প্রশান্তিকা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাড়ে চার দশক পর স্বঘোষিত খুনি গ্রেফতারকৃত মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের রায় কার্যকর করার জন্য মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এখন তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং সেটা মঞ্জুর না হলে তাকে ফাঁসির মাধ্যমে দণ্ড কার্যকর করার কোন বাঁধা থাকবেনা। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করবেন কিনা এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিডি নিউজ ২৪ সূত্রে জানা গেছে, মাজেদকে বুধবার কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার পর ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরী এই পরোয়ানা জারি করেন।
এর পরপরই লাল শালু কাপড়ে মুড়িয়ে সেই পরোয়ানা নিয়ে আদালতের কমর্চারীরা রওয়ানা হন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে। মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে সেখানেই রাখা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মূখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, “আদালত ছুটিতে থাকায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল মাজেদের বিষয়ে জরুরি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছিল না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে পলাতক আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়।
“তাই মঙ্গলবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে লিখিত আবেদন করে। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে আজকের জন্য এ আদালতের ক্ষেত্রে ছুটি বাতিল করা হয়।”
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ওই মৃত্যু পরোয়ানা আসামিকে পড়ে শোনাবে।
তখন সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে আসামি বা তার পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে তার প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। কারা বিধিতে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার জন্য ৭ থেকে ২১ দিন সময় বেঁধে দেওয়া রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদ অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে বা তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে কারা কর্তৃপক্ষের সামনে দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না বলে জানান কাজল।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর এলাকা থেকে পুলিশ আব্দুল মাজেদকে গ্রেফতার করে। তিনি দীর্ঘদিন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে ছিলেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে প্রেসিডন্ট জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বানিয়ে সেনেগাল পাঠিয়েছিলো।