প্রশান্তিকা ডেস্ক: দিল্লীতে চলমান সহিংস সংঘর্ষে শেষ খবর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। শুধু দিল্লী কেনো পুরো ভারত জুড়ে মানুষের মধ্যে উদ্বিগ্নতা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরো সহিংসতার মধ্যে ব্যস্ত ছিলেন ভারত সফরকারী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আতিথেয়তায়। মাঝে শুধু একবার ভারতবাসীকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এই সহিংসতা শুরু হলেও এখন রূপ পেয়েছে ধর্মীয় দাঙ্গায়। গতকাল যুক্তরাজ্যের নামকরা পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান বলছে, “প্রধানমন্ত্রী মোদী জনগনকে শান্ত থাকতে বললেও তিনিই দেশের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। shocking as the outburst of hatred in Delhi has been, with the deadliest religious violence (ধর্মীয় উম্মাদনা)।”
সিডনি থেকে প্রকাশিত দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড বলছে, “deadly street battles between Hindu and Muslim gangs have thrust the area…” হেরাল্ডও ইঙ্গিত করছে সেই হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার কথাই।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতে থেকে যাওয়া পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশের মানুষজন মুসলমান হলে তাদেরকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবেনা। ভারতে হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার গুরুত্ব এবং মুসলমান নাগরিকদের অবহেলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সারাবিশ্বে সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত সরকার। গত বুধবার সহিংসতার মধ্যেই উগ্রপন্থীরা দিল্লীর একটি মসজিদের মিনারে হিন্দু ধর্মের প্রতীক উড়িয়ে দেয়, যা স্পষ্ট সম্প্রীতি লংঘনের ইঙ্গিত।
সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃতের খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জনের বেশি। এনডিটিভির খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে ইত্তেফাক জানায়, গত বুধবার রাতে উত্তরপূর্ব দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর ও কারাওয়াল নগরে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল উত্তরপূর্ব দিল্লির সহিংসতা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে সরকার শান্তি ফিরিয়ে আনবে বলে ব্যক্তিগতভাবে এমন আশ্বাস দিয়ে গেলেও শান্তি ফিরে আসেনি। দাঙ্গা শুরু হওয়ার তিন দিন পর চতুর্থ দিন প্রথমবারের মতো এক বিবৃতিতে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের ডাক দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একের পর এক রিভিউ মিটিং করে গেলেও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।