৮%) আজ পৃথিবীতে সর্বোচ্চ জিডিপি অর্জনকারী ১০ দেশের মধ্যে একটি, দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে প্রথম। বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ (প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার) এখন বাংলাদেশে। অথচ যেই পাকিস্তানের কলোনি বানানোর চেস্টা করা হয়েছিল তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থান এখন ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। এমনকি জিডিপির ক্ষেত্রে দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ৬ষ্ঠ (৩.৯%) ও তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে। এমনকি পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীরা পর্যন্ত পাবলিক মিডিয়াতে এসে বলে যে তারা এখন বাংলাদেশ হতে চায়। তারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন যেন আগামী দশ বছরে তাদের দেশ বাংলাদেশ হতে পারে। সেই পাকিস্তানের চরেরা ২০০৪ সালে দেশটাকে ২৯ বছর পিছিয়ে ৭৫ এ নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধী ৭১ এর পরাজিত শক্তি বার বার চেয়েছে এদেশ যেন পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকে। তারা কখনোই এদেশকে স্বাবলম্বী হতে দিতে চায়নি। তারা দুর্নীতির চাদর গায়ে পেচিয়ে ধর্মের নামে বক্তৃতা দিয়ে দেশটাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। তাদের পথের একমাত্র বাঁধা ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেয়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
ভাগ্যের পরিহাসে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমাবেশসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিদের বোমা হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের করা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের ২১ আগস্টের সমাবেশে সংগঠিত হয় আরেক ভয়াবহ বোমা হামলা। দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সচিবালয়ের কয়েক মিনিটের দূরত্বে পাকিস্তান থেকে আসা, যুদ্ধে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড এক রাজনৈতিক সমাবেশে ব্যবহৃত হয়, যেটা বাংলাদেশ এর আগে কখনো দেখেনি। শুধু তাই নয়, রক্ষা করা তো দূরে থাক গ্রেনেড হামলার পর হামলায় আহতদের সাহায্য করতে যাওয়া নেতাকর্মী ও সাধারন জনগনকে লাঠি চার্জসহ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ (বিবিসেকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তা জানান জননেত্রী শেখ হাসিনা)।
কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? সেদিন কি মনে করে যেন শেখ হাসিনা তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে সমাবেশে নিয়ে আসেননি (এক প্রকার জোর করে ঘরে রেখে এসেছিলেন যার কথা উনি অকাতরে বলেছেন “হাসিনাঃ এ ডটার’স টেল” ডকু-ড্রামাতে)। আর গ্রেনেড হামলার কয়েকটি গ্রেনেড অবিস্ফোরিত থাকায়, নেতাকর্মীদের তৈরী মানবঢাল ও বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকায় এযাত্রা বেঁচে যান জননেত্রী শেখ হাসিনা। তবে সবাইকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমান, নেত্রীর দেহরক্ষী ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদসহ অনেক নেতা কর্মী ঐদিন ইন্তেকাল করেন।
অন্যান্য আরো অনেক হামলার মতো শেখ হাসিনাকে নিজেদের জীবন বাজী রেখে মানবঢাল তৈরী করে রক্ষা করেছেন আওয়ামী লীগের অকুতোভয় নেতাকর্মীরা যাদের অন্যতম ছিলেন ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ (পরবর্তীতে আঘাতজনিত কারনে ২০০৬ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন), প্রাক্তন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম, নেত্রীর দেহরক্ষী ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ (ঐ দিনই উনি শহীদ হন), শেখ সেলিম, তোফায়েল আহমেদ, প্রমুখ।
এই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনার ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ বুধবার। সেদিন প্রায় ২৪ জন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী নিহত হন ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ প্রায় তিন শতাধিক হন আহত। ২১শে আগস্ট ২০০৪ গ্রেনেড হামলায় নিহত হনঃ (১) আইভি রহমান, ২) ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান, (৩) মোশতাক আহমেদ সেন্টু, (৪) হাসিনা মমতাজ রিনা, (৫) রেজিনা বেগম, (৬) রফিকুল ইসলাম (সবার প্রিয় আদা চাচা), (৭) রতন শিকদার, (৮) মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, (৯) লিটন মুনশি, (১০) আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, (১১) বেলাল হোসেন, (১২) আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, (১৩) আতিক সরকার, (১৪) মামুন মৃধা, (১৫) নাসির উদ্দিন সরদার, (১৬) আবুল কাসেম, (১৭) আবুল কালাম আজাদ, (১৮) আবদুর রহিম, (১৯) আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, (২০) জাহেদ আলী, (২১) সুফিয়া বেগম, (২২) মোমেন আলী, (২৩) এম শামসুদ্দিন, ও (২৪) ইসাহাক মিয়া।
মারাত্মক আহতদের মধ্যে ছিলেন শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, এডভোকেট সাহারা খাতুন, প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা পারভীন, এডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দিপ্তী, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন, মামুন মল্লিক প্রমুখ। এখনো অনেকেই তাদের শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন সেদিনে গ্রেনেডের স্প্লীন্টার। বেঁচে থাকলেও তারা অসাধারন কষ্টে জীবন যাপন করছেন। প্রথমেই আমি এই বর্বরোচিত হামলায় নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করি ও তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। আল্লাহ উনাদের জান্নাতবাসী করুন। আর যারা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে তাদের সুস্থতার জন্যে দোয়া করি।
এই গ্রেনেড হামলার মেকি ও লোক দেখানো তদন্ত শুরু করে তৎকালীন বিএনপি সরকার। যাদের মদদে এই হামলা হয় তাদের হাতে বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কেঁদেছে পরবর্তী ৩ বছর। তারা প্রথমে ২০০৪ সালের ২২শে আগস্ট মামলা দায়ের করে। বিচার নিয়ে বিভিন্ন প্রহসন চালাতে থাকে তৎকালীন বিএনপি সরকার। তারা প্রথমে ভারতকে এই হামলায় জড়ানোর চেষ্টা করে। তা কাজ না করায় ২০০৫ সালে জজ মিয়া বিতর্কে জড়ায় মামলাটি। নিরপরাধ জজ মিয়াকে দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ানো হয়। কিন্তু আল্লাহর লিলা বোঝা বড় দায়।
২০০৭ সালে ১১ই জানুয়ারী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আসল তদন্ত শুরু হয় । সেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল-জিহাদ-আল-ইসলাম নেতা মুফতি আবদুল হান্নান এবং তৎকালীন বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর নাম আসে। ২০০৭ সালের তদন্তের পর ২০০৮ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আরও তদন্ত সাপেক্ষে ২০১১ সালে সম্পুরক অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার শুনানি শুরু হয়। ২০১২ সালে শুরু হয় ফের সাক্ষ্যগ্রহন। ২০১৭ সালে যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। সর্বমোট ৫২ জনকে আসামী করে চলতে থাকে এই মামলা। অন্যান্য মামলায় মৃত্যুজনিত কারনে ৩ জনকে অব্যহতি দেয়া হয় (আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুফতি আব্দুল হান্নান মুন্সী ও শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল)। বাকি ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চলে এই মামলা (এদের মধ্যে বিস্ফোরক মামলায় আসামী ছিলেন ৩৮ জন), যার মধ্যে ৪১ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ২৩ জন ছিলেন কারাগারে, ৮ জন জামিনে ও ১৮ জন পলাতক। রাস্ট্রপক্ষে সাক্ষী দেন ২২৫ জন ও আসামী পক্ষে সাক্ষী দেন ২০ জন। ২০১৮ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর এই মামলার বিচারকাজ বিচারিক আদালতে শেষ হয়। অবশেষে ১০ই অক্টোবর ২০১৮ সালে, দীর্ঘ ১৮ বছর পর দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন সাহেবের এক ঐতিহাসিক রায়ে ১৯ জনের ফাঁসী ও ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়ার মাধ্যমে খুনীদের বিচার হয়।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেনঃ (১) সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, (২) উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, (৩) ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, (৪) এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম, (৫) মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, (৬) মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট, (৭) আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম, (৮) মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, (৯) মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, (১০) মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, (১১) আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, (১২) মো. জাহাঙ্গীর আলম, (১৩) হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, (১৪) হোসাইন আহমেদ তামিম, (১৫) মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, (১৬) মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ, (১৭) মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন, (১৮) জঙ্গিনেতা মাওলানা মো. তাজউদ্দীন, (১৯) হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেনঃ (১) শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল (উপস্থিত), (২) মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব (উপস্থিত), (৩) মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির (উপস্থিত), (৪) আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক (উপস্থিত), (৫) হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া (উপস্থিত), (৬) আবু বকর ওরফে হাফে সেলিম হাওলাদার (উপস্থিত), (৭) মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (উপস্থিত), (৮) মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), (৯) আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), (১০) মো. খলিল (পলাতক), (১১) জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক), (১২) মো. ইকবাল (পলাতক), (১৩) লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), (১৪) তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), (১৫) হারিছ চৌধুরী (পলাতক), (১৬) কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), (১৭) মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), (১৮) মুফতি আবদুল হাই (পলাতক), (১৯) রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।
বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্যে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক দরকার। বাংলাদেশ মানেই শেখ হাসিনা। তাই শেখ হাসিনার জীবনের উপর হামলাসহ শত শত লোকের জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনার জন্যে আমি মনে করি ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার হওয়া অত্যন্ত জরুরী। আমরা আরেকটি ১৫ই আগস্ট দেখতে চাই না। আমরা চাইনা ১৫ই আগস্টের খুনীদের মতো ২১শে আগস্টের খুনীদেরও রাষ্ট্রীয় মদদে পুনর্বাসিত করা হোক। আমার চাইনা দেশের কেউ ভাবুক যে এ দেশে মানুষ খুন করে পার পাওয়া যায়। তাই আমি এই মামলার রায়ের বাস্তবায়নের জোর দাবী জানাচ্ছি। পলাতক সবাইকে দেশে এনে এই রায়ের বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।
যেহেতু ঐদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যরা মারা গেলে এই দেশ থেকে গনতন্ত্র চিরদিনের জন্যে মুছে যেতো তাই ২১শে আগস্টকে “গনতন্ত্র হত্যা দিবস” বা অন্য কোন বিশেষ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা যেতে পারে কিনা তা ভেবে দেখতে সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা। বাংলাদশ চিরজীবী হোক।
মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক
মেলবোর্ন প্রবাসী শিক্ষক, গবেষক, রাজনীতিবিদ, কবি ও লেখক।