তুলি নূর, ব্রিসবেন: ১৪ ই ডিসেম্বর – শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শত্রুপক্ষ মরণকামড়টি বসায় ১৯৭১ এর প্রথম ২ সপ্তাহে। দেশের শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে নৃশংসভাবে মেরে ফেলে এরা। আমরা যুদ্ধে মুক্তি লাভ করলাম, জন্ম নিল বুদ্ধিজীবি বিহীন, অভিভাবকহীন এক নতুন দেশ- বাংলাদেশ। আর এই অপূরণীয় ক্ষতিকে অহর্নিশ মনে রাখলেও বাংলাদেশীরা ১৪ই ডিসেম্বরকে বিশেষভাবে স্মরণ করে আসছে সেই ১৯৭২ সাল থেকেই।
এরই ধারাবাহিকতায় ব্রিসবেনে এই প্রথমবারের মত ১৪ই ডিসেম্বর২০১৮ তে পালিত হল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আয়োজনে “ আমরা ক’জন”। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিল মিস্টি মেয়ে নাহিয়ান আজিজ আচঁল। সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন ড: মোনেম রেজা, ড: জে. এ. সিদ্দিকি, ড: রাফিউল আলম, ড: সামসুল আরাফিন ভূইয়া, শহীদ সন্তান শাহেদ সদরুদ্দিন, মাহমুদুল আলম খান।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন অগ্রজ ড: মোহাম্মদ আলাউদ্দীন। আর শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মো: লাইলাক শহীদ।
আলোচকরা তাদের বক্তব্যে মূলত যুদ্ধকালীন কিছু স্মৃতি রোমন্থন করেন ও এপর্যন্ত সকল অর্জনগুলোর উপর আলোকপাত করেন। বিশেষত: সভাপতি তার বক্তব্যে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করেন। উদাহরণ হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা জে. এ. সিদ্দিকি ও আবু আলী ইবনে্ সিনা কথা বলেন যারা ভিন্ন সময়ে বিশেষ ক্যান্সার কোষ আবিস্কার এবং রক্তের মাধ্যমে এর উপস্থিতির যুগান্তকারী প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন ।
এরপর একটি ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘোষিত হয়। এতে কবিতা আবৃত্তি করে ছোট্ট সোনামণি আবরার ও লাবীব। এছাড়াও আবৃত্তি করেন শহীদ পরিবারের সন্তান মমতাজ শিরিন। গান পরিবেশনায় ছিলেন সুকন্ঠী সুচরিতা কর্মকার, মুস্তাফিজুর রহমান মুন্না ও জয় দাস।