পাখিদের ভাষা থাকে, কথা থাকে, থাকে স্বপ্ন বোনা।
নদীর দুঃখ থাকে, ঝর্ণার থাকে সুর।
মানুষের ইচ্ছে থাকে, প্রেম থাকে, মায়া থাকে
থাকে থরে থরে দুঃখ সুখ! মানুষের বিয়োগ ব্যাথা থাকে
কত শত ভাষা থাকে– স্বপ্ন সুধা থাকে!! থাকেতো!
আমারও রয়েছে, শত কথা, প্রেম, অশ্রু, স্বপ্ন, মধু মুখ
বাঙলা আমার, হায়, কত চেনা জানা, কত সুখ রেণু
ধুলো মাখা, শৈশব ডিঙ্গি নাও, রাখালিয়া বাঁশি,
সব বুকে, মুখে যেন এক সুর, অরূপ বাঙলা ভাষা,
শালিক, বাবুই, দোয়েলের বুক মুখে এক ঐকতান
এক মধু স্বর! বাঙলা ভাষা।
অনুভব করি যেন সকলেই গাহিছে গান বাঙলায়
মিঠা বোলে মিঠা সুরে-
নদীদের কথা শুনি, মেঘেরাও বলে কথা, গাছেদের
পাখিদের সব সুর বড় চেনা মনে হয়! বড় চেনা!
সকলের বুক মুখে এক সুর আমার বাঙলা ভাষা।
বাঙলা আমার, জননী আমার–,হায়
যদি সন্ধ্যা নামে, নামে গহিনে অন্ধকার, তোর বোলে
তোর মাঝে ডুবে যাই, আঁচল অঞ্চলে সুখ চাই।
করি সাহস সঞ্চয়- বাঙলা আমার, জননী আমার
ভালোবাসি, ভালোবাসি, বড় ভালোবাসি !
এই ধানের ক্ষেতে, বাতাসের দোল, চেনা আলপথ
শালিকে, শঙ্খচিলে নদী ও অরণ্যে, রাখালের সুরে
ঘুম কাতর স্বপন নিশীথে বাঙলা আমার,
তোরে আমি পাই শত রূপে শত অনুভবে, পলে পলে
রাত্রি- দিন সহস্র জনমে-!
বাঙলা আমার জননী আমার, সুখে থেকো সুখে থেকো,
সুখে থেকো, ভালো রেখো সকলই তোমার-
রাসেল আসাদ
কবি, গীতিকবি
টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ।