[ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। দিনশেষে সেসব আবার হারিয়ে গিয়ে স্থান পাচ্ছে নতুন বিষয়। প্রশান্তিকার এই বিভাগে থাকছে নির্বাচিত সেই স্ট্যাটাস। প্রিয় পাঠক, এই বিভাগে লেখা কোনরকম সম্পাদনা ছাড়াই হুবহু প্রকাশিত হচ্ছে।]
দিনাজপুরের আয়েশা সিদ্দিকা ম্যারেজ রেজিস্ট্রার বা বিয়ের কাজী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট বিতর্কিত রায় দিয়ে নারীর শরীরবৃত্তীয় প্রাকৃতিক বিষয় বা সহজ কথায় ঋতুস্রাবের জন্য পুরো একটি প্রফেশনকে পুরুষের দখলে নিয়ে মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটায়! বিচারকের রায় হলো মেয়েরা ঋতুস্রাবের জন্যে এই দায়িত্ব পালনে অক্ষম।

ওহ আপানারা তাতে বড়ই মর্মাহত? সত্যি? এতো শত বছরেরও মর্মাহত হবার কোন বোধ বা সুযোগ হয়নি আপনাদের? আয়েশা আপা যে বিশ্বাস নিয়ে হিজাবটি পরেছেন সেখানে কি নারীদের এইসব অধিকার আছে? সাক্ষী দিতে হলে একজন পুরুষ সমান দুইজন নারী, শুধু তা-ই না চারজন নারী হলেও তা গ্রহণযোগ্য নয় যদি না একজন পুরুষ থাকে; দাঁড়ান দাঁড়ান নারী কি ইমামতী করতে পারেন? কিম্বা রাষ্ট্রক্ষমতার অধিনায়ক হতে পারেন???
আপনারাই উত্তর দেন। না পারলে কারণ কী বলা হয়েছে? আমি জানি কিছু পন্ডিত বলবেন রেফারেন্স দেন। আগেও প্রমাণ করেছি রেফারেন্স কারে কয়। আপত্তি থাকলে নিজেই রেফারেন্স এনে প্রমাণ করেন। কখনও কখনও নিজের বিশ্বাসই বুমেরাং হতে পারে!!! নিজেরাই ভাবুন। আয়েশা আপার জন্যে বড়ই মায়া হচ্ছে!!
সেজান মাহমুদ
লেখক, গীতিকবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা, কলামিস্ট
প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩০; চলচ্চিত্র ৩।
অধ্যাপক ও আ্যাসিসটেন্ট ডীন, ইউসিএফ কলেজ অব মেডিসিন, যুক্তরাষ্ট্র।