১৯৭৭ ইং ১৫ সেপ্টেম্বর। ২৯ ভাদ্র, ১৩৮৪ বাংলা সাল। ৩০ রমজান, ১৩৯৮ হিজরী। রোজ বৃহস্পতিবার, সকাল ১০.১০ মিনিটে আমার বাবা ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)। মৃত্যুকালে বাবার বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৬ বৎসর।
আজকে বাবার ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী! ভাবতেই পারছি না, দেখতে দেখতে এতটা বছর কীভাবে বাবাবিহীন জীবন কাটিয়ে দিলাম! ছোট বোনটার বড্ড আক্ষেপ, কেন আমি মা-বাবার কথা ফেসবুকে লিখিনা? অন্যদের বৃদ্ধ মা-বাবার ছবি দেখে বা লেখা পড়ে বোনটা কাঁদে। আমাকে জানায়, আমিও কাঁদি। কী করে যে বুঝাই বোনটা রে! আমি লিখতে গেলে যে, আমার মনের ভেতর ঝড়ো-তান্ডব শুরু হয়। সে তান্ডবে ভেতরটা তোলপাড় করে ওঠে আমার বাবাবিহীন পোড়া অন্তরটা! খাঁ খাঁ করে ওঠে আমার শূন্য বুকটা! আর স্তিমিত হয়ে যায় আমার প্রাণকোষের প্রাণচাঞ্চল্য!! আমি তো সেটাকে নির্দয়তার পাথরচাপা দিয়ে ঢেকে রেখেছি রে বোন! লিখতে গেলে আমার বাবার সাথে সমস্ত স্মৃতিগুলো একে একে আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঝেঁকে ধরে। সে মুহূর্তে বাবাবিহীন অনুভূতিগুলো এমন ভাবে এসে ভর করে তখন আমাকে থমকে দেয়। আমি আর আমাতে থাকি না।

তবুও, যত কষ্টই হোক আজ আমি আমার বাবাকে নিয়ে লিখব। যে লেখা আমার স্মৃতির সরোবরে সদ্যফোটা সাদা শাপলার মতো উজ্জ্বল হয়ে দ্যুতি ছড়াবে। এতে আমার হৃদয় উদ্যানের চারপাশ আলোর ঝলকানিতে মুখর হয়ে ওঠবে। ফলে নতুন স্মৃতিচারণা সংযোজনে আমার উদ্যানটা হবে আরো উর্বর আরো সুশোভিত। সে মধুগন্ধময় স্নিগ্ধশোভায় সুরভিত উদ্যানে প্রস্ফুটিত হবে নির্ঝর ফুল। সে সৌরভ নন্দিত নির্ঝর ফুল থেকে মৃগ কস্তুরীর মতো সুঘ্রাণ ছড়াবে সুবাসিত চন্দনে। এমন আতর-গোলাপ মাখা মৃগ কস্তুরীর সুগন্ধ শুঁকতে শুঁকতে বিদায় নেব আমি এ পৃথিবী থেকে। আর এটাই হবে বাবার প্রতি আমার আজন্ম ঋণের কিঞ্চিত শোধ করার একটা উপলক্ষ।
মনে পড়ে, গলায় ক্যানসারে আক্রান্ত বাবা তৃতীয় বারের মতো রেডিও থেরাপি নিয়েছিলেন। তখন এটাই ক্যানসারের একমাত্র চিকিৎসা ছিল। যে দিন ডাক্তার বাবাকে দেখে বলেছিলেন, বাবা আর মাত্র তিন মাস বাঁচবেন। বড়জোর চার মাস! সে দুঃসহ মুহূর্তটাকে আমি এখনো খুব কাছ থেকে অনুভব করি। তখন সমস্ত পৃথিবীটা যেন ভেঙ্গে পড়েছিল আমাদের মাথার ওপর। আমাদের পায়ের তলার মাটিগুলো যেন দ্রুত সরে যাচ্ছিল। কী এক নিদারুণ কষ্টের দ্যোতনা! কী এক অদ্ভুতুড়ে যন্ত্রণা আমাদেরকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। ভাই-বোনেরা সবাই গলা জড়াজড়ি করে কাঁদছিলাম। আমাদের চোখের বেদনাশ্রু শ্রাবণের ধারায় ঝরছিল। নিজেকে এতটা অসহায়বোধ কখনো করিনি। এমন পরিস্থিতির মুখেও কখনো পড়িনি। এতিমের মতো মনমরা আর বিমর্ষতা ছিল আমাদের নিত্যসঙ্গী। একবৃন্তে দু’টি ফুল, কলেজ পড়ুয়া আমরা দু’টো বোন কতটা মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলাম তা বুঝানোর ভাষা আমার জানা নেই।
বিবাহ উপযুক্তা দু’টো মেয়ের কন্যাদায় গ্রস্ত এক অসহায় পিতার সে কী করুণ আহাজারি! বাবা যখন তার মৃত্যুর নিশ্চিত আগাম খবর বুঝতে পারেন তখন তাঁর মনের অবস্থা কেমন ছিল ? সে দৃশ্য এখনো আমার চোখে ভেসে ওঠে। আর নোনাজলে ভাসে আমার চোখ । বাবার করুণকাতর আর্তি মেশানো প্রতিধ্বনি এখনো আমার কর্ণকুহরে বাজে। তাই আজও চাপ-চাপ কষ্টে আমার বুকটা কেঁপে কেঁপে ওঠে। মাথাটা আউলায়ে যায়। হৃদপিন্ডের স্পন্দনটা বেড়ে যায়। শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে! আর বাবা? বাবা শুধুই কাঁদতেন। এ পৃথিবীতে বাবার কাধে ছেলের লাশ যেমন সবচেয়ে ভারী। তেমনি কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার কাধে তার চেয়েও বেশি ভারী বিবাহ উপযুক্ত কন্যাদেরকে রেখে নিয়তির ডাকে চলে যাওয়াটা। এই এক নিয়তির অমোঘ নির্মমতা! এই জন্যই বাবা কেঁদে কেঁদে বলতেন, পারলাম না রে মা! সাথে সাথে বাবা এটাও বলেছেন, আমি তিনটি পরশ পাথর রেখে গেলাম রে মা। তোদের কোন চিন্তা নেই। আমার তিন ছেলে তাদের মা ও দুই বোনকে কখনো এতটুকু আমার অভাব বুঝতে দেবে না। ছেলেদের প্রতি বাবার আত্মবিশ্বাটা ছিল অত্যন্ত দৃঢ়। বাবা একদম ঠিক বলেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর ভাইজানেরাই আমাদের প্রতি পুরো দায়িত্ব পালনে ছিলেন সচেষ্ট। এতটুকু কষ্ট পেতে দেননি আমাদের।
ক্যান্সারের শেষ ধাপে, বাবা প্রথম প্রথম জাও ভাত, পাতলা খিচুরি খেতে পারতেন। মুরগীর গোশতের স্যুপ খেতেন। পরে ফলের রস, দুধই ছিল বাবার পথ্য। সে কত বছর আগের কথা। ফলের জন্য সপ্তাহে দু’দিন আসতে হতো নারায়ণগঞ্জ কালিবাজারে ফলপট্টিতে। সকালে বাড়ি থেকে নৌকায়, তারপরে লঞ্চে নারায়ণগঞ্জ আসতাম। বিকেলে বাড়ি ফিরতাম। ঘর থেকে বের হলেই কেবল কান্নার আওয়াজ শুনতাম। ভাবতাম, বাবা মারা যায় নি তো? অমঙ্গল আশংকায় ভয়ে মনটা ব্যথায় ডুকরে ওঠত। সে স্মৃতিগুলো কেবলি থেকে থেকে হৃদয়ে রক্তঝরায় আজো। আর দু’চোখে অশ্রুঝরে অবিরল ধারায়। বুকের ভেতরটা চিনচিন ব্যথা করে।
বাবার মৃত্যুকালীন সময়ে আমি তখন বি এস সি পরীক্ষা দিয়ে ইডেন কলেজ হোস্টেল থেকে গ্রামের বাড়িতে। ছোট বোনটাও বাবার অসুস্থতার কারণে লালামাটিয়া কলেজ হোস্টেল থেকে বাড়িতে এসেছে। বড় ভাইজান মরহুম জালাল উদ্দিন আহমেদ তখন কুষ্টিয়ায় জিকে প্রজেক্টের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। মেজো ভাইজান মোঃ সুরুযযামান বরিশাল জিলা স্কুলের সহকারি শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ছোট ভাইজান মোঃ মুরাদ হোসেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র পাশ করে ফরিদপুরে একটা বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। তাঁরা তিনজনই বাবার তত্ত্বতালাশে সব সময় থাকতেন একনিষ্ঠ। কয়দিন পরপর তাঁরা বাড়িতে আসতেন। ঢাকাতে ডাক্তারের কাছে তারিখ মতো নিয়ে যেতেন বাবাকে। মেজো ভাইজান একমাস রমজানের ছুটিতে বাবার কাছেই ছিলেন। ছোট ভাইজান প্রতি সপ্তাহে বাড়ি আসতেন। কারণ, বাবার জন্য তিনি ঢাকায় বদলি হয়ে এসেছিলেন। তবে
মা, আর আমরা দুটি বোনই বাবার কাছে সব সময় থেকেছি। বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর বেঁচে ছিলেন। শেষবার আর পারলাম না বাবাকে বাঁচাতে।
যে কোন মৃত্যুই লৌকিক জগতের সবচেয়ে শোকের ও বেদনার, তা যে বয়সের হোক। এই এক কঠিন রূঢ় বাস্তবতা! যা প্রতিনিয়ত প্রতি মুহূর্তে আমাদেরকে সময় কাটাতে হতো এক অনিশ্চিত অমঙ্গল আশংকায়।
বাবার অনেক অশ্রুঝরা স্মৃতি থেকে আজ কেবল একটা স্মৃতির কথা লিখব। শুক্রাবাদে থাকাকালীন আমার বড় ভাবীর এক চাচা মারা যান। তাদের বাসাও ছিল শুক্রাবাদ। বাবা আমাকে নিয়ে সে বাসায় গেলেন। চাচার ১৪/১৫ বছরের মেয়েটি বাবার লাশের খাট ধরে বাবা, বাবা গো বলে উচ্চস্বরে সে কী অঝোরে কান্না!! তার গগনবিদারী রোদনে উপস্থিত মানুষগুলোও কাঁদছিল। আমার বাবাও কাঁদছেন। আমি বাবার হাতধরা অবস্থায়। তবুও বড্ড একা আর অসহায় লাগছিল। আমিও কাঁদছি। বাবার মুখের দিকে তাকাচ্ছিলাম বারবার। আর ভাবছিলাম আমার বাবাও কী মারা যাবে? না না, এই তো আমার বাবা, আমার কাছেই আছে। আমার বাবা মারা যাবে না, কখ্যোনো না। বাবাকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরি। বাবা বোধ হয় মেয়েটির কান্না সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই ভীড় ঠেলে আমাকে নিয়ে বের হলেন। বাবার চোখে তখনো পানি। রাস্তায় এসে আমি বাবাকে বললাম, বাবা কান্দেন কেন? বাবা তখন কাঁদো-কাঁদো, ভারী কন্ঠে বলে, “মা রে, আমি মারা গেলে তুই আর নাহার ঠিক এই মাইয়্যাটার মতোই এমনি কইরা বুক চাপড়াইয়া কানবি। আমি তো তোদের সে কান্দা আর শুনতে পামু না রে মা! এইডা মনে কইরাই কানছি রে মা!” তখনো এতটা গভীরতা দিয়ে বাবার এই কান্নার অর্থ বুঝি নি। বাবার কথার উপলব্ধি করার বোধশক্তি বা বয়স কোনটাই আমার ছিল না।
আজ সে উপলব্ধির পূর্ণতায় আমি এ মুহূর্তে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় বলছি বাবা! বাবা গো!! আপনার অভাব ভীষণ, ভীষণভাবে অনুভব করছি। এখন আমরা দু’বোনই প্রতিষ্ঠিত। আর এ মুহূর্তে আপনাকে আমরা পেলে কী যে খুশি হতাম তা মনে করে আরও বেশি কষ্ট পাচ্ছি বাবা। আমার ভাইজানেরা তিনজনই তখন প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁরা তাঁদের হৃদয় উজারকরা ভালোবাসা আর সর্বাত্মক চেষ্টা ও শ্রদ্ধাসমেত আপনাকে সুস্থ করার প্রয়াসে চিকিৎসা সেবাসহ যাবতীয় সব কিছু করেছেন। তাঁদের জীবন সার্থক ছিল। বাবার চিকিৎসার কোন ত্রুটি তারা করেন নি।
কিন্তু আমরা? আমরা দু’বোন কেবল বুকের নির্যাসসিক্ত ভাালোবাসা দিয়ে আপনাকে সেবাযত্নটুকু কেবল করেছি বাবা। আর এখন বেঁচে থাকলে আপনাকে দামী মোবাইল কিনে দিতাম। সারাক্ষণ কথা বলতাম। কাছে এনে রাখতাম। আরও কত্ত কিছু দিতাম। কত্ত কিছু নিজ হাতে রেঁধে খাওয়াতাম। কিন্তু তা তো পারছি না বাবা! বুকের ভেতর এ কষ্টের কাঁটা যে কত কষ্টের, এটা কী করে বুঝাই। এই কাঁটা কেবলি খচখচ করে বিঁধছে বাবা। আপনি সর্বাত্মক ত্যাগে সুখ পেয়ে গেছেন আর আমরা এখন ভোগে সুখ পাচ্ছি। বাবা, বাবা গো! এই যে আমরা সুখভোগ করছি, এটা নিজের কাছে বড্ড স্বার্থপর-স্বার্থপর লাগছে বাবা। এক ধরনের অপরাধবোধ আমাকে ভীষণ তাড়া করে। ভাবি, এতটা নিষ্ঠুর আমরা কী করে হতে পারছি? বাবাকে ছাড়া কত আনন্দ করছি।
তবে আপনার অভাব অনুভব করি আমাদের অস্তিত্বে, আমাদের কৃতিত্বে, আমাদের কর্মে। এভাবেই আপনাকে বাঁচিয়ে রাখব আমরা আমাদের কর্মের মাঝে আজীবন।
গ্রামের বাড়িতে আমরা ভাই-বোন, আমাদের ছেলে-মেয়ে এবং নাত- নাতনীরা সবাই গাড়ি নিয়ে বেড়াতে যাই। আপনি বেঁচে থাকলে কত্ত খুশি হতেন, তাই না বাবা? আপনি আমাদের সম্পত্তি দিয়ে যেতে পারেন নি তেমন। কিন্তু আমাদেরকে সম্পদে পরিণত করে গেছেন। আর মানুষের মতো মানুষ করে গেছেন। আজ আমরা সবাই সুপ্রতিষ্ঠিত, নিজ নিজ মেধা আর যোগ্যতায়। আমরা পাঁচভাই বোনই সরকারি চাকুরীজীবী। এখন সবাই সরকারি পেনসন ভোগ করছি। তাই এত্ত সুখের আর আনন্দের মধ্যে থেকেও আপনাকে ভুলি না বাবা। এ যে আপনারই নিঃস্বার্থ অবদান।
আরো ভাবছি, গ্রামে তখন চার-পাঁচ মাইেলর মধ্যে কোন স্কুল ছিল না। তখনকার দিনে অবহেলিত জনপদ হিসেবে খ্যাত দাউদকান্দি মেঘনা অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ছিল একেবারে অনুন্নত। কাপড়ের ব্যবসা ছিল বাবার আয়ের উৎস। গৃহস্থালী কাজ বাবা কখনো করতে পারেন নি। সংসারের সীমিত আয় দ্বারা বাবা কীভাবে পাঁচটি ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছিলেন? এ বয়সে এসে এটার হিসাব আমি কিছুতেই মেলাতে পারছি না। কী করে আমার বিজ্ঞানমনস্ক বাবা এত বড় অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন? কীভাবে এমন অসাধ্যকে সাধন করেছিলেন? একজন দুঃসাহসী, দক্ষ নাবিকের মতোই আমার বাবা তীরহারা ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিয়েছিলেন । এতে বাবাকে সাত বিঘা জমি বিক্রি করতে হয়েছিল আমাদেরকে পড়াশুনা করাতে গিয়ে। তাই বলছি, আমার বাবা আমাদের কাছে একজন রোল মডেল। আমার বাবা আমার কাছে পৃথিবীর মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ বাবা। কারণ, বাবার আদর্শেকে অনুসরণ করে বাবার নাত- নাতনীরাও সবাই উচ্চ শিক্ষিত। সম্পত্তি নয়, বাবার নির্দেশ মতোই আমরা তাদেরকেও সম্পদে পরিণত করেছি, মানুষ করেছি। আজ তারাও সবাই সুপ্রতিষ্ঠিত।
বাবা, আজো আমরা সবাই সুখে- দুঃখে আপনার আদর্শের সূতোয় বোনা ভালোবাসা আর বিশ্বজনীন মমতার চাদরে জড়িয়ে আছি যৌথ পরিবারভুক্ত হয়ে। এত সুখেও আমার চোখের এই বেদনাশ্রু দিয়ে আজকের এই লেখাটুকু না হয় স্মৃতি হয়ে থাক বাবা!! আর বেঁচে থাকলে আবারো কথা হবে শিউলিঝরা কোন এক শারদ-প্রভাতে!
আমাদের জন্য ওপর থেকে দোয়া করবেন বাবা। আমরাও আপনার বেহেস্ত নসীব কামনা করছি।
তাং- ১২/০৯/২০২০ইং
তারাব, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
পিয়ারা বেগম: কবি, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক।