বাংলাদেশী পোষাক শিল্পের সাথে অস্ট্রেলিয়ার গড়িমসি

  
    

প্রশান্তিকা ডেস্ক: কে মার্ট, বিগ ডাব্লিউ, রিভার্স, অটোগ্রাফ, মিলার্স, কটন অন, কেটিস, ননি বি সহ অসংখ্য অস্ট্রেলিয়ান রিটেইলার বাংলাদেশী গার্মেন্টস থেকে পোষাক আমদানী করে। আজ বুধবার এবিসি টেলিভিশন এক রিপোর্টে জানায়, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানীগুলো বাংলাদেশ থেকে আসা পোষাকের দাম এবং অর্ডার আরও কমিয়ে দিচ্ছে। এমনকি ইতোমধ্যে অর্ডার করা পোষাকের ওপরও ৩০ ভাগ ডিসকাউন্টের প্রস্তাব দিচ্ছে। বাংলাদেশের কোন কোন গার্মেন্টস কোম্পানী অস্ট্রেলিয়ার রিটেইলারদের কাছে ৬ থেকে ৮ মাসের বকেয়া পাওনা রয়ে গেছে।

বাংলাদেশে পোষাক কারখানায় তৈরি হচ্ছে পোষাক

রিপোর্টটিতে বিজিএমইএ’র প্রেসিডন্ট রুবানা হক অস্ট্রেলিয়ার রিটেইলারদের এমন মনোভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রুবানা হক বলেন, “ পোষাকে ৩০ ভাগ ডিসকাউন্ট এবং ৩০ ভাগ অর্ডার ক্যান্সেলের খবর জেনে খুব বিস্মিত হয়েছি। কেননা, যতদূর জানি কোভিড-১৯ এর কারণে আমেরিকা ও ইউরোপের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ক্ষেত্র বিশেষে অনেক রিটেইলারের ব্যবসা খোলা এবং স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া অনলাইনে সব রিটেইলার পণ্য বিক্রি করছে।”

অস্ট্রেলিয়ার বৃহৎ রিটেইলার কে মার্টে অধিকাংশ পোষাক আসে বাংলাদেশ থেকে

খবরটিতে জানা যায়, রিভার্স, কেটিস, ননি বি, অটোগ্রাফ, মিলার্স সহ বেশ ক’টি আউটলেটের মালিক মোসাইক ব্রান্ডস বাংলাদেশী গার্মেন্টস কারখানার অর্ডার ক্যান্সেল এবং আরও ডিসকাউন্ট দাবী করেছে। সব মিলিয়ে মোজাইক ব্রান্ডসের কাছে বাংলাদেশী পোষাক শিল্প ১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন। কোম্পানির এক মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের সাথে এখনও এ ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যদিকে, কে মার্টও বাংলাদেশ পোষাক শিল্পের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে বলে জানা যায়।

নামকরা পোষাক বিক্রেতা কটন অন জানায়, করোনার কারনে বাংলাদেশ থেকে ১৮ মিলিয়ন ডলারের পোষাক অর্ডার ক্যান্সেলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। তবে সব দিক বিবেচনা করে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কটন অন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments