প্রশান্তিকা ডেস্ক: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, কথাসাহিত্যিক, সমালোচক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকায় গুলশানের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
খবরটি নিশ্চিত করেছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দেশ রূপান্তর পত্রিকা। বোরহানউদ্দিনের ভাতিজা অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের স্ত্রী ফাতেমা মামুন বলেন, এক বছর ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।বাসাতেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে তাঁর দেশের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়াতে নিয়ে গিয়ে দাফন করা হবে।
১৯৩৬ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির চাঁদপুর জেলার কচুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্মান অর্জন করেন। পরে ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
বোরহান কর্মজীবন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে। পরে একই বিভাগের অধ্যাপক হন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেন।
সাহিত্যের নানা শাখায় বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর অবদান রেখেছেন। ছোটগল্পে অবদানের জন্য ১৯৬৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য ২০০৯ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন। তিনি ইউনেসকো ও ফ্রান্স সরকারের ফল অব অনার, কলকাতা মুজাফফর আহমদ স্মৃতি পুরস্কারও পেয়েছেন। তিনি জীবদ্দশায় লিখেছেন শতাধিক বই।
সিডনি প্রবাসী লেখক ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত তাঁর সম্পর্কে বলেন, “তাঁর সাথে এক সন্ধ্যায় এক সাথে কথা বলার সুযোগে নিবিড় পরিচয় ঘটেছিল। কে না জানে, কি অসাধারণ প্রমিত বাংলায় কথা বলতেন। যেমন বাগ্মী তেমনি শব্দচয়ন।যৌবনের শুরুতে জানতাম গদ্য লেখক। অসাধারণ সব ছোট গল্প লিখেছেন। এরপর জানতাম কবি। তারচেয়েও বড় পরিচয় দেশের একজন মেধাবী শিল্প সমালোচক। তাঁর মতো ছবি বোঝা বাঙালি ক জন ছিলেন? বিশ্বজুড়ে কঠিন দূঃসময়ে
আজ তাঁর অগস্ত্য যাত্রার খবরে মনটা বিষণ্ণতায় ভরে গেছে আমার।”